আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশায় বুক কখনোই বাঁধবোনা আর....

দ্যা ব্লগার অলসো.....

আলতো করে ওর কোমড় জড়িয়ে ধরলাম, নরম তুলতুলে দেহটা মিশিয়ে দিতে চাইলাম আমার দেহের সাথে। তারপর তার গালটা দুহাত দিয়ে ধরলাম। আঁজলা ভরে পানি খাওয়ার মতো করে ঠোঁট দুটো নামিয়ে আনলাম ওর ঠোঁটের উপর.....ঝলাৎ!!!!!!!!! এক বালতি পানি পুরোটাই আমার গায়ের উপর!! সেই তখন থেকে মা ডাকছিলেন- উঠ, উঠ আর কতো ঘুমাবি। কিন্তু মা কি জানতেন আমি স্বপ্নের চূড়োয় যখন আরোহন করেছি, ঠিক তখনই তিনি আমাকে এই কঠোর, শক্ত দুনিয়ায় ফেরত আনলেন। যে দুনিয়ায় আরামের ঘুম ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য এই শীতকালে হাঁড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে শীতল পানি ঢেলে দেয়া হয়।

এই ব্যাপারটি প্রতিবারই ঘটে বাংলাদেশ নামক ক্রিকেট দলটির খেলা যখন দেখতে বসি। স্বপ্নের শিখড়ে তুলে তারপর ধরাম করে আছাড়। এক আছাড়েই মর্ত্যে। পাকিস্তানের সাথে জিতে যাওয়া ম্যাচ পকেট থেকে বের করে নিলো আলু। সেবারও এমন স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিলো।

কিন্তু এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। হারা জেতার প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর। কিন্তু ২২ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারানোটা কোন ধরনের টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাটাগরিতে পড়ে আমার বুঝে আসেনা। প্রতিবারই বস্তাপঁচা ভুল, প্রতিবারই নতুন কোনো অজুহাত। এবারের অজুহাত ছিলো, তারা নাকি হালকা ভাবে নিয়েছিলো ব্যাটিংটাকে।

মানে তামিমের ব্যাটিং এর পর তারা নাকি ভেবেছিলো, ব্যাট করাটা কঠিন হবেনা। এ ধরনের হাস্যকর যুক্তি দিতে এতোটুকু বাধেনা সাকিবের? সাহাদাত এর ব্যাটিং দেখেও কিছু শেখেনা রাকিবরা? এ পর্যন্ত শুধু ব্যক্তিগত অর্জনেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হচ্ছে। টিমওয়ার্ক নামের জিনিসটা আজও বিল্ডআপ করলেনা দলের মধ্যে। এতোগুলো ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজন ব্যাটসম্যানও যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলতেন, তাহলে এই লেজেগোবরে অবস্থা হতোনা। যাই হোক, সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খেলা দেখতে বসলে কোন আশা নিয়ে বসবোনা।

ফল যা হবার হবে, এই মানসিকতা থাকলে কষ্ট পেতেও হবেনা আর ম্যাচের পর সেই কষ্ট নিয়ে সামুতে লেখার মতো সময় অপচয়ও করতে হবেনা। কি বলেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।