আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেতুলের টক খাওয়ার আগেই টক

অপরকে মানুষ মনে করেন তাহলে নিজেও মানুষ হতে পারবেন। শুরুতেই বলে রাখি আমি শাহবাগের দাবিগুলোর সাথে আছি যেমনভাবে একজন বাঙ্গালি হিসেবে ঠিক তেমনভাবে আমি হেফাজতের দাবিগুলোর সাথে আছি একজন মুসলমান হিসেবে। শাহবাগের থাবা বাবা কিংবা ব্লগার আসিফের কারনে আমার শাহবাগের দাবির প্রতি আঙ্গুল তোলার কোন অধিকার নেই। তেমনভাবে হেফাজতের আল্লামা শফি আহমেদের ব্যাক্তিগত কোন কথার কারনে হেফাজতের দাবীর বিপক্ষে আঙ্গুল তোলার অধিকার নেই। নাস্তিকদের লেখার যেভাবে বিরোধিতা করি ঠিক সেইভাবে শফি আহমেদের বক্তব্যের বিরোধিতা করি।

শফি আহমেদ তার বক্তব্যে বলছেন নারীদের ঘরের বাহিরে যাওয়ার দরকার নেই,তাদের প্রাইমারী শিক্ষার পর আর পড়ার দরকার নেই। অবাস্তব কথাবার্তা,ইসলামের কোথায় নারীদের ঘরে বেধে রাখার কথা বলা হয়েছে??তেতুল খাওয়ার কারনেই বোধহয় উনি এমন বাজে বকছেন। অথচ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী যদি পড়ে দেখেন তবে দেখবেন তাদের ৪ নাম্বার দফাতে নারী সম্পর্কে বলা আছে। সেখানে বলা আছে আমাদের সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় নারীকে ঘরে বন্ধি করে রেখে। ।

এইজন্যে কর্মক্ষেত্রে নারী নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। । নারীর প্রতি সকল প্রকারের সহিংসতা,যৌতুক প্রথাসহ যাবতীয় নির্যাতনমুলক ব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করতে হবে। । নারীপুরুষের অবাদ অশালীন মেলামেশা ও বেহায়াপনা,যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।

এখন বলুনতো দাবীর কোনখানে কি তেতুলের কথা বলা হয়েছে??ব্যক্তি শফি আহমেদ কি বলেছে ঐটা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করাটা কি বোকামি না???সহজভাবে বলতে গেলে নিজের নৈতিকতা বিসর্যন দিয়ে নামের পাশে একটা শব্দ যোগ করার চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। । নাস্তিকদের লেখাতে যেভাবে গালাগালি হয় ঠিক তেমনভাবে শফি সাহেবের বক্তব্যে এমন গালি দেওয়াটা অপরাধ বলে গণ্য হবে না। । একটা ব্যাক্তির দাবী আর একটা গোষ্ঠীর দাবী এক নয়।

। লাল দেখে ফাল না দিয়ে লাল দেখার পর বুঝতে চেষ্টা করুন এইটা লাল কিনা। । শুধু শুধু তেতুল নিয়া না লাফায় main জিনিষটা ঠিক করেন। কাজে আসবে।

। দেখতে চাই নাস্তিক ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,, গড়তে চাই শস্য শ্যামল সোনার বাংলাদেশ। । চাই না কোন ধর্ম ব্যবসায়ী,, চাই শুধু পণ্য ব্যবসায়ী। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।