আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিই বর্তমান পরিস্থিতির কারণ: দায়ী বড় দুটি দল

Only I know what is my goal, My heart is my temple.

কাজী সায়েমুজ্জামান: বর্তমানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক তথাকথিত ছাত্র রাজনীতির তান্ডবে ফের অশান্ত হয়ে ওঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। এর উত্তাপ গিয়ে লেগেছে জাতীয় রাজনীতিতেও। আর এজন্য দায়ী দেশের প্রধান দুটি দলের নীতিনির্ধারকরা। নির্বাচন কমিশন মুল দল থেকে ছাত্র সংগঠন নামের লেজুড় বাদ দিতে প্রানান্ত চেষ্টা করলেও দুটি দলের গোয়ার্তুমির কাছে তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। ঘুরিয়ে পেচিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইনে ফাঁক ফোকর রাখতে বাধ্য করে ছাত্র সংগঠনগুলোকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রেখে দিয়েছে।

ফলে প্রতিদিনই চলছে কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ অথবা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংঘর্ষের কারণেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়। ভর্তি কার্যক্রম সঠিকভাবে চালাতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও চাঁদাবজি, টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য, ক্ষমতার লড়াই ও হল দখলসহ অপরাধের সব শাখায়ই রয়েছে ছাত্রনেতাদের অবাধ বিচরণ।

অপরাধের বৃত্তে বন্দী এখন ছাত্র রাজনীতি। স্বার্থ নিয়ে অর্ন্তকলহ আর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আর এর শিকার হচ্ছেন একের পর এক শিক্ষার্থী। ঘটছে জঘন্য হত্যাকান্ড। প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন এসবে জড়িয়ে পড়ছে।

স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ৭৩ টি হত্যাকান্ড হয়েছে। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ঝরে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর। আবু বকরকে নিয়ে বর্তমান সরকার মতায় আসার পর এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে আটজন খুন হলেন। সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের হাতে খুন হলেন ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক। বেশ কয়েকজনের রগও কেটে দিয়েছে তারা।

এর রেশ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্রলীগকর্মী মাসুমও খুন হন। ফারুক হত্যার একজন আসামী শাহীন চাপাইনবাবগঞ্জে গুলিতে নিহত হন। এ নিয়ে এ বছরই তথাকথিত ছাত্ররাজনীতির বিষাক্ত থাবায় এগারো জন ছাত্র খুন হলেন। এভাবে হত্যার মিছিলে লাশের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এর যে রাশ টানা হবে তারও কোন লক্ষণ নেই।

কারণ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের গঠনতন্ত্রে ছাত্র সংগঠনকে অংগ সংগঠন থেকে বাদ দিয়ে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রাখলেও আগের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ছাত্র সমাজকে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করার প্রচন্ড আকর্ষণ থেকেই তারা ছাত্রদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে তাদের লেজ হিসেবে তাদের রেখে দিয়েছে। ফলে গোড়ায় গলদ রেখে সুষ্ঠু ছাত্র রাজনীতির জন্য যতই চিৎকার করা হোকনা কেন তা কোন কাজে আসবেনা। কেন মুল দলই দায়ী ? ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের এ কার্যক্রমের দায়ভার গঠণতন্ত্র অনুযায়ী মুল দল আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এড়াতে পারেনা। এড়াতে পারেনা বর্তামন পরিস্থিতির দায়ভার থেকেও।

ছাত্রলীগ যদিও দলের কোন অংগ সংগঠন নয়, এরপরও সহযোগী সংগঠন হিসেবেও এর দায়ভার মুল দল আওয়ামী লীগ নিতে বাধ্য। তেমনি বিএনপির ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫। (১) সহযোগী সংগঠন এর (ক) তে বলা হয়েছে- “ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ দলের সহযোগী সংগঠনের নীতি-নির্ধারণ করবে। দলের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদক সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম তদারক ও সমন্বয় করবেন।

সহযোগী সংগঠন তাদের কার্যক্রমের জন্য আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের মাধ্যমে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট দায়ী থাকবেন। ” দলের এ দায়ের কারণে ছাত্রলীগের তদারকির জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্ত তিনি ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে লাগাম টানতে স্পষ্ট ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে তিন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন ও ভূঁইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে গত বছরের ৪ এপ্রিলও ছাত্রলীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, ছাত্রলীগের যারা সহিংসতা ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম বৈঠক থেকে।

অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তা যে মৌখিক ব্যবস্থা ছিল তা ছাত্রলীগ নিজেদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করেছে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী দলের ৫ম জাতীয় কাউন্সিলে পেশকৃত গঠনতন্ত্রের সংশোধনীতে যে ধারাগুলো বিযুক্ত ও সংযুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে১৩ ও ১৪ ধারা রয়েছে। গঠনতন্ত্রের ১৩ ধারায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অংগসংগঠন সমূহের তালিকা থেকে ছাত্রদলকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়। পরে ধারা-১৪ সহযোগী সংগঠন শীর্ষক ধারা যুক্ত করা হয়।

এতে বলা হয়, “বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা জাতীয়তাবাদী দলের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূটীতে বিশ্বাস করেন তারা স্ব স্ব শ্রেণী-পেশার স্বার্থ রার জন্য সংগঠিত হতে পারবেন এবং এসব সংগঠন দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে গণ্য হবে। তবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং শ্রমিদ দল তাদের স্ব স্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে। ” এ ধারাটি পড়লেই দেখা যায় কিভাবে সুচতুরভাবে অংগ সংগঠন থেকে বাদ দিয়ে ছাত্রদলকে নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীতে বিশ্বাসী হিসেবে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। সহযোগী সংগঠন হলেও একই হাল স্বাধীনতার আগে বা পরে রাজনৈতিক দলের কোন অঙ্গ সংগঠন ছিল না। রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠনের বিধান ছিল না এবং ছাত্র সংগঠনগুলোও লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত ছিল না।

তবে ওইসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আদর্শগত মিল রেখে ছাত্র সংগঠনগুলো কাজ করতো। কিন্তু ১৯৭৬ সালে প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম পলিটিক্যাল পার্টিজ রেগুলেশন, ১৯৭৬-ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় অঙ্গ সংগঠন অন্তর্ভুক্ত করেন। এই রেগুলেশনের ২(ঘ) অনুচ্ছেদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল বলতে “কোন এসোসিয়েশন বা ব্যক্তিসমষ্টিকে বুঝায়, যারা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে বা কার্যক্রমে লিপ্ত থাকে, যার মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার অন্তর্ভুক্ত এবং এতে অন্তর্ভুক্ত হবে উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ, সংশ্লিষ্ট বা ফ্রন্ট অর্গানাইজেশন, যেমন ছাত্র, শ্রমিক, সাংস্কৃতিক, কৃষক এবং যুব সংগঠন। ” পরবর্তীতে জেনারেল জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ জারি করেন। এতে রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের আইনি বৈধতা দেয়া হয়।

এরপর থেকেই ছাত্রসংগঠনগুলো মুল দলের অংগ সংগঠন বা লেজুড়বৃত্তিক কাজ করে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন ছাত্র সংগঠনকে আর মুল দলের অংগ সংগঠন হিসেবে রাখা যাবেনা মর্মে আইন করে। তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০০৮-এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে। বর্তমান সংসদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) আইন, ২০০৯ পাসও করে। এ আইনের ৯০বি(১)(বি) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকমিশনের অধীনে নিবন্ধিত হতে চাইলে তার গঠনতন্ত্রে নিম্নের সুস্পষ্ট বিধান থাকতে হবে।

কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক অথবা ছাত্র অথবা আর্থিক, বাণিজ্যিক অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তা অথবা শ্রমিকদের অথবা অন্য কোনো পেশার সদস্যদের নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ রাখবার: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কিছুই তাদেরকে স্ব-স্ব েেত্র স্বাধীনভাবে সংগঠিত হবার অথবা সংগঠন, সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদি গঠন করবার এবং সকল প্রকার গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চা করবার, এবং ব্যক্তি হিসেবে, বিদ্যমান আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হবার েেত্র বাধা হবে না। ’ এ আইনে নিবন্ধিত দলের জন্য অঙ্গ অথবা সহযোগী সংগঠন থাকা বেআইনি হলেও রাজনৈতিক দলগুলো তা মানেনি। তারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে ছাত্র সংগঠনকে তাদের লেজুড় হিসেবেই রেখে দিচ্ছে। তাদের চাপের কাছেও নির্বাচন কমিশনের নীরবতা পালন করেছে। এ আইন করার প্রধান কারণ ছিল- ছাত্র সংগঠনগুলো যাতে সধারণ ছাত্রদের স্বার্থ সংরক্ষন করে।

কারণ দলের অংগ সংগঠন থাকলে ছাত্রদের স্বার্থ সংরণ না করে মূলত রাজনৈতিক দলের হতিয়ার হিসেবে কাজ করে। গত বছরের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশনে স্থায়ী গঠনতন্ত্র জমা দেয়। এতে ছাত্র সংগঠনকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে দলের নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়া হয়। বলা হয় সহযোগী সংগঠন করার ফলে নির্বাচন কমিশনের অংগ সংগঠন না রাখার যে আইন রয়েছে তা মানা হয়েছে। অন্যদিকে গত ২১ জানুয়ারী বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র জমা দেয়।

দুটো গঠনতন্ত্র জমা দেয়ার শেষেই দু দলের নেতারাই বলেছিলেন, এখন ছাত্র সংগঠন নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে। ছাত্র সংগঠন দুটো আর মূল দলের অংগ সংগঠন নেই। তবে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আইন এন আই খান এ প্রতিবেদককে বলেন, “নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির জমা দেয়া গঠনতন্ত্রের কোথাও ছাত্র সংগঠনকে অংগ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে রাখা হয়েছে বলা হয়নি। কথা ছিল ছাত্র নেতারা ডালে বেশিপানি দেয়া হলো কিনা তা দেখবেন। কিন্তু বাস্তবে অন্য চিত্রই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন প্রথম আরপিওর ৯০বি(১)(বি) ধারার প্রথম অংশ তৈরী করেছিল। এর মাধ্যমে বলা হয়েছিল, কোন ছাত্র সংগঠন অংগ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকতে পারবেনা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তিতে পরের শর্তাধীন শেষের অংশটি যোগ করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর সুযোগ নিয়েই নিজস্ব গঠনতন্ত্রে ছাত্র সংগঠনগুলো পরিচালিত হবে- এমন প্রতিশ্র“তির মাধ্যমে গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছিল রাজনৈতিকদলগুলো।

তবে তারা ছাত্র সংগঠনকে পরোক্ষ প্রভাবে ঠিকই রেখে দিয়েছে। এভাবে ছাত্র সংগঠনকে নিজেদের লেজুড় হিসেবে রাখতে প্রধান দুটি দলই একমত হয়েছিল। যার ফল দুটো দলের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে সহযোগী হিসেবে ছাত্র সংগঠনকে রেখে দিলেও অংগ সংগঠনের মতোই কাজ করছে। ফলে আইন করে তাদের অংগ সংগঠন থেকে বাদ দিলেও কোন সুফল বয়ে আনেনি।

যেভাবে ছাত্র রাজনীতিতে হত্যার সংস্কৃতি ছাত্র রাজনীতির এ নোংরা রূপটির উদ্ভব হয়েছিল ১৯৫৮ সালে পাকিস্থানে সামরিক শাসন শুরু হলে। ওইসময় দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল ছাত্রদের দমিয়ে রাখতেই তৈরী করা হয়েছিল সরকারের অনুগত ছাত্র নামের গুন্ডাবাহিনী। তবে এর আগে এ রকমের দখল পাল্টা দখলের রাজনীতি ছিলনা। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হলেও ছাত্ররাজনীতিতে সংঘাত সৃষ্টি হয়নি। মুসলিম লীগের সমর্থক তৎকালীন মুসলিম ছাত্রলীগের যারা শাহ আজিজ গ্রুপ নামে পরিচিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে থাকতেন।

আওয়ামীপন্থী ছাত্রলীগ তাদের কখনও উৎখাত করার চেষ্টা করেনি। তবে সামরিক শাসন শুরু হওয়ার পরই ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে কোন্দল সংঘাত ও দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। আইয়ুব খানের গভর্নর মোনায়েম খানের পৃষ্ঠপোষকতা ও গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে গঠিত হয় এনএসএফ বা ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন নামক ছাত্র সংগঠন। এদের দৌরাত্ম্য, গুন্ডামি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমেই শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির কলংক। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পাচপাত্তু’ নামে মোনায়েম খানের অনুগ্রহভাজন এক ছাত্রনেতার উত্থান ও একসময় পতন হয়।

পাচপাত্তুই ছাত্র রাজনীতিতে হত্যার রাজনীতির প্রবর্তন করে। তবে গণতন্ত্রকামী ছাত্রনেতারা তখন এ ধরনের কলুষিত রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর পাচপাত্তুর ভুত ভর করে। শুরু হয় হত্যার রাজনীতি। সেভেন মার্ডার দিয়েই যাত্রা: স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দ্বারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল রাত সোয়া দুইটার দিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ’র দ্বিতীয়পর্বের ছাত্র নাজমুল হক কোহিনূর, এমকম প্রথম পর্বের ছাত্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র রেজওয়ানুল, একই বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র সৈয়দ মাসুম মাহমুদ, আবুল হোসেন, এবাদ খান এবং এমকম প্রথমপর্বের ছাত্র বশিরুদ্দিন আহম্মদ জিন্নাহকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের টিভি করে বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে নৃশংসভাবে ব্রাশফায়ার হত্যা করা হয়। পরে তাদের একই হলের পানির ট্যাঙ্কে ফেলে রাখা হয়। ভোরে ট্যাপ ব্যবহার করতে গেলে পানির বদলে রক্ত বের হয়। খুনের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের আতংকিত করতেই একাজ করেছিল খুনীরা। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধান হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়ায় দু’দিন পরই গ্রেপ্তার হন।

ওই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি শফিউল আলম প্রধানসহ তার সহযোগীদের অভিযুক্ত করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। বিচারে শফিউল আলম প্রধানসহ তার সহযোগীদের যাবজ্জীবন কারাদাণ্ড হয়। তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। পরে প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করে দেয়ায় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি শফিউল আলম মাত্র ১০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যান। এভাবে ছাত্রনেতারা খুন করেও পার পেয়ে যান বলে ছাত্র রাজনীতিতে হত্যার রাজনীতি আর বন্ধ করা যায়নি।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ ব্যালট বাক্স পর্যন্ত ছিনতাই করেছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলেও ছাত্রদের মধ্যে তৈরী হয় সরকারের অনুগত বাহিনী। ছাত্রদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন পন্থা নেন। জাতীয় পার্টির আমলে স্বৈরাচার এরশাদও ছাত্রদের হাতে ব্যাপক আকারে অস্ত্র তুলে দিয়ে একটি অনুগত বাহিনী তৈরী করেন। স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলন দমন করতেই এরশাদের নির্দেশে সরকারী ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ ছাত্রদের মিছিলে গুলি করেছিলেন।

ফলে জীবন দিয়েছিলেন ডা. মিলন দেলোয়ারসহ আরও কয়েকজন। নির্বাচিত সরকারের ১৯ বছর: দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ প্রোপট তৈরী করে দিয়েছিলেন ছাত্র নেতারাই। দেশের ইতিহাস নির্মাণে ছাত্র নেতাদের অবদান এককথায় অনবদ্য ও অবিচ্ছিন্ন। ছাত্র রাজনীতির সর্বশেষ অবদান ছিল ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে। কিন্তু এরপরই পথ হারিয়ে ফেলে দেশের শীর্ষ ছাত্র সংগঠনগুলো।

রাজনীতি বাদ দিয়ে হত্যা, দখল, টেন্ডারবাজি ও ভর্তি বাণিজ্যকেই তারা আসল কাজ হেসেবে বেছে নেয়। ছাত্রলীগ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মতায় গেলেও ছাত্রলীগ শিাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ছাত্রবাসগুলো দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালে সূর্যসেন হল দখল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা পার্থ নিহত হন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বাগেরহাট গ্রুপ, শরীয়তপুর-মাদারীপুর গ্র“প এবং গোপালগঞ্জ গ্র“প আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এদের মধ্যে সংঘর্ষ ছিল নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।

ওই সময় ছাত্রলীগের ৬৭ জন বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। ২০০১ সালে ১৬ আগস্ট জিয়া হলে রিভলবারের গুলিতে ফিরোজ নামে হল শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি খুন হন। ১৯৯২ সালে ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভ্যন্তরীন কোন্দলে সামসুন্নাহার হলের সামনেই খুন হন। এজন্য ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হলেও তারা ছাড়া পেয়ে যান। ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগ (শা-পা) ও ছাত্রলীগ (কা-চু)-র মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের টিয়ার সেলে মাস্টার্সের ছাত্র বুলবুলও নিহত হয়েছিলেন।

এবারও একই ধরনের ঘটনার শিকার হলেন আবু বকর। ছাত্রদল ১৯৯১ সালে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হয়ে মতাসীন হওয়ার পরপরই দলটির ছাত্র সংগঠন দখল করে নেয় বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠান। এসময় প্রতিপ দল ছাত্রলীগের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে তারা। এছাড়া নিজ দলের নেতাকর্মীরাও এর বিষাক্ত ছোবল থেকে রেহাই পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আরিফ হোসেন তাজ, সূর্যসেন হলের ক্যাডার রতন, তমিসহ আরও কয়েকজন অভ্যন্তরীণ ছাত্রদলের কোন্দলেই খুন হন।

বিএনপির দ্বিতীয় দফা মতার নেয়ার পর আরও কয়েকজন ছাত্র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুন হয়। ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জহুরুল হক হলের ছাত্রদল নেতা খোকন নিহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল ইসলাম মামুনও গ্র“পিংয়ের ছোবলে বাচঁতে পারেননি। এছাড়াও জহুরুল হক হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি। ২০০১ সালের ১০ই অক্টোবর বিএনপি জোট সরকার মতাসীন হয়।

১৩ই নভেম্বর জহুরুল হক হল দখল নিয়ে ছাত্রদল অস্ত্রের মহড়া দেয়। ওই ঘটনা তখন দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ১৭ই নভেম্বর সংসদে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার প্রস্তাব তোলেন। এতে বিরোধি দল আওয়ামী লীগের সাড়া না পেয়ে ১৯ই নভেম্বর তিনি ছাত্রদলের কার্যক্রম স্থগিত করেন। ২০০২ সালের ২ জুলাই ছাত্রদলের লাল্টু ও পিন্টু গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে পিন্টু গ্র“পের দুজন বহিরাগত ক্যাম্পাসেই নিহত হয়। ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলে ছাত্রদল নেতারা তান্ডব চালায়।

তবে ছাত্ররা এর প্রতিবাদে ঝাপিয়ে পড়লেও ছাত্রদল নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এতে জোট সরকার ফের শিক্ষাঙ্গণে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রয়োজন অনুভব করে। পরে দলের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ছাত্রদলকে নিজের মতো করে পুনর্গঠন করেন। কিন্তু এ দলটিও হেন সন্ত্রাসী কাজ নেই যে তাতে যুক্ত হয়নি। জহুরুল হক হলে সভাপতি তানজীলের নেতৃত্বে মতিঝিলে তৎকালীন পুলিশের এলিট ফোর্স ‘র‌্যাট’-এর দু’সদস্যকে খুন করে।

সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পাশা নামের একজন ছাত্রদল ক্যাডার অস্ত্র নিয়ে গোলাগুলি করে দেশবাসির দৃষ্টি আকর্ষন করতে সম হয়। ছাত্রশিবির অন্যদিকে ইসলামী ছাত্র শিবির পুরোটাই ক্যাডারভিত্তিক ছাত্র সংগঠন। ১৯৭১ সালে জামাতের ছাত্র সংগঠন ছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘ। কিন্তু জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কারণে মুল দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে তার ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংঘও নিষিদ্ধ হয়। তবে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংঘ নাম পাল্টে রাখে ছাত্র শিবির।

পরে স্বৈরাচার সরকারগুলোর আমলে শিবির তাদের ক্যাডারভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেয়। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিবির অস্ত্রভিত্তিক ছাত্র রাজনীতিতে শক্তি সঞ্চয় করে। শিবিরের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে এর আন্তর্জাতিক লিয়াজো। একটি আন্তর্জাতিক মুসলিম ছাত্র সংগঠন থেকে ছাত্র শিবির আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ও আশ্রয় পায়। একেও পুরো পুরি কাজে লাগিয়েছে সংগঠনটি।

চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তারা সরকারের অংশীদার হওয়ার কারণে এ অবস্থানকে পাকাপোক্ত করে। এসময় বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রদলকেও তারা হটিয়ে দিয়ে তাদের দখল বহাল রাখে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রদল তাদের দখল সহজেই ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিলেও শিবির ছাড়েনি। ফলে ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে যে কয়টি সংঘর্ষ হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে শিবিরকে পাওয়া গেছে। তবে ছাত্রলীগের হামলার মুখে টিকতে না পেরে শিবির এখন আবাসিক হলগুলো ছেড়ে মেসে আশ্রয় নিয়ে অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে।

গত ১৮ জানুয়ারী চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকার মিস্ত্রিপাড়ার ‘হক ভিলা’ নামের ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেস থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক উদ্ধার করে। এ সময় জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মীসহ সংগঠনের ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তিনটি রিভলবার ও তিনটি এলজি এবং চতুর্থ তলার একটি ফ্যাট থেকে একটি রিভলবার ও নাইন এমএম পিস্তলের গুলিসহ ৩৭টি গুলি, বোমা তৈরির পাউডার পাওয়া যায়। দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনেই ছাত্র শিবির সুকৌশলে অবস্থান করছে। শিবিরের দখলবাজিতে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

তারা একবার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ও দখল করেছিল। তবে প্রশাসনের চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। প্রতিটি সরকারের সময়ই সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনে প্রবেশ করে কোন্দল তৈরীর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত রয়েছে ছাত্র শিবিরের। ফলে শিবিরেরই একটি অংশ ছাত্রলীগ ও আরেকটি অংশ ছাত্রদল কর্মী হিসেবে কাজ করে। এরা ছাত্র লীগ বা ছাত্র দল করলেও শিবিরের স্বার্থ সংরক্ষণ করে।

তবে এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। অনেক সময় এরা শিবিরের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসায় শিবির কর্মী ইব্রাহিম ছাত্রলীগ করতে গিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে তাকে খুন করা হয়। শিবিরের এ কৌশলের কাছে দেশের প্রধান দুটি ছাত্র সংগঠনই হেরে গেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোন ব্যবস্থা না নিলেও অন্তত বাস্তবতা স্বীকার করেছে।

কিন্তু শিবিরের মুল দল হিসেবে জামায়াত পুরোপুরি ভিন্ন। তারা শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কোন দিনই স্বীকার করেনি। এবারও দেখা গেছে রগ কাটার দায়ও তারা ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়েছে। আসলে ছাত্র রাজনীতির বর্তমান চেহারা অনেকদিনের পুঞ্জিভূত অনেকগুলো বিষয়ের প্রকাশ। দুর্বৃত্তায়িত ও লেজুড়বৃত্তির কারণেই ছাত্ররাজনীতির এ হাল।

এর পরিবর্তে অতীতের ন্যায় ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক ও ছাত্রদের স্বার্থ নিবিষ্ট ছাত্র সংগঠন চালু হলে তা গণতন্ত্রের বিকাশে আগের মতোই ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্যথায় সম্ভব নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।