আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৈতিকতার চরম বিপর্যয়: সুইপার-বাবুর্চি নিয়োগেও মন্ত্রী-এম.পি দের ঢালাও সুপারিশ

There is only one good, knowledge, and one evil, ignorance.

এসব চর্বিত-চর্বণ টপিক, এগুলো নিয়ে আর আমরা মাথা ঘামায়ও না তেমন, যেন সয়ে গেছে আমাদের। তবু রক্ত মাংসের শরীর তাই হয়তো হটাৎ চোখ আটকে যায় সংবাদপত্রের পাতায়, কখনও বা নিজ জীবনের অভিজ্ঞতায়, কখনও বা বন্ধু, আত্মীয় বা পরিচিত জনের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায়। দেশ নিয়ে আশা দেখি যতবার নিরাশ হয় তার চাইতে বেশি বার, তাতে কিই বা আসে যায় তাদের। কিছুদিন আগে আমরা জেনেছিলাম স্কুলে ভর্তির জন্য মন্ত্রী-এম.পি দের সুপারিশ/অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সেই সব মন্ত্রী-এম.পিদের মধ্যে ছিলেন অনেকেই যেমন হাসানুল হক ইনু, দিলীপ বড়ুয়া।

অথচ এই লোকগুলো কি মুখোশ না পরে আছে বাস্তব সমাজে। কি বড় বড় কথা। আদর্শে ভরপুর! একটি নিস্পাপ শিশু, জগৎ সম্পর্কে যে কোন ধারণাই রাখে না তার মেধাকে চাপা দিয়ে মন্ত্রীর সুপারিশ কাম অর্ডারের ছেলেটিকে স্কুলে ভর্তি করানো হলো। এতে করে যে শিশুটিকে তার ন্যয্য অধিকার থেকে বন্চিত করা হলো তার সাথে যে বেইমানিটা করা হলো তা কি ঐ শিশুটি বুঝতে পারলো? এটা কি কোন ক্ষমার্হ অপরাধ! এই সব সংবাদের মধ্য দিয়ে মনে করেছিলাম, সবই মুখের বলি আসলে পরিবর্তন কোন কিছুই হবে না, বরং নীতি নৈতিকতাকে কিভাবে গলা টিপে হত্যা করা যায় তার নয়া কৌশলে ব্যস্ত থাকবে ঐ সব পাপিষ্ঠ মানুষ রুপি পশুগুলো। এদের মুখে আর যায় হোক শিশু অধিকার রক্ষা, মানব উন্নয়ন এসব কিছু হতে পারে না।

আজকে আবার একটা নিউজ দেখলাম পত্রিকাতে। জানলাম আজ দেশের কোথায় বাবুর্চি, সুইপার নিয়োগ হবে সেটাও মন্ত্রীদের নখ-দর্পনে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বটে, কি সুন্দর পরিবর্তনের হাওয়া, ভাবতে ভালোই লাগে! ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে বাবুর্চি, সুইপার এসব পদের জন্য সুপারিশ করেছেন স্বয়ং মন্ত্রী, এম.পি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ। কারা এই সব মন্ত্রী এম.পি? বাণিজ্যমন্ত্রী ফারক খান (কি সুন্দর বাণিজ্য), আঈন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম (কি সুন্দর আইনের শাষণ), শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া (কি সুন্দর আদর্শ), সাংসদ ফজলে নূর তাপস (কালের আইনজীবি!)। আরো রয়ছেন: নৌ-মন্ত্রী শাজাহান (দলের প্রতীককে রক্ষা করছেন বটে), পশু-মন্ত্রী আব্দল লতিফ (পশু বটে), পানি প্রতিমন্ত্রী মাহবুব, পরিকল্পনা মন্ত্রী খন্দকার (এরা নাকি দেশ গড়ার পরিকল্পনা তৈরি করে!)।

এছাড়া আরো অনেক বড় বড় পদে আসিন ব্যাক্তিবর্গ এসব সুপারিশ কাম অর্ডার দিয়েছেন তার মধ্যে আছেন স্বয়ং ঢাকা মেডিকেল কলেজের অদ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ (নিজের বাড়ি বলে কথা)। যতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে সুপারিশকৃত আবেদনের সংখ্যায় তার চাইতে বেশি। চেইনহীন কৃষকের ছেলেটা চাকরি পাবে কিভাবে? না কোন বিদ্বেষ থেকে লেখাটা নয়, শ্রেফ মনের মধ্যে ভেষে ওঠা একটা দীর্ঘশ্বাস ব্লগের পাতায় রেখে যাওয়া ছাড়া কিই বা মুল্য আছে এসব কথার। আমরা সবাই তো ভন্ড, সামনের মুখটা দেখায়, আর পিছনের টা লুকিয়ে রাখি। আশার তরি তীরে ভেড়ার কি আদৌও কোন সম্ভাবনা দেখা যায়? সুত্র: ঢামেক নিয়োগ সংবাদ


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.