আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিত্র দূর্ণীতি অথবা পবিত্র সন্ত্রাস

আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

পবিত্র দূর্ণীতি অথবা পবিত্র সন্ত্রাস গবেষণার জন্য বাংলাদেশে ফান্ড প্রায়ই অপ্রতুল। কিছু গবেষণা ইন্সটিটিউট আছে কিন্তু সেগুলো সমভবতঃ দেশীয় ফান্ড দ্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগণ বিদেশী সংস্থা থেকে ফান্ড সংগ্রহে সক্ষম হতে পারেন এবং করেও থাকেন। বিদেশে দেখা যায় মাস্টার্স পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশে কোন কোন শিক্ষক মাস্টার্সের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কলারশিপ/স্টাইপেন্ড দিয়ে থাকেন, কিন্তু সবাই না। যারা দিয়ে থাকেন তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যে শিক্ষকগণ স্কলারশিপ দেন না তারা কি ফান্ডের অভাবে দেন না নাকি ফান্ড থাকা সত্বেও দেন না এই বিষয়ে আমার কোন স্বচ্ছ ধারণা নাই। ফান্ড থাকা সত্বেও কোন শিক্ষক যদি স্টুডেন্টকে টাকা না দিয়ে থাকেন তাহলে ইহাকে অনিয়ম বলা যাইতেই পারে। তৃতীয় বিশ্ব থেকে যারা বিদেশে পড়তে যায় তাদের বেশিরভাগই জীবিকার (মধ্যমানের ছাত্র-ছাত্রী) তাগিদে (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা আলাদা), হয় দেশে করার কিছু নাই নাহয় প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা।

অপরপক্ষে যে শিক্ষকগণ এই বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে থাকেন তাদের উদ্দেশ্য হলঃ গবেষণা করা, বা বেশি বেশি ফান্ড পাওয়া অথবা অন্যের থেকে নিজেকে সুপিরিয়র করে তোলা ইত্যাদি। যেন "যত বান্দর তত কলা" আবদার করা যায় সরকারের কাছে থেকে অথবা বিভিন্ন সংস্থা থেকে। বাস্তবে তাই ঘটে। প্রত্যেকটা মাস্টার্স/পিএইচডি ছাত্র/ছাত্রীর জন্য প্রফেসররা আলাদা টাকা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীর জার্নাল/কনফারেন্স পেপারের জন্য প্রফেসররা টাকা পেয়ে থাকেন।

তার মানে ব্যাপারটা হচ্ছে "মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট"। কেউ কাউকে করূণা করছে না। এর মাঝে ঘটে অনেক বিপত্তি (যৌণ নির্যাতন আলোচ্য বিষয়ের আওতায় আনা হয় নাই)। ছাত্র/ছাত্রীর কোন একটা ছোট-খাট ভুলের জন্য প্রফেসর (সবাই না) বেঁকে বসেন এবং স্টুডেন্টকে দেশে ফিরে যেতে বলেন। সেখানে কোনরকম অজুহাত চলবে না, কোন মানবিক দিক বিবেচনা করা হয় না, চিন্তা করা হয় না সেই স্টুডেন্টের পেছনের দিকটা, অথবা ভাবা হয় না সেই ভুল ক্ষমার যোগ্য কিনা।

এর ফলে পারিপার্শ্বিক অপমান তো সাধারণ ব্যাপার, ক্ষেত্রবিশেষে অনেক স্টুডেন্টকে আত্মহত্যাও করতে দেখা যায়। প্রফেসরের বিরূদ্ধে মামলা করা হয়তো যায় কিন্তু এ পর্যন্ত আমি একটা মামলার কথা শুনেছি এবং সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টুডেন্ট জিতেছে। শিক্ষা যেহেতু পবিত্র একটা জিনিষ তাই এর সাথে সম্পর্কিত অনিয়মগুলোকে পবিত্র দূর্ণীতি অথবা পবিত্র সন্ত্রাস বলেই আখ্যা দেয়ার অবকাশ থেকে যায়। ধন্যবাদ আপনাদেরকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.