আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবার সংগঠিত হচ্ছে জেএমবি

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
ঢাকাকে ৫ টি অঞ্চলে ভাগ করে ‘দাওয়াতী’ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আবার সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। নতুন করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া ছাড়াও যারা জেএমবি ত্যাগ করেছে তাদেরকে হত্যা করার পরিকল্পনাও করেছে তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় খুন হওয়া সাবেক জেএমবি সদস্য রশিদুলের হত্যা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এই মামলায় এহসার সদস্য জামাল ও মিজানকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জেএমবির সাবেক এহসার সদস্য ও ২০০৩ সালের আগস্ট জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশের সঙ্গে বন্দকযুদ্ধের মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত রশিদুল ইসলাম উত্তরায় নিজের সাবেক সতীর্থদের হাতে খুন হন।

এ ঘটনার পরদিন পুলিশের মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে বলেছিলেন, “জঙ্গিদের যে তৎপরতা সেটা ওই ধরনের কোন অবস্থায় আছে বলে অ্যাটলিস্ট আমি আমার অবস্থান থেকে মনে করি না। ” তবে উত্তরা থানা পুলিশ রশিদুল হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্য জামালউদ্দিন ওরফে আবদুল্লাহ ও মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভিন্ন তথ্য পেয়েছে—সারাদেশ থেকে জেএমবি সদস্যরা এখন ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের ডিসি (উত্তরা) নিসারুল আরিফ গ্রেপ্তার হওয়া জামাল অনেক কিছু জানে বলে দাবি করেন। তিনি দেশ টিভিকে বলেন, জামাল ২০০৩ সালে জেএমবি ছেড়ে গেছে এমনটি জানালেও ২০০৫ সালে স্থানীয় থানা এসপি, ডিএসপি বরাবর যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানেই জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য হিসেবে জামালের নাম রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া মিজান ২০০৮ সাল থেকে রশিদুলকে চিনে—এ কথা জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে এমন কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারের একদিন আগে দেশটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জামাল বলেন, “জেএমবিতে আমি আব্দুল্লাহ নামে পরিচিত ছিলাম। আমি ঐ সময় এহসার ছিলাম। আমি দিনাজপুর এলাকার দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা দু’জনে কেউ কাউকে জেএমবিতে নিয়ে আসিনি। জেএমবিরা আমাদেরকে দুইজনকে নিয়ে আসার পরে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম বা চিনেছিলাম।

জেএমবিরা তাকে টার্গেট করছে যে যারা দল ত্যাগ করে তারা মুরতাদ হয়ে যায়, ধর্মত্যাগী হয়ে যায়। ধর্মত্যাগী বলে তাকে এভাবে খুন করেছে। ” এদিকে, জেএমবি’র কোনো সদস্য যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় সরকার তা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.