বম ভোলানাথ
অমরত্যের প্রত্যাশা নেই নেই কোন দাবী দাওয়া,
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া।
মুহুর্ত যায় জন্মের তরে অন্ধ জাতিস্মর
গত জন্মের ভুলে যাওয়া স্মৃতি বিস্ম্রৃত অক্ষর।
ছেঁড়া তালপাতা পুথির পাতায় নিশ্বাস ফেলে হাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া।
কাল কেউটের ফনায় নাচছে লক্ষিন্দরের স্মৃতি,
বেহুলা কখনো বিধবা হয়না এটা বাংলার রীতি।
ভেসে যায় ভেলা এবেলা ওবেলা একই শবদেহ নিয়ে,
আগেও মরেছি আবার মরব প্রেমের দিব্যি দিয়ে।
জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমার কোলে,
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখব বলে।
বারবার ফিরে এসেছি আমরা এই পৃথিবীর টানে,
কখনো গাঙ্গুর কখনো কোপাই কপোতাক্ষের গানে।
গাঙ্গুর হয়েছে কখনো কাবেরি কখনোবা মিসিসিপি,
কখনো রাইন কখন কঙ্গো নদীদের স্বরলপি।
স্বরলিপি আমি আগেও লিখিনি এখনো লিখিনা তাই,
মুখে মুখে ঘোরা মানুষের গানে শুধু তোমাকেই চাই।
তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন অনেক জন্ম আগে,
তথাগত তার নিঃসঙ্গতা দিলেন অস্তরাগে।
তারি করুনায় ভিখারিনি তুমি হয়েছিলে একা একা,
আমিও কাঙ্গাল হলাম আরেক কাঙ্গালের পেতে দেখা।
নতজানু হয়ে চিলাম তখনো এখনো যেমন আছি,
মাধুকরি হও নয়ন মোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি।
ঠোটে ঠোট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্মটায়,
বিদ্রোহী ওই চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।
আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার,
আমিই ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চিৎকার।
দুঃখ দিয়েছ যতবার যেনো আমায় পেয়েছ তুমি,
আমিই তোমার পুরুষ আমি তোমার জন্মভুমি।
যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা,
কত সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা।
বারবার আসি আমরা দুজন বারবার ফিরে যাই,
আবার আসব আবার বলব শুধু তোমাকেই চাই...
শ্রুতিলিখনের পরিক্ষা দিতে হয়েছে এটা লিখতে গিয়ে। কোন শব্দ ভুল হলে বলে দিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।