আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এয়ারপোর্ট, তোমার নাম কী অথবা শিক্ষা ১, অধিক ক্ষমতাশালী অধিক ভদ্র হয়!

স্বেচ্ছাচার না করা গেলে তারে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারের অধিকার।

"আর দেখো উড্ডয়নশীল জালালী! মহাকাশে গোত্তা খাইতেছে। উহারা কি বিমান হয় না?" -ব্রা. রা. (কবিতা, ২১/২/২০১০) জিয়া বিমানবন্দরের নাম বদলাইছে জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ সরকার। তাতে আমার বেজায় খুশি লাগছে।

কিন্তু বদলাইয়া শাহজালালের নাম আনায় খুশিটি গিলে ফেলেছি। (এমনিতে ইসলামে কোনো জায়গার নামরে ব্যক্তির নাম দিয়া সাজানো যায় কিনা সন্দেহ। হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নামে কোনো বিমান বন্দর, মেডিক্যাল কলেজ কি রাস্তার নাম আছে কি? {প্রশ্ন}) তবে ইসলাম পারসনদের মাজার অ্যালাউ করে। কারণ যার মাজার তা তো তারই মাজার। তো "ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর" কি খারাপ নাম আছিল নাকি? বিএনপি ওইটা বদলাইল কেন? বিবিধ জিনিসের নাম মানুষের নাম দিয়া দিতে হইব কেন? এইভাবে কৃতবিদ্য রাজনীতিক আর সমাজ সংস্কারকদের নামে সব স্থাপনা আর রাস্তাঘাটের নাম দিতে থাকলে দেশে নিজ নামে কোনো এলাকার নামই আর বাকি থাকবে না।

শেখ হাসিনার তল্পিবাহক আর তোষণকারী বুদ্ধিজীবীরা ঢাকা শহরের নাম "শেখ হাসিনা" দেওনের আগেই অনুরোধ: অবিলম্বে সকল স্থাপনা ও রাস্তার পুরানা নিজ নিজ নাম ফিরায়া দেওয়া হউক। বঙ্গবন্ধু আর শহীদ জিয়া, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি, আপনাগো কাছে আমরা দেশ বর্গা দিয়া দেই নাই। তবে দেশ অচেতন ভাবে প্রতিশোধ নেয়। দেখেন বঙ্গদেশ শেখ মুজিবরে `বন্ধু' বইলা বইলা তার আসল নাম শেখ মুজিবরে আড়াল কইরা ফেলছে দেশ। এক সময় শেখ মুজিব নামে আর কেউ থাকবেন না এই দেশে - কেবল বঙ্গবন্ধু।

নেতা হিসাবে শেখ মুজিব নিজ নামে প্রচারিত হইলে ভালো হইত মনে হয়। ভাগ্য ভালো শেখ হাসিনার উপরে সৈয়দ শামসুল হকের প্রস্তাবিত 'ভাষাকন্যা' ওইভাবে আছড় করতে পারে নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কয়টা ডক্টরেট পাইছেন। কী কী আমি জানি না। কিন্তু একজন ডক্টরেট যখন শিক্ষা দিতে চাইবেন তা শিরোধার্য।

তিনি বললেন বিএনপিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য জিয়া বিমান বন্দরের নাম বদলাইছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থিকা এমন হুমকি-ধামকি মূলক কথাবার্তা অশোভন। তেমনই অশোভন যখন শিক্ষা দেওয়ার তরে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে শহীদ মিনারে ফুল দেওনের কালে প্রটোকল দেওয়া না হয়। ক্ষমতার সঙ্গে ভদ্র ব্যবহারের কোনো বিরোধ নাই। বরং অধিক ক্ষমতাশালী বেশি ভদ্র হয়।

শিক্ষা তখনই দেওয়া হয় যখন ছাত্রীর ভবিষ্যৎ থাকে। বা মনে করা হয় ছাত্রী এই শিক্ষা কাজে লাগাইতে পারবে। আমি বিএনপির কোনো আপাত ভবিষ্যৎ দেখি না, শেখ হাসিনা যে দেখতে পাইতেছেন তা বিএনপি তথা খালেদা জিয়ার জন্য আশা-সঞ্চারী। আশা করি, ভবিষ্যতে তিনিও শিক্ষা দিতে আগ্রহী হইয়া উঠবেন না। স্বৈরাচারী সরকারের মতো সব প্রতিষ্ঠানের নাম নিজের আর আত্মীয়স্বজনের নামে দেওয়া শুরু করবেন না।

২. আপনারা বলুন, আর কোন কোন স্থাপনার নাম কার কার নামে দিতে চাইতে পারে আওয়ামী সরকার? আর বিএনপি ক্ষমতায় আইলে কী কী নামে? ক. কক্সবাজার একটা বিদেশী নাম, এইটারে বদলাইয়া কী নাম দেওয়া যাইতে পারে? খ. সুন্দরবনের নাম বদলাইয়া কী নাম দেওয়া যায়? বা পাহাড়পুরের? বা বুড়িগঙ্গার? বা পদ্মার নাম বদলাইয়া কী কী নাম দেওন যায়? গ. `বাংলাদেশ' নাম বদলাইতে চাইলে আওয়ামী লীগ কী নাম দিবে, বিএনপি কী দেবে? জামায়াতে ইসলামী কী দিবে? ফর ফেসবুক কমেন্টস: ক্লিক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.