আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা আগেই বলেছিলাম, দাদা বাবুদের খুশি করতে......................

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

সেনা বাহীনির অবস্থানই নাকি সকল সমস্যা কারণ, এখন আবার না বলে বসে বাঙ্গালীদের অবস্থানের কারণে সমস্যা হচ্ছে- সুতরাং বাঙ্গালীরা সাবধান ! ! ! দাদা বাবুরা আছে উপরে! তবে আমরা চাই হাজার বচরের ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ী সম্প্রদায় আমাদের জাতী সত্বার অংশ হিসাবে আমাদের সাথে বসবাস করুন। তারা আমাদের বাইরের কেউ নয়। আমাদের দাবী ন্যায় সঙ্গত ভাবে সবাই সমান অধিকার ফিরে পাক......................... পাহাড়ি-বাঙালি মুখোমুখি অবস্থানের কারণে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। বাঘাইছড়ির কয়েকটি এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে অন্তত ৫০টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে নিরাপত্তা রক্ষীরা গেছে।

পাহাড়িরা অভিযোগ করেছে, সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী সোমবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ডেকেছে পাহাড়ি সংগঠন জনসংহতি সমিতি ও ইউনাইটেড পিললস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম হুমায়ূন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ দুই সংগঠনই দুপুরে বাঘাইহাট উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিলো।

তবে ১৪৪ ধারা জারি করায় সে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। ভূমি বিরোধ নিয়ে গত একমাস ধরে বাঘাইছড়িগতে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা চলছিলো। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে বাঙালি ছাত্র পরিষদের একটি মিছিলের সময় বাঘাইছড়ি বাজারে এক পাহাড়িকে মারধর করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানায়, এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাহাড়িরাও জোট বেঁধে বাঙালিদের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। ওই সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গারামমুখ ও এসএসএফ পাড়া এলাকায় ৩২টি ঘরে, যার বেশিরভাগই পাহাড়িদের।

শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘাত বাঁধলে হাজাছড়া, গুচ্ছগ্রাম, বালুঘাট, সীমানাছড়া, বাইপাইছড়া, সুরঙনালা, কেরেককাবা এলাকায়ও অন্তত ২০টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক বোধিসত্ত্ব চাকমা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত চারজন পাহাড়ি নিহত হয়েছে। বাঘাইছড়ির উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমাও চারজন নিহত হওয়ার কথা জানান। তবে সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বাঙালিরাও অভিযোগ করেছেন, পাহাড়িরা তাদের লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে। পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. ইয়াকুব বলেন, পাহাড়িদের গুলিতে দুজন সেনা কর্মকর্তা আহতও হয়েছেন। সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে কিছু বলছেন না। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী উভয়ই সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সংঘর্ষের পর থেকে দীঘিনালা থেকে বাঘাইছড়ি-সাজেক রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভূমি নিয়ে বিরোধে গত জানুয়ারি মাসের শেষ ভাগে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকদিন পাহাড়ি ও বাঙালিরা পাল্টাপাল্টি অবরোধ কর্মসূচিও পালন করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে বিভিন্ন পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের পুনর্বাসন করা হয়, যা নিয়ে পাহাড়িরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে শান্তি বাহিনী গঠন করে সশস্ত্র সংগ্রামের পথও বেছে নেয় পাহাড়িরা।

সমস্যার সমাধানে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর তারা অস্ত্র ত্যাগ করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।