আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইটালির সংসদের আইন বাতিল করলো কোর্ট !



বিরোধিদলের প্রচন্ড বিরোধ ও বিক্ষোবের পরেও ইটালির ডান পন্থী সরকারী দল কয়েক মাস পুর্বে নিজেদের নেতা ও ইটালির বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে বিচারের হাত থেকে বাচাবার জন্য সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগে পাস করেছিলো একটি আইন। ইটালির বর্তমান আইন মন্ত্রীর নাম অনুসারে এই আইনের নাম করা হয়েছিলো ''লডো আলফানো'' অর্থাৎ আলফানোর গিট্টু। এই আইনের মাধ্যমে দেশের প্রেসিডেন্ট,প্রধান মন্ত্রী,সংসদের স্পিকার ও সিনেট এর প্রেসিডেন্ট তাদের পদ বহাল থাকা পর্যন্ত তারা বিচারের আওতার বাহিরে চলে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ তারা যতদিন তাদের পদে বহাল থাকবেন তত দিন তাদের বিরেদ্ধে চলমান সকল মামলা স্হগিত থাকবে। যদিও একমাত্র প্রধান মন্ত্রী ছাড়া অন্য কাহারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা ছিলো না।

ইটালির বর্তমান বর্তমান প্রধান মম্ন্ত্রী হলেন বিশ্বের ২০ জন ধনী ব্যক্তিদের একজন। তার বিরুদ্ধে করফাকি ,বিচারককে ঘুস দিয়ে রায় নিজের পক্ষে নেয়া সহ বিভিন্ন মামলা চলছিল। ইতিমধ্যে তার পক্ষে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য বৃটিশ এক উকিলকে জেল দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন এই রায়ের বিরুদ্ধে । হাইকোর্ট তার আপিল বাতিল করে দিয়েছে।

বর্তমানে শেষ আপিল চলছে। ইতিপুর্বে আইনের বাধা থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই এই আইনের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল ইটালির সংবিধান সংক্রান্ত কোর্ট ''কোর্তে কস্টিটিউছিউনে''। এখানে বিচারকরা এই আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। কারন ইটালির সংবিধানে আইনের চোখে সবাই সমান।

এই আইন পাস হওয়ার পর প্রধান মন্ত্রী ''সিলভিও বের্লোসকনী'' বিচারকদের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট বলা সহ জনসক্ষে বিভিন্ন অসালিন বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। ইতমধ্যে তার আইন মন্ত্রী এরকম আরেকটি আইন করার কথা ঘোষনা করেছেন এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংবিধানেরও পরিবর্তনের কথা বলেছেন। ইটালির বর্তমান বিচার ব্যবস্হা খুবই দীর্ঘ। এই জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়েকবার ইটালিয়ান সরকারকে কয়েকবার জরিমানাও করা হয়েছে। এই সুযোগে মন্ত্রী তাই একই সঙ্গে বিচার খাট করার আইনও পাস করার চিন্তা করছেন।

তাহলো কোন মামলা যদি হালকা ধরনের হয় ও বিচারের রায় যদি কোর্ট দুই বৎসরের মধ্যে দিতে না পারে তবে তার বিচার খারিজ হয়ে যাবে। এই আইনের মাধ্যমেও হয়ত প্রধান মন্ত্রী বিচারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। অপর দিকে গরীব বিদেশীদের বিরুদ্ধে কিছুদিন পুর্বে সংসদে পাস করা হয়েছে বিভিন্ন কঠোর আইন। এই আইনে অবৈধভাবে থাকা বিদেশী নাগরিকদের জেলের ব্যবস্হা করা হয়েছে। তারপর যারা যারা অবৈধভাবে থাকা নাগরিকদের আশ্রয়দিবে তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় আনার ব্যবস্হা করা হয়েছে।

মোসলমানদের ইবাদতের জন্য মসজিদ তৈরী করতে বাধা দিছ্ছে। পুর্বে তৈরী করা প্রচুর মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। মোসলমান মহিলাদের পর্দা করার ব্যাপারেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সমালোচনা করা হছ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন করার হুমকি দিছ্ছে। সরকার গরিবদের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়েছ। কিন্তু এক্ষেত্রে বিদেশী ইমিগ্রেন্টদের বাদ দেয়া হয়েছে উপরন্তু তাদের উপর কিছু কর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ইমিগ্রেন্ট সংক্রান্ত কাগজ রিনিউ করার ক্ষেত্রে ও পাসপোর্টের জন্য আবেদনের জন্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.