আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবির কর্মীরা ফারুকের লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়..........................



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে খুন করার পর ছাত্রশিবির কর্মীরা লাশটি পাজাকোলা করে তুলে ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এ সময় ছাত্রশিবিরের ১০-১২ জন নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফারুক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হল শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাইজুল ইসলাম র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি এলাকা থেকে র‌্যাব রাইজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রাইজুল রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

রাইজুল আজ শুক্রবার র‌্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। তিনি সেখানে সব ঘটনার বর্ণনা দেন। র‌্যাব জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পর শিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন। তাঁদের সঙ্গে রাইজুলও তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। র‌্যাব কর্মকর্তারা তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রাইজুল জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে শিবির নেতারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল দখলের পরিকল্পনা করেন। এ জন্য তাঁরা পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যান। শিবিরের নেতাদের সঙ্গে আশেপাশের গ্রামের কিছু লোকও জড়ো হয়। পুরো তৎপরতার নেতৃত্ব দেন শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ। তবে হল দখলে মূল ভূমিকা পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্পাদক মোবারক হোসেন।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়া আহসান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রাইজুল বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, সোহরাওয়াদ্দী হল শাখার সভাপতি মাসুদ বিল্লাহ, মাদারবক্স হল শাখার সভাপতি, জিয়া হলের সেক্রেটারি মোস্তাফিজ এবং রাইজুল নিজে হবিবুর রহমান হল দখলে নেতৃত্ব দেন। তাঁরা এক সঙ্গে পাঁচটি হলে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া গোলাপের নেতৃত্বে শাহ মখদুম হলের শিবিরের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান ও বর্তমান সভাপতি আহাদ আলী, লতিফ হলের সভাপতি হাসমত আলী লিটন, আমির হলের সাবেক সভাপতি ইকরাম ও বর্তমান সভাপতি আরিফসহ অন্যান্য কর্মীরা শাহ মখদুম, আমির আলী ও লতিফ হল দখল করেন। ফারুকের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে রাইজুল জানান, ঘটনার সময় ফারুক শাহ মখদুম হলের টিভি রুমে ছিলেন। গোলাপ, আহাদ ও আনিসের হামলায় তিনি মারা যান।

এরপর শিবির কর্মীরা রাতের বেলা তাঁর লাশ পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে ম্যানহোলের ভেতরে ফেলে দেয়। ওই সময় আশেপাশে পুলিশ না থাকায় তাঁরা লাশটি বের করতে সক্ষম হন বলে তিনি জানান। রাইজুল জানান, লাশটি বাইরে থাকলে পুলিশ জেনে যেতে পারে চিন্তা করে তাঁরা লাশটি গোপন করার জন্য ম্যানহোলে ফেলে দেন। বাইরে থেকে আসা লোকজন ছাত্রলীগ নেতাদের রগ কেটেছে বলে তিনি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানান। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, রাইজুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাঁরা রাজশাহী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও এক ছাত্রশিবির কর্মীরা গ্রেপ্তার করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.