আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে এলাম চট্রগ্রাম-ঢাকা-কুমিল্লা-চাঁদপুর-কুমিল্লা-চট্রগ্রাম (আমার ঘোরাঘুরি-১)

ুাুিইাু্

ঠিক কবে যে অবসর পেয়েছিলাম সেটা অস্পষ্ট, মনে করতে পারছি না। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যে কয়েকদিনের জন্য ঘুরে এলাম চট্গ্রাম-ঢাকা-কুমিল্লা-চাঁদপুর-কুমিল্লা-চট্রগ্রাম। গত বুধবার ভি-এফ-এস(VFS) অফিস থেকে ফোন এল, বলল পাসপোর্টটা জমা দিয়ে জান। ঠিক এর কয়েকদিন আগে মনটা খুব খারাপ ছিল মূলত দুইটা কারনে ব্যাস্ততা আর অফিস থেকে ছুটি দিবে কিনা সেই ঝামেলায়। কিন্তু ওই দিনই আমার ছুটির আবেদনটা রেজিষ্ট্রার অফিসে পাঠান হল, যদিও মনটা একটু ভাল হল কিন্তু তার পরও যেন মনের কোনে কোথাও একটা শুন্যতা ছিল।

একটু পরে ফোনটা আসল। মনটা আবার কিছুটা হাল্কা হল। ফোন পেয়ে মনে মনে খুশি। রাতে ঢাকায় যাব। বাসায় এসে টুকিটাকি জিনিস পত্র গোজগাছ করে নিয়ে ১২টায় রওয়ানা দিলাম, ঢাকার উদ্দেশ্য।

সাথে একটা পরিকল্পনাও ছিল, যে করে হোক সাপ্তাহের বন্ধের দুইদিন কোথাও থেকে ঘুরে আসতে হবে। বর হবার আগে আমার জানের দোস্ত আশিসের সাথে কথা বলে নিলাম, ওর বাসায় অনেক দিন যাব যাব করেও যাওয়া হয়নি। সেই সাথে আমার কুমিল্লার ময়নামতি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ওকে বললাম তুই একদিনের ছুটি নিয়ে চল কুমিল্লা থেকে ঘুরে আসি। প্রথমে না বললেও আমার চাপে রাজি হয়ে গেল।

ঘুরাঘুরি করা আমার শখের মধ্য অন্যতম একটা শখ। কিন্তু কয়েক মাস ধরে আমি এতই ব্যাস্ত ছিলাম যে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। আমার স্টুডেন্টস দের বার্ষিক স্টাডি টুরেও যেতে পারিনি এই ব্যস্ততার কারনেই। ওরা অনেক মন খারাপ করেছিল কিন্তু আমার কোনো উপায় ছিল না। আর সপ্তাহে সাত দিনেই আমাকে ব্যাস্ত থাকতে হয়।

শুক্র-শনি বার আমার অফিস বন্ধ কিন্তু, এই দুই দিন প্রাইভেট ইউনিতে ক্লাস নেওয়ার কারনে অনেক দিন ধরে শুক্র-শনি বার ও আমার ছুটি ছিল না। কিন্তু গত শুক্র-শনি বার ওদের মিড টার্ম পরিক্ষার কারনে আমি ওদের ফোন দিয়ে বললাম যে আজ ক্লাস নিব না। সু্যোগটা হাতে এসে গেল। যেই ভাবা সেই কাজ। রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।

ঢাকায় পৌছালাম সকাল ৭ টায়। আপুর বাসায় বিশ্রাম নিয়ে গেলাম VFS অফিসে। পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাসায় আসলাম। আশিস কে ফোন দিয়ে বললাম যে আগামিকাল ছুটি নিতে। কিন্তু ওর অফিসের বস না আসায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।

পরে ও ওর বস কে ফোন দিয়ে ছুটি নিয়ে চলে আসল। ৮টায় বারিধারা থেকে আমি রওয়ানা দিলাম, কিন্তু ঢাকার শহরের যে অবস্থা নর্দ্দা বাসস্টান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত আস্তেই আমাদের ৯.৩০ বেজে গেল। ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে বাস পাব কিনা। কিন্তু না সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে নিরাশ করেননি। ঠিক ৯.৪৫ মিনিটে বাস ছাড়ল সায়েদাবাদ থেকে।

চলবে… [NB:আগামি পর্বে অনেক গুলি ছবি সহ বিস্তারিত আসবে। সাথে থাকুন। ভাল থাকুন। ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.