আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নকিয়া বনাম এ্যাপল

হালকার উপর ঝাপসা

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল প্রস্তুতকারক নকিয়া কিছুদিন আগে এ্যাপলের বিরুদ্ধে পেটেন্ট লংঘনের অভিযোগ আনে। যা পেটেন্ট লংঘনের প্রতি্যোগিতায় আরো উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। যদিও নকিয়া বিশ্ববাজারের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রন করে তারপরও high-end বাজারের বিরাট অংশ তারা খুইয়েছে এ্যাপলের মত নতুন high-end মোবাইল প্রস্তুতকারকদের কাছে। ২০০৭ সালে এ্যাপল “আইফোন” দিয়ে high-end মোবাইলের উদীয়মান বাজারে প্রবেশ করে। নকিয়া যুক্ত্ররাষ্ট্রের ডেলাওয়ারের কোর্টে এ্যাপলের বিরুদ্ধে ১০টি পেটেন্ট লংঘনের অভি্যোগ আনে যার মধ্যে তারবিহীন প্রযুক্তির তথ্যের আদান-প্রদান, speech encoding, security and encryption প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

মামলার মীমাংসা হতে কমপক্ষে ২-৩ বছর সময় লাগবে এবং আশা করা হচ্ছে নকিয়া এর জন্য ২০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ হিসেবে দাবি করবে। ১৯৮৯ সালে মটোরোলা সর্বপ্রথম নকিয়ার বিরুদ্ধে পেটেন্ট লংঘনের অভিযোগ আনে। এরপর নকিয়া এই শিল্পের পেটেন্টের এক বিশাল আধার গড়ে তুলে। শুধুমাত্র এরিকসন আর কোয়ালকমের পেটেন্টের সংখ্যা নকিয়ার কাছাকাছি। নকিয়ার ইতিহাসে পেটেন্ট নিয়ে উল্লেখযোগ্য আইনি লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ- নকিয়া বনাম মটোরোলা ১৯৮০ এর দশকে নকিয়া প্রতিষ্ঠিত মোবাইল প্রস্তুতকারকদের চমকে দিয়ে অন্যতম প্রধান প্রস্তুতকারক হিসেবে আবির্ভূত হয়।

১৯৮৯ সালের এপ্রিলে মটোরোলা নকিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বিচার প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিশন আর শিকাগোর বিচারালয়ে। নভেম্বরে নকিয়া ১০মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মীমাংসা করতে বাধ্য হয়। ১৯৮৯ সালের এই মামলা থেকে নকিয়া পেটেন্টের গুরুত্ব অনুভব করে। কোয়ালকম বনাম নকিয়া ২০০৮ সালের মাঝামঝি সময়ে নকিয়া আর কোয়ালকম ১৫ বছরের জন্য পেটেন্টের লাইসেন্স আর লভ্যাংশ নিয়ে ৩ বছরের মহাদেশীয় আইনী লড়াই শেষ করে।

এই জটিল আইনী লড়াই দুপক্ষের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করায়। ১৯৯২ সালের এপ্রিলে দুপক্ষ চুক্তি সই করে যার ফলে নকিয়া কোয়ালকমের CDMA পেটেন্ট ব্যবহার করার সুযোগ পায়। এ্যাপল বনাম নকিয়া মোবাইল লাইসেন্সিং কোম্পানির প্রধান বিল মেরিটের মতে নকিয়া আর এ্যাপলের এই আইনি লড়াই শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যাবে। বিগত কোয়ার্টারে এ্যাপল, যা মোবাইল বাজারে প্রবেশ করে ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে, সর্বোচ্চ অপারেটিং মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নকিয়াকে পিছনে ফেলে দেয়। এ্যাপলও মামলার জবাবে নকিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি পেটেন্ট লংঘনের অভিযোগ আনে।

সময়ই বলে দিবে কার অভিযোগ সত্য, কার অধিকার লংঘিত হয়েছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।