আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চমেক ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত তরুণী নিখোঁজ : অভিযুক্তদের বাঁচাতে মরিয়া একটি পক্ষ



ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ধর্ষিত তরুণীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এখনও। ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকালও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছিল উত্তপ্ত। ঘটনার ৫ দিন পরও এখনও পর্যন্ত হতভাগ্য সেই তরুণীর সন্ধান জানে না কেউ। বিচার আর পাল্টা বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাস উত্তাল হলেও সেই অজ্ঞাত তরুণীর খোঁজ করার গরজ করছে না চমেক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা। তাকে খুঁজে পেলেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনা।

প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কি ঘটেছে সেই তরুণীর ভাগ্যে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে অনেকে। লজ্জায় লুকিয়ে আছে নাকি ধর্ষণের পর তাকে অপহরণ বা গুম করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসনসহ কেউ তার সন্ধান দিতে পারেনি। গতকাল পুলিশি আর প্রশাসনিক বাধার মুখে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি ছাত্রলীগের একাংশ। অন্যদিকে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে কলেজ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে অপর অংশটি।

সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রূপ দেয়ার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে কলেজের আবদুল্লাহ সরণিতে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত নেতাদের সমর্থিত ৫০তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রলীগের একাংশ কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে তদন্ত চলাকালীন কেউ কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইলে তা প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের অপর অংশ বিচারের দাবিতে কলেজের প্রিন্সিপাল লবিতে জড়ো হয়। তারা কালো ব্যাজ ধারণ করে সেখানে অবস্থান নেয় এবং মিছিলের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর তাদের তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানান। অধ্যক্ষ চলে গেলে তারা আবার মিছিলের উদ্যোগ নেয়। এ সময় মিছিল প্রতিরোধের জন্য ছাত্রলীগের অপর অংশ কলেজের আবদুল্লাহ সরণিতে অবস্থান নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকলে পুলিশ এসে মিছিল প্রস্তুতিতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।

পরে কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা এসে তাদের শান্ত করেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।