আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীতির মূলনীতি ও নৈতিকতার দ্বন্দ

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

ব্লগিয় স্নেহভাজন বিপ্লব০০৭ নীতি নৈতিকতা নিয়া আলোচনা করতে একটা কমেন্ট করছিল । উত্তর দিতে গিয়া দেখি বিশাল হৈয়া গ্যাছে । তাই আলাদা পুস্ট হিসাবেই দিলাম -------------------------------------------------------------------------------- বিপ্লবের কমেন্ট বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ভেজাল লাগছে। নীতির সঙ্কট আমার আইজও আছে। এইটা আমি কাটাইতে পারতেছি না।

'অন্য' বলতে আপনি কি বুঝছেন? ...'ক্ষতি' বস্তবাদীর নিকট বায়োলজিক্যাল যন্ত্রগুলার সাপেক্ষে কিভাবে নির্ধারিত হচ্ছে...? ছোট বাচ্ছারা পুকুরে ব্যাঙ্গকে ঢিল মেরে আনন্দ পায়...আপনি তা দেখে ব্যাঙ্গের 'কষ্ট' ফিল করি...ব্যাঙ্গের কি এক্ষেত্রে 'ক্ষতি' হচ্ছে? এই 'ক্ষতি' আপনি ডিফাইন করেন, কিন্তু ওই বাচ্চাগুলা কিংবা হিটলার করে না। রাস্তার পাশে এতিম শিশু দেখে আপনি আলোড়িত হন, ওটা কি মস্তিষ্কের রাসায়নিক আলোড়ন হিসেবেই ডিফাইন করেন? একটা সময় আসবে যখন ওই বাচ্চাগুলা 'ক্ষতি' ডিফাইন করবে হয়ত আমারই মত (কেউ কেউ হিটলার হতে পারে)...তারা সেটি কিসের ভিত্তিতে করে যেমনটা আপনি আজ করতেছেন? আমার প্রেমিকাকে যে হত্যা করেছে তার উপর কি সত্যই আমার 'ক্রোধ'-এর কোন কারণ আছে? 'প্রতিশোধ' কি অর্থে? আমার কি উচিত না হিটলারকে একটি বায়োলজিক্যাল মেকানিজম ভেবেই প্রথমে তার ত্রুটিগুলা সারাতে চেষ্টা করা? একটা উদাহরণ দেই। ধরা যাক, একটি গ্রহে বহু বছরে সাধনায় আমি একটি কুসংস্কারমুক্ত ধর্মহীন সমাজ গড়লাম। হঠাত 'আমি' দেখলাম ওই গ্রহে একজন বিশ্বাসী বাস করে। আমি জানি তাকে যদি আজ রাতে হত্যা না করি কাল থেকেই সে তার বিশ্বাসের বীজ ছড়ানো শুরু করবে।

নয়জনের সাপেক্ষে যা অন্ধবিশ্বাস তার সাপেক্ষে আবার তাই পরম সত্য। কিন্তু সে বেঁচে থাকলে কাল থেকেই তার মিশন শুরু হবে। পরিস্থিতিটা এমন যে তাকে হত্যা না করলে গ্রহটি আবার পিছিয়ে যাবে কয়েক সহস্র বছর... ঠিক উল্টো পরিস্থিতেও(যখন নয়জন বিশ্বাসী, একজন অবিশ্বাসী) ঈশ্বর নীতি ঠিক করে দিয়া বলেন, যে এভাবে হত্যা করাটা উচিত্ নয়। একজন বস্তবাদী হিসেবে আপনার কি মনে হয় ওই বিশ্বাসীকে হত্যা করাটাই সঠিক কাজ? আরেকটা জিনিস, ওইটা কিন্তু আমাদের চেনা-জানা কট্টর মোল্লা; মানবতাবাদী বিশ্বাসী সে। এখন এইটা হয়তো তার সাপেক্ষে 'ক্ষতি', কিন্তু গ্রহটির কথা বিবেচনায় আনলে সামগ্রিকভাবে ক্ষতির পরিবর্তে লাভইতো হচ্ছে...কি বলেন? এইটা সম্পূর্ণ আমার ভাবনা।

যদিও সে বিশ্বাসীকে ওই পরিস্থিতিতেও হত্যা করাটা আমার নীতি অনুযায়ী সঠিক মনে করি না। এ পরিস্থিতিতে তাকে বন্দি করে রাখা, চুপ থাকতে বলা এই ধরনের সমাধান না দিলেই ভালো হয়। হতাশ হইছি এ কারণে যে দার্শনিকরাও দেখতেছি নীতির প্রশ্নে সন্তোষজনক উত্তর রাখতে পারেননি। আঁতেল ভাইবেন না প্লিজ, জানার আগ্রহ থাইকাই আফনের লগে আলোচনা... আরেকটা কথা হইল, এই ধরনে সঙ্কটের সন্তোষজনক সমাধান না থাকলেই কি এখন ঈশ্বর নামক গায়েবী মাল হাজির করে কইতে হইবো যে তিনি সবকিছুই নির্ধারণ করে দিছেন? -------------------------------------------------------------------------------- আমার উত্তর : ক্ষতির ডেফিনিশন আমি এইভাবে দিই, প্রাণীর ক্ষেত্রে, কাজের সাবজেক্ট আর অবজেক্ট পাল্টাও । অবজেক্ট এ সুস্থ্য মস্তিষ্কের (মানে মর্ষকামি অবস্থার না হৈলেই ) নিজেরে বসাও ।

এবার দেখ অবজেক্ট হিসাবে কাজটা তোমার উপ্রে করা হৈলে তুমি কি সেইটা উপভোগ করবা নাকি আহত হৈবা । এইটাতে বিশাল একটা ফাঁক রৈয়া গ্যাছে । তাইলে যেইসব প্রাণী আমরা খাওয়ার জন্য মারি সেইখানেতো এই নীতি অনুসারে ঝামেলা । এইটারে আমি জোড়াতালি দিয়া সমাধান করি । অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে যদ্দুর আমার প্রয়োজন তদ্দুরের বাইরে যেন না হয় ।

সেইখানেও আবার ফাঁক । অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে যদি মানুষ খাইতে হয় তাইলে কি খামু ? উপ্রের নীতি অনুসারে খাওন উচিৎ । কিন্তু আমি খামু না । এইটার আবার জোড়াতালি সমাধান, এই ডিলেম্মায় যেন কাউরে পড়তে না হয় সেই টাইপের সমাজ তৈরী করা চেষ্টা কৈরা যাওন । নীতি নিয়া সবচে বড় ঝামেলা হৈতাছে এইখানে কোন ধ্রুব মানদন্ড ঠিক করা সম্ভব না ।

ধর্ম বল, টোটালিটারিয়ানিস্ট বল সবাই গোত্তা খায় এইজায়গায় । আইজ পর্যন্ত কোথাও এমন কোনো মানদন্ড পাওয়া যায় নাই যেইটা অনুসারে জগতের সমস্ত নীতিগত দ্বন্দের সমাধান করা যাইবো । এইটার জন্য কর্মপন্থা অনুসারে ঠিক কৈরা নেওন যায় কন্ডিশন স্পিসিফিক সমাধান । প্রত্যেকটা ঘটনারে তার নিজস্ব পরিপার্শ অনুসারে আলাদা আলাদাভাবে বিচার করা । এইটাতে ভুলের সংখ্যা কমান যায় ।

তাও শূণ্য করা যায় না । কারণ পরিপার্শ্বের বোধ আবার মানুষ অনুসারে সাবজেক্টিভ । একটা ঘটনার পরিপার্শ্বের একটা দিক তোমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার কাছে সেইটা কিছুই না বরং অন্য একটা দিক খুব গুরুত্বপূর্ণ । ফলে তোমার আমার সমাধান এইখানে এক হৈব না । এইটারে গণতন্ত্রের নিয়ম দিয়া কিছুটা সহনশীল কৈরা তোলা যায়, পারফেক্ট করা যায় না ।

গণতন্ত্রের নিয়মের মইধ্যে ফাঁক রৈয়া গেছে । ৫১-৪৯ ভোট কোনভাবেই একটা পারফেক্ট সমাধানের জন্য যথেষ্ট না । ৯০-১০ হৈলে তাও অনেকটা বলা যায় । এই সমস্যার সমাধানে সলিড কিছু নাই । আছে পরিসংখ্যান ভিত্তিক আশাবাদ ।

যেইটার ভিত্তিতে বড় বড় প্রোগ্রামিং পর্যন্ত হয় । অভিজ্ঞতা থাইকা দেখা গ্যাছে গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে কন্ডিশন ভিত্তিক সমাধান করলেও সব তো দূরের কথা, খুব কম ক্ষেত্রেই ৫১-৪৯ এর সিচুয়েশন আসে । এইখানে বিকাশের উপর, মানুষের ক্রমাউন্নতির উপর ভরসা রাখা ছাড়া আর তেমন কিছু করার নাই । কিন্তু একটা ধ্রুব নিয়ম করলেযে সেইটা গোত্তা খাইতে বাধ্য সেইটা কোথায় সমাধান তা না জাইনাও বলা যায় । অভিজ্ঞতা থাইকা ।

ধার্মিক টোটালিটারিয়ান আর আমার মইধ্যে এইখানে পার্থক্য হৈল আমি এই অপারগতাটা স্বীকার কৈরা নিই , এবং নতুন নতুন নীতি বা নতুন নতুন মানদন্ড যাচাই কৈরা দেখতে চাই । কিন্তু টোটালিটারিয়ানের সমস্যা হৈল সে দেখতাছে তার নীতি ফেইল করছে ক্লিয়ারলি তাও সেইটা স্বীকার কৈরা না নিয়া , বা এটলিস্ট তার মূলদন্ড যে পারফেক্ট না সেইটাও স্বীকার কৈরা না নিয়া পাছা দিয়া পাহাড় ঠেলা শুরু করে । এইখানেও আবার ফাঁক রৈয়া যায় । নতুন নতুন মানদন্ড আমি পরীক্ষা করব সেই পরীক্ষার গিনিপিগ হৈব ক্যাঠা । আমার নীতি যদি ভুল হয় সেই ভুলের মাশুল না হয় আমি দিলাম, কিন্তু যার উপর ক্ষতি কৈরা হৈল তারতো সেই ক্ষতি উসুল হৈব না ।

আমারে ফাঁস দিলেও যারে ভুলভাবে খুন করলাম, তার একটা বালের আগাও তাতে ফিরা আসবো না । কিছু ক্ষতি না হয় ফিরাইয়া দেয়া যায় । ট্যাকা চুরি করলে সেইটা ফেরত দেয়া যায় । কিন্তু সব ভুলতো আর উল্টানি যায় না । এইখানে কালেক্টিভ রিসপন্সিবিলিটির দোহাই দিয়া কিছুটা নিজেরে স্বান্তনা দেয়া যায় ।

মানুষ অন্যরে বাঁচাইতে গিয়া জান দেয় । যে যোদ্ধা দেশ স্বাধীন করার জন্য নিজের জীবন বিলায় তার কোন লাভ হয় না । স্বাধীন দেশের সুফল ভোগ করে যুদ্ধের সময় পলাইয়া থাকা কিছু ভন্ড । যাদেরকে সে জীবনে ভালোবাইসা গেছে তারাও হয়ত কিছুটা ভোগ করে , কিন্তু তার তাতে কি আসে যায় । এমন যদি হৈত মরার পরে তার কিছুটা সময়ের জন্যও চেতনা থাকতো, দেখতো সে তার প্রিয় মানুষেরা তার ত্যাগের ফল ভোগ করতাছে তাইলেও না হয় অন্তত তার মানসিক প্রশান্তির দাম বৈলা ধৈরা নেয়া যাইত নিজের আত্নত্যাগরে ।

সমাজের কালেক্টিভ নৈতিক অগ্রগতির জন্য কিছু মানুষের উপর এইধরণের পরীক্ষণ ভিত্তিক ভুল কাজ হয়ত করা যায় , এইমুহুর্তে এই খোঁড়া যুক্তিটা ছাড়া হাতের কাছে কিছু নাই । এইটা যদি টোটালি র‌্যানডম সিলেকশনে হয় তাইলে অন্তত কিছুটা বিবেকের দংশন থাইকা বাঁচা যায় । তাও সেইটা যে ভন্ডামি এইটা স্বীকার করতেই হৈব । আমার প্রেমিকাকে যে হত্যা করছে সে আমার ক্ষতি করছে । তার উপর আমার ক্রোধ থাকাতে দোষের কিছু নাই ।

কিন্তু বিচারের উদ্দেশ্য প্রতিশোধ না । সমাজ বিচার করে যার ক্ষতি হৈল তার জন্য না । সমাজ বিচার করে সমাজের নিজের জন্য । বিচারের সিস্টেম থাকলে এই কাজ অন্য কেউ করতে চাইবে না , এই আশায় সমাজ বিচার করে । আমার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য না ।

আমার প্রতিহিংসা চরিতার্থ হৈলেও তাতে আমার মানসিক প্রশান্তির বাইরে কিছু লাভ নাই । যদিও এইযে খুনীরে খুন কৈরা মানসিক প্রশান্তি পাওয়াটাই একটা ভুল । খুনিরে খুন করাতে প্রেমিকার বা আমার যা হারাইছে তার একটা অনুও ফিরা আসবো না । এইখানে খুনির ফাঁসি দেওয়া বা আমার সেইটা ভুইলা যাবার চেষ্টা করা সবই কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিটির আওতায় অটোমেটিকালি পইড়া যায় হয়ত। নৈতিক দ্বন্দের হাজার হাজার উদাহরণ চাইরপাশের ঘটনা দিয়াই তৈরী করা যায় ।

তার জন্য ভিনগ্রহে দশজন অবিশ্বাসী আর একজন বিশ্বাসীর ডিলেম্মা টাইনা আনতে হয় না । এইক্ষেত্রে আমার একার স্বিদ্ধান্তে যদি বিশ্বাসীটারে হত্যা করতে বলা হয়, আমি স্বিদ্ধান্ত দিতে পারমু না । মানুষের এখনকার পর্যন্ত কালেক্টিভ জ্ঞানে এইটার স্বিদ্ধান্ত দেয়া যায় না । এইখানে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়া নিজের একার উপর দায় চাপানো এড়ানো ছাড়া ভালো কিছুর কথা আমার মনে পড়তাছে না এই-মুহুর্তে । নীতির প্রশ্নে দার্শনিকদের গোত্তা খাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না ।

কিন্তু তারপরও দার্শনিকদের চেষ্টার প্রতি আমার সম্মান আছে কিন্তু এবসলুট সমাধান বৈলা গলা ফাটাইন্যা ধর্মপ্রচারকের উপর সম্মান নাই । তার কারণ হৈল দার্শনিক একজন নিছক মানুষ । তার সীমাবদ্ধতা গুলা মাইনা নিয়াই সে সমাধান প্রস্তাব করে । কিন্তু মহাবিশ্বের পারফেক্ট স্রষ্টার দালাল বৈলা নিজেরে দাবী কৈরা জোড়াতালি দিয়া সমাধান দিবা আর সেইটা নিজের মনরে জোড়াতালি দিয়া আমি মানামু এইটাতো হৈতে পারে না । পারফেক্টের দালালি তুমি কর এইটারে যদি সম্মান করতে কও তাইলে তোমার হাগামুতাও পারফেক্ট হৈতে হৈব ।

তখন তোমার মইধ্যে আর আমি ৯০ ভাগ ভালো ১০ ভাগ খারাপ পাইলেও তোমারে ভালো বৈলা মাইনা নিতে রাজি না, যদিও একজন দোষে-গুণের মানুষের কাছ থাইকা এইটা কেন তার অনেক কম পাইলেও তারে শ্রদ্ধা করতে রাজি আছি । তখন তোমার ভালো দিক আমি খুঁইজা সময় নষ্ট করতে যামু কেন । ০.০০০০০০১ ভাগ খারাপও যদি বাইর করতে পারি তাইলেই কাম শেষ । পারফেক্টনেস দাবী কৈরা ওভারঅল জাজমেন্ট আশা করা মাইনষের ঝামেলাটা এইখানেই । এই সোজা কাহানিই তারা বুঝবার পারে না ।

রাস্তার পাশে ভগ্ন শিশু দেইখা কিছু কৈরা তার ভালো করণের চেষ্টার মইধ্যে বস্তুবাদীর নৈতিকতা সংক্রান্ত ঝামেলা আছে । পিছলানি যায় এই বৈলা যে এইটাতে আমি মানসিক প্রশান্তি পামু, তাই করমু । কিন্তু কেন আমি মানসিক প্রশান্তি পামু ? আমার যদি কেবল বস্তুতেই বিশ্বাস থাকে তাইলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার কোন কারণ নাই তাতে । বায়োলজিকাল পন্ডিতরা এইটারে প্রজাতির কালেক্টিভ ভালোর জন্য বৈলা চালাইয়া দিতে চান । প্রস্তর যুগের মানুষের কন্ডিশন অনুসারে নিজ গোত্রের কাউরে বাঁচাইলে সেই পুলাই পরে বাঘের আক্রমণের সময় তোমার পাশে দাঁড়াইয়া বর্শা ধরবো, অতএব তারে এখন বাঁচানো মূলত ভবিষ্যতে সেইটার ফল লাভের আশাতেই ।

তাদের কথা হৈল মানুষ তার উৎপত্তির পরে লাখ লাখ বছর ঐরকম বেড়াছেড়া কন্ডিশনেই কাটাইছে, তাই সেই স্বভাব আস্তে আস্তে আর জেনেটিকে কপি হৈয়া গ্যাছে । এখন হয়ত সেই সিচুয়েশন নাই, কিন্তু জিনের সেই ঠেলার কারণেই নাকি মানসিক প্রশান্তিটা । ফ্রয়েডের অবচেতন মনের আইডিয়াটা এইক্ষেত্রে হয়ত কিছুটা কাজ দেয় । মানুষের সচেতন মন কাম করে অবচেতনের তুলনায় অনেকঅনেক স্লো । ট্রেনের নিচে একটা বাচ্চা পইড়া যাইতাছে দেইখা হাত কেন অনেকটা অটোমেটিকালি চৈলা যায় বাইচ্চাটারে সরানির জন্য ? বস্তুবাদির দর্শন অনুসারে এইটাতে তার পরে সুফল পাওনের সম্ভাব্যতা খুবই কম ।

তার এইখানে অনেক চিন্তা করনের কথা । সেই পুলা কি ধনীর পুলা , নাকি বস্তির পুলা । পুলা কই থাকে । পুলার বাপ-মায় কি আমারে এইটার পুরস্কার কিছু দিতে পারবো ? এইজাতীয় হাবিজাবি অনেক কিছুই ভাবা যায় । তথ্য যত্ বেশি হৈব প্রোবালিটির ক্যালকুলেশন তত সঠিক ।

কিন্তু জেনেটিক এর ঠেলায় অবচেতন মন হুট কৈরাই বাচ্চাটারে বাঁচানির জন্য আগাইয়া যায় । মানুষ যদি এখনকার মত অগ্রগতি আরো লাখ লাখ বছর চালাইতে পারে তাইলে হয়ত জিনের সেই প্রিন্ট মুইছা যাইতে পারে । তখন হয়ত এইধরণের ভালো কামে মানুষ মানসিক প্রশান্তি আর পাইবো না । সেইটা দেখার জন্য লাখ লাখ বছর বাঁচতে হৈব । সম্ভব না বৈল এই ব্যখ্যারে প্লজিবল বলার উৎসাহ আছে কিন্তু সঠিক বলার উৎসাহ ঠিক নাই ।

বড় কথা হৈল । নীতির কোয়েস্ট একটা চলমান রোলারকোস্টার । এইখানে কুনো থামাথামি নাই । হাঙরের মত । থামলেই কাইত ।

এইটা বুঝাই সবচে বড় ধাপ, মৌলবাদির রিয়েল দুনিয়ার মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.