আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লাসে আজ ফাঁকা রইলো পিংকির চেয়ার

পরে বলবো

ক্লাসে আর কখনোই ফিরবে না নাসফিয়া আখন্দ পিংকি। এখনো মেনে নিতে কষ্ট তার সহপাঠীদের। আবেগ সংবরণে ব্যর্থ হয়ে কাল স্কুল ছুটি দিয়ে যে যার মতো বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আজ ক্লাস হয়েছে। তবে ক্লাস রুমে প্রিয় সহপাঠীর বসার চেয়ারটি খালি রেখেই বসেছিল সবাই।

অন্তত কিছু সময় পিংকিকে কাছেই অনুভব করেছে তারা। ঘটনা আজ সকালে, শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীকক্ষে। পিংকির বসার চেয়ারটা খালি রেখেই ক্লাস করলেও কেউই ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারেনি। পিংকির সহপাঠী সাজিদ হোসেন বললো, যখনই চেয়ারটার দিকে চোখ যাচ্ছে, তখনই ওর কথা খুব মনে পড়ছে। পিংকির পাশেই প্রতিদিন বসতো তার বান্ধবী সোমা।

তার চোখ ভেজা। কোনো কথাই বলতে পারল না। পিংকিকে মিস করছ কিনা প্রশ্ন করতেই মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে উঠল সে। এ মৃত্যুর বিচার চাও কিনা জানতে চাইলে পুরো ক্লাস গর্জে উঠল একসঙ্গে। সমস্বরে জবাব বখাটের মৃতুদণ্ড চাই।

যেন আর কোনো বখাটে কোনো মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার সাহস না পায়। নবম শ্রেণীর ক্লাস টিচার মোজাহেদুল বারী বললেন, পিংকিকে নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। যেমন চঞ্চল ছিল, তেমন ছিল মেধাবী। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিত। একটু চাপা স্বভাবের ছিল।

বাইরে কোন কিছু হলে শিক্ষককে জানাতো না। স্কুলের প্রিন্সিপাল আফসোস করে বললেন, বখাটে মুরাদ যে তাকে বিরক্ত করতো তা আমাদের একটিবার বললে আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। পিংকিকে আত্মহননের পথে ঠেলে দেয়া বখাটের বিচারের দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করবে। এছাড়া যেসব বখাটে স্কুলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তাদের নাম ঠিকানা পুলিশের কাছে দেয়া হবে বলে দিনের শেষে’কে জানিয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল এমএম সাত্তার। ওদিকে গতকাল বনশ্রী এলাকার ত্রিমোহনীতে মায়ের পাশে চিরশায়িত হয়েছে পিংকি।

বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ ভারি। কিন্তু সে লাশ যদি পিংকির মতো বয়সীর হয়, তাহলে সে ভার সইবার ক্ষমতা কোনো বাবারই নেই। তিনি আবারো পিংকির আত্মহত্যায় জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক এএসএম সায়েদ জানিয়েছেন, আসামি মুরাদকে গ্রেফতারে কয়েক জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

সুত্র : দিনেরশেষে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।