আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোসলের আহকাম, ফরজ গোসলের পদ্ধতি ও অন্যান্য

সকল প্রশংসা বিশ্ব পালনকর্তা আল্লাহর জন্য সমর্পিত।

গোসলের ফরজ ১ গড়গড়া কুলি করা । ২. নাকে পানি দেয়া ও ৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা। গোসলের আহকাম যে কাজগুলোর জন্যে গোসল করা ফরজ ১. কোন কারণে বীর্যপাত হলে । ২. পুরুষাংগের মাথা স্ত্রীঅংগে প্রবেশ করালে ।

৩. মহিলাদের হায়েজ হলে । ৪. মহিলাদের নেফাজ হলে । গোসলের সুন্নত ১) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করা । ২) ক্রম বজায় রাখা । ৩) প্রথমে ওজু করা ।

৪) দু হাতের কবজী পর্যন্ত ধোয়া। ৫) শরীর থেকে নাপাকী ঘষে দুর করা । ৬) মেছওয়াক করা। ৭) সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা। গোসলের মুস্তাহাব সমূহ ১) উচু স্থানে বসে পোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে।

২) পানির অপচয় না করা । ৩) বসে গোসল করা । ৪) লোক সমাগম স্থানে গোসল না করা । ৫) পাক জায়গায় গোসল করা । ৬) ডান থেকে শুরু করা ।

ফরজ গোসলের মসনুন পদ্ধতি ১. মনে মনে জানাবত (স্ত্রী-সঙ্গম, স্বপ্নদোষ,ঋতুস্রাব ও প্রসব ইত্যাদি নিমিত্ত যে নাপাকি) দূর করার নিয়ত করা। ২. শুরুতে লজ্জাস্থানে লেগে থাকা নাপাকি ধুয়ে ফেলা। ৩. তারপর সাবান বা অনুরূপ কিছু দিয়ে হস্তদ্বয় ধৌত করা। ৪. অতঃপর নামাজের অজুর ন্যায় পূর্ণাঙ্গ অজু করা। ৫. এরপর পানি দিয়ে তিনবার মাথা ভিজানো।

৬. তারপর প্রথমে শরীরের ডান অংশে এবং পরে বাম অংশে পানি ঢালা। ৭. অতঃপর সারা দেহে পানি ঢালা। أَشْهَدُ أَنْ لَا إلَهَ إلَّا اللَّه وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ৮. গোসল শেষে এই দোয়া পড়া তাইয়াম্মুম( অজু ও গোসলের বিকল্প) আল্লাহ পাক বলেন وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مَّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ যদি অসুস্থ অথবা সফরে থাকো, অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ ইস্তেঞ্জা করে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী-সহবস করে থাকো অতপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তাইয়াম্মুম করবে অর্থাৎ তা দিয়ে নিজেদের মুখমণ্ডল ও হস্তসমূহ মাসেহ্‌ করবে (সূরা মায়েদাহ্‌: ৬) তায়াম্মুমের হুকুম-  যদি পানি না পাওয়া যায় ।  পাওয়া গেলেও নাগালের বাইরে ।  পানি ব্যবহারে ভীষণ ক্ষতির আশংকা ।

 যে সব নামাজের কাজা নেই ( যেমন- জানাযা ও ঈদের নামাজ ইত্যাদি) তা অজু করলে না পাওয়ার আশংকা থাকলে । তায়াম্মুমের ফরজ ১. পাক হওয়ার নিয়ত করা ২. দুই হাত একবার মাটিতে মেরে তা দিয়ে মুখমণ্ডল মাসেহ করা। ৩. দুই হাত আবার মাটিতে মেরে দুই হাত কনুই মাসেহ করা। তায়াম্মুমের সুন্নত ১. বিসমিল্লাহ বলা ২. প্রথমে দুই হাত পরে দুই হাত কনুই মাসেহ করা। ৩. মাটিতে হাতের তালু মারা পিঠের দিক নয় ।

৪. মাটিতে হাত মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলো । ৫. দুই হাতের আংগুল প্রসারিত করে মাটিতে মারা যাতে হাতে ধুলা লাগে । ৬. অন্তত তিন আংগুল দিয়ে চেহারা ও হাত মাসেহ করা ৭. প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত মাসেহ করা । ৮.চেহারা মাসেহ করার পর দাড়ি খেলাল করা । যা কিছুর দ্বারা তাইয়াম্মুম সঠিক হবে * মাটি * বালি * বিভিন্ন ধরনের পাথর, যেমন কালো পাথর, মারমার (মার্বেল) পাথর, চুনা পাথর ইত্যাদি * পোড়া কাদা-মাটি যেমন ইট ও কলস।

হায়েজ ও নেফাস হায়েজঃ বয়োপ্রাপ্ত হওয়ার পর মেয়েদের প্রসবের দ্বার দিয়ে স্বভাবগত যে রক্ত বের হয় তাকে হায়েজ বলে । হায়েজ হওয়ার বয়সঃ মেয়েদের হায়েজ হওযার বয়স ৯ থেকে ৫৫ বছর । ৯ বছরের আগে এবং ৫৫ বছর বছরের পরে রক্ত এলে তা হায়েজ কিসাবে গণ্য হবে না । হায়েজের মুদ্দৎ বা কালঃ হায়েজের মুদ্দৎ কমপক্ষে তিন দিন তিন রাত এবং ঊর্দ্ধে দশ দিন দশ রাত । তিন দিন তিন রাতের কম এবং দশ দিন দশ রাতের বেশী রক্ত এলে তা হায়েজ হিসাবে গণ্য হবে না ।

নেফাস সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর মেয়েদের প্রসবের দ্বার দিয়ে স্বভাবগত যে রক্ত বের হয় তাকে নেফাস বলে । নেফাসের মুদ্দৎ বা কালঃ নেফাসের মুদ্দৎ ঊর্দ্ধে ৪০দিন, নিম্নে কোন মুদ্দত নেই । হায়েজ ও নেফাসের হুকুমঃ 1. হায়েজ ও নেফাসের দিনগুলিতে নামাজ রোজা করা হারাম, নামাজ একেবারে মাফ, কিন্তু পাক হওয়ার পর রোজার কাজা রাখতে হয় । 2. হায়েজ ও নেফাসের দিনগুলিতে মসজিদে যাওয়া, কা’বা ঘর তাওয়াফ করা, কুরআন পাঠ করা হারাম, তবে দোয়া দরুদ পড়া যাবে, যদিও তা কোরআনের আয়াত হোক । 3. হায়েজ ও নেফাসের দিনগুলিতে স্ত্রী-পুরুষ মিলিত হওয়া হারাম ।

সূএঃ Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.