আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত ইসলামী ব্যাংকসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি



জঙ্গিবাদের অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক ও এনজিও প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশও করেছেন তিনি। গতকাল সংসদের বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি এসব দাবি জানান। গতকাল জাতীয় সংসদে বেসরকারি সদস্যদের ৩টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের নিষ্পত্তি হয়। এগুলো হলো গোলাম ফারুক খন্দ প্রিন্সের 'পাবনা জেলায় আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ', বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়ার 'লক্ষ্মীপুর জেলায় কৃষি কলেজ স্থাপন' এবং সরকারদলীয় সদস্য মো. শফিকুল ইসলামের 'ঝিনাইদহ জেলা ও হরিণাকু-ু উপজেলাধীন ইউনিয়নে গ্যাস সরবরাহ'।

ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য রাশেদ খান মেননের 'জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্বেচ্ছাসেবী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত ও নিষিদ্ধকরণ' সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটির সঙ্গে ৪টি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বলে স্পিকার সেটি স্থগিত করেন। অন্যদিকে মহিলা সদস্য রওশন জাহান সাথীর 'কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বরীন্দ্র কমপ্লেক্স গড়ে তোলা'র প্রস্তাবটি কার্যতালিকায় থাকলেও তা সংসদে উত্থাপিত হয়নি। 'জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্বেচ্ছাসেবী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত ও নিষিদ্ধকরণ' প্রস্তাবের আলোচনায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যখন জেএমবির বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানসহ জঙ্গিবাদের উত্থান হয় তখন জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী সংসদে বলেছিলেন এগুলো ইসলামী রাজনীতি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। বাস্তবে এদেশে কোন জঙ্গি নেই।

পরবর্তীতে একযোগে দেশের ৬১ জেলায় বোমা হামলার পর জঙ্গিবাদের তদন্ত হয়েছে। বাংলা ভাইদের বিচার হয়েছে। জেএমবির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তাদের নেপথ্য যারা ছিল তাদের কোন বিচার হয়নি। তাদের চিহ্নিতও করা হয়নি।

ফলে এদেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখনও ২৯টি জঙ্গি সংগঠন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব জঙ্গিদের অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কিছু এনজিও, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিওর মাধ্যমে। জামায়াতে ইসলামীর আলী আহসান মুজাহিদ যখন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি ৪০০ ইসলামী এনজিও'র নিবন্ধন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে।

এসেম্বলি অফ মুসলিম লীগের অর্থায়ন হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত জঙ্গি অর্থায়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বক্তব্যের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়া শুরু করলে স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, বিষয়টি শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। এরসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একা সমাধান দিতে পারেন না। এজন্য আমি বিষয়টি স্থগিত করলাম। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরপর রাশেদ খান মেনন তার বক্তব্যে জঙ্গিবাদ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব সম্পর্কে বিরোধীদলের অবস্থান জানার জন্য ভোটিং পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ বিষয়ে সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও সুপারিশ করেন। এরপর বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে রাশেদ খান মেননের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

এরপর সরকারদলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে রাশেদ খান মেননের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে মেনে নেন। সরকারদলীয় সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের প্রস্তাবের জবাবে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আহাদ আলী সরকার বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দাবি মেনে নিয়ে এখনই তার কাজটি করতে পারলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হতো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট কাপের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। প্রত্যেকটা বিভাগীয় এলাকায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে চাই। এই মুহূর্তে জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট স্টেডিয়াম করার কোন পরিকল্পনা নাই।

তবে যখন সুযোগ আসবে তখন স্টেডিয়াম নির্মাণের অবশ্যই চেষ্টা করব। এরপর তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.