আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে প্রতিহিংসা চরিতার্থ হলো। সে আগুনে ম্যাঙ্গোপীপল ট্যাক্সদাতাদের ১৪০০ কোটি টাকা জলে গেলো!



জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু হয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার ও রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের শাসনামলে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। বিমানবন্দরটি রাষ্ট্রপতি জিয়ার উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি শাহাদতবরণ করেন। ফলে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন এবং এই মহান নেতার প্রতি দেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা ও আবেগের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমানের নামে বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়।

১ হাজার ৩০০ একর জমির ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহত্ এ বিমানবন্দর ১৬টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স নিয়মিত ব্যবহার করে। বছরে প্রায় ৫ লাখ যাত্রী এ বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ওইদিন রাতেই বিমানবন্দরের নামফলকের জিয়া শব্দের আলো নিভিয়ে ফেলা হয়। বিমানবন্দর থেকে জিয়ার নাম পরিবর্তন করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে একুশে উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও বিমানবন্দর থেকে জিয়ার নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে আর করেনি। নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি সরকারও নাম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু বিএনপি সরকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম ফেলে দেয়নি। বিমানবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাম পরিবর্তনের ফলে সরকারের প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।

সারাবিশ্বের বিমানবন্দরগুলোতে ‘জিয়া’ নাম প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে এ খরচ হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।