আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের পিঠা



আমাদের দেশে শীতকালে অনেক রকম পিঠা বানানোর প্রচলন ছিলো। বিশেষত: বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লায় বহু রকমের শীতের পিঠা তৈরি হত। সেখানে নারিকেলের বহুবিধ ব্যবহার পিঠার স্বাদ আর বৈচিত্রে ভিন্নতা নিয়ে আসত। পিঠপপুলি নিয়ে বহু লোকছড়া/গানও ছিলো। কিন্তু শহরের প্রভাবে আমাদের গ্রামগুলো গ্রামত্ব হারাতে বসেছে।

আগে গ্রামে মেহমান গেলে পান আর পিঠা দিয়ে মেহমানকে আপ্যায়ন করা হত। এখন বাজারের বিস্কুট, নাস্তা, কোল্ড ড্রিংকস, চা তার স্থান দখল করে ফেলছে। ফলে পিঠা তৈরির কষ্ট এখন আর কেউ নিতে চাচ্ছেন না। গ্রামের এ কালের বউরাও পিঠা বানানোর বিষয়ে উদাসীন। জানেনও না পিঠা বানাতে।

জানতেও চান না। ফলে পিঠার অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। অনেক পিঠা বানানো হচ্ছে না। অনেক পিঠা বানাবার আটা তৈরি করতে হয় ঢেঁকিতে। ঢেঁকি না থাকায় সেসব পিঠা আর বানানো যাচ্ছে না।

গ্রাম ছেড়ে পিঠা এখন ঠাঁই নিযেছে ঢাকাসহ শহরের গলিতে গলিতে। সেখানে তৈরি হয় মূলত: ভাঁপা পিঠা আর খোলা পিঠা। এটাই এখন শীতের পিঠার একমাত্র বিজ্ঞাপন। মাঝে মাঝে পুরনো ঢাকার কোন কোন সংগঠন আর প্রবর্তনা পিঠা উৎসব করে। আর কিছু কিছু দোকানে ঘরে তৈরি পিঠা পাওয়া যায়।

এই সবই আমাদের শীতের পিঠার একমাত্র অবলম্বন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।