আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাজারীকে সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার আহবান

আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ফেনীর আলোচিত রাজনীতিক জয়নাল হাজারীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, একজন রাজনীতিক নেতাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া যাবে না। জয়নাল হাজারীর মুখ বন্ধ করে তার নাগরিক অধিকার হরণ করা যাবে না। অভিযোগ থাকলে সরকার তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিচার করুক। অন্যদিকে লেখক জয়নাল হাজারী নিজেকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, হিটলারের দুর্ভাগ্য, তার মৃত্যুর পর অনেক অপবাদ দেয়া হয়েছে।

তিনি সেগুলোর জবাব দিয়ে যেতে পারেননি। তার সৌভাগ্য তিনি এ বইয়ের মাধ্যমে সব অভিযোগ পরিষ্কার করে যেতে পারলেন। সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে ‘জয়নাল হাজারী বলছি’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশক অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, বঙ্গবন্ধুর প্রেস সেক্রেটারি আমিনুল হক বাদশা, প্রবীণ সাংবাদিক বাহাউদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু রিচার্স সেন্টারের পারভীন সুলতানা প্রমুখ। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, নিজের সম্পর্কে অকপটে কথা বলার লোক বাঙালিদের মধ্যে তিনি কম দেখেছেন। হাজারী তার বইতে অকপটে নিজের কথা লিখেছেন।

তিনি যদি সন্ত্রাসী হন সরকার আছে বিচার করবে। কিন্তু তাকে কথা বলতে দিতে হবে। তিনি হাজারীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে যোগ না দিতে টেলিফোনে হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেন, পারলে লিখে জবাব দিন। তার মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না। তিনি ফেনীর রাজনীতি প্রশ্নে দুটি পত্রিকার সমালোচনা করে বলেন, নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে জামায়াত-রাজাকার চাটুকারিতায় নেমেছে তারা।

এজন্যই মসজিদে গিয়ে মাফ চাইতে হয়। এরাই ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের উৎখাতের ভূমিকায় নেমেছিল। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রতি জয়নাল হাজারীকে সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। জয়নাল হাজারী বলেন, মিথ্যা অপবাদ দেয়ার পরও তার জীবনের ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল কিছু দিক আছে। বইতে তিনি সেগুলো তুলে ধরেছেন।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তার কাছে এরশাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে ফেল করে। এরপর ’৮৭ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনদিন সংসদ অবরোধ করে রাখা হয়। তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা বিবৃতি দেয়। এগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

এ গৌরবের কথা তিনি তুলে ধরেছেন বইতে। তিনি বলেন, আত্মজীবনীমূলক এ বইতে তার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের কথা আছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ জেল জীবন, তসলিমা নাসরীন, বাঁধন, টিপু সুলতানসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে। তার বিরুদ্ধে আনা সব অপপ্রচারের জবাব দিতে চেষ্টা করেছেন। জয়নাল হাজারী তার এলাকার এক সাংবাদিকের নাম উল্লেখ না করে বলেন, তিনি ফেনী দখল করতে চান।

অথচ নিজের এলাকার ভোট পান না। সেই সাংবাদিক গোলাম আযমের সার্টিফিকেট নিয়ে অবজারভারে চাকরি নিয়েছেন। দুবার হজে গেছেন জামায়াতের টাকায়। তিনি গোলাম আযমের নাগরিকত্ব দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। সাংবাদিক আমিনুল হক বাদশা বলেন, জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার সামনে এসে বলবেন।

দূর থেকে অপবাদ দেবেন না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অনেক দূর যেতে হবে। হাজারীর মতো নিবেদিত যোদ্ধাকে দূরে সরিয়ে রাখা ঠিক হবে না। ২০৮ পৃষ্ঠার বইটি একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রঃ যায়যায়দিন
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।