আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুড়ছে পার্বত্য চট্রগ্রাম, জ্বলছে বাংলাদেশ- হাসছে সাজানো খেলার খেলোয়াড়!!



অস্থির একটি সময় যাচ্ছে। !! দেশের দক্ষিন অন্চল পুড়ছে, ভস্মীভূত ঘরবাড়ি, ছাই হয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবন। ধোঁয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে কতো মানুষের স্বপ্ন, ভবিষ্যত; অসহায় জনগোষ্ঠী... দেশের মানুষ আজ দু ভাগে বিভক্ত, কেউ সহানুভূতিশীল আদিবাসীদের প্রতি কেউ বা সেখানে বসতি গড়ে তোলা বাঙালীর পক্ষে! না, আদিবাসী বা সেটলার তাঁদের পরিচয় নয়, তাঁরা সবাই বাংলাদেশী। তাঁরা সবাই আমার দেশের মানুষ, জ্বলছে এক সর্বনাশা আগুনে। যে আগুন প্রজ্জলিত করেছে "রাজনীতি" নামের এক বিষবাস্প! এই আগুন জিইয়ে রেখেছে বছরের পর বছর.. সময় ও সুযোগ মতো উস্কে দেয়া।

এখনই সময় কেনো? বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলংকময়, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটে গত বছর পিলখানায়। নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয় লাভ করে যে সরকার, ভয়ংকর এক ব্যর্থতা দিয়ে শুরু তাদের শাসন আমল। যে ব্যর্থতা দায় তারা কোন দিন কোন ভাবে এড়িয়ে যেতে পারবেনা, যে কলংক হয়তো এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার একটি অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। বছর ঘুরে ফিরে এসেছে সে কলংকের দিন..... "বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে" - এমন প্রচলিত কথাটিও যেনো এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়!! এখানে নিভৃতে কান্নার কন্ঠটিও রোধ করা। ঘৃন্য ও নারকীয় এই হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার কার্য গুজবের ধুম্রজালে আড়াল হয়ে আছে।

স্বচ্ছতা নেই তদন্তে, স্বচ্ছতা নেই বিচার কার্যে! আজকের এই দিনে, বাংলাদেশের মানুষ আবারও স্মরন করবে সেই দুঃসময়। প্রশ্ন জাগবে বিচার কার্য, সরকারের দায়ভার আর স্বচ্ছতা নিয়ে। সেই মানুষদের দৃষ্টি আজ অন্য দিকে... তাঁরা তাকিয়ে আছেন প্রজ্জলিত পার্বত্য চট্রগ্রামের দিকে। কালিমালিপ্ত, নৃশংস অভিশপ্ত অতীত নয়, জ্বলন্ত বর্তমান আজ আমাদের আলোচিত বিষয়.... এমনটিই হবার কথা ছিলো... এমনটিই হয়ে আসছে... এমনটিই হবে.. এভাবেই আমাদের অগোচরে.. বার বার আমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া হয় ভিন্ন দিকে.. শুধু মাঝখানে বলির পাঠা হয় এক দল নিরীহ মানুষ। তাঁরা বাঙালী অথবা আদিবাসী যে নামেই পরিচিত হোক... এই অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ সাদামাটা মানুষরা বাংলাদেশী... আমার দেশের মানুষ।

*** আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। ভালো লাগছেনা নিজের দেশের মানুষের এমন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ি দেখতে। আমরা বরাবর নষ্ট রাজনীতিবিদদের নোংরা চালের শিকার! তাদের অসৎ পাশার গুটি হয়ে কখনও এই পক্ষ কখনও সেই পক্ষ নিয়ে নিজেদের মাঝে কলহ, মারামারি করে মরি.. আর বিজয়ের হাসি হাসে পর্দার আড়ালের খেলোয়ারের দল......**** আজ জাতির জন্য একটি শোকাবহ দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসের সবচেয়ে জঘণ্য নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিলো এক বছর আগে ঠিক এই দিনে। আর কিছু না হলেও শান্ত সৌম্য ভাবে সেদিনের বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারানো সেই বীর সেনানিদের স্মরন করে তাঁদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি।

সেদিনের নারকীয়তার শিকার জীবিতদের মঙ্গল কামনা করতে পারি। প্রতি বছর ঠিক এ সময় নতুন নতুন কালিমাযুক্ত অধ্যায় দেখতে চাইনা। । । শুনতে চাইনা হায়নার হাসি.....!!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।