আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুন করে অস্বীকার করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী



বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে সরকার। সরকারের স্বরাস্ট্র মন্ত্রী বেশ কয়েকবার বলেছেন,দেশে ক্রসফায়ার ঘটনা ঘটেনি। অবশ্যই তার অবস্থান থেকে অনেক সত্য কথা বলা সম্ভব না। এভাবে মানুষ খুন করে স্বীকার করে না কেউ। তিনি তাই করেছেন।

অবশ্যই অনেক দেরীতে তিনি বুঝেছেন ক্রসয়ারফার বেআইনী। এজন্য তিনি অস্বীকার করেছেন। কারণ স্বীকার করলে তিনি নিজেই খুনি বনে যান। তাই ভয়ে খুনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি স্বীকার না করলেও র‌্যাবের ডিজি বলেছেন,কাউন্টার বন্দুক যুদ্ধে ২০০৯সালে ৬০জন নিহিত হয়েছে।

তিনি বলেছেন,নিরুপায় হয়ে র‌্যাব অস্ত্র চালালে তা অবৈধ নয়। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে তারা নিরুপাই হয়? আমরা কখনো শুনিনিযে,র‌্যাব বন্দুক যুদ্ধ করে আহত বা মারা গেছে। সব সময় সন্ত্রাসীরা মারা যায়। এভাবে প্রতি মাসে র্যাবের ক্রসফায়ারে গড়ে ৫ জন নিহত হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই সংখ্যা অস্বাভাবিক নয়, স্বাভাবিক।

মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার স্বয়ং এ কথা বলেছেন। গতকাল র্যাব সদর দফতরে র্যাবের বার্ষিক কার্যক্রম মূল্যায়ন সভায় তিনি আরও বলেন, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহতের প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে এসব ঘটনা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। ক্রসফায়ারের ঘটনায় কোনো বেআইনি কাজ হয়নি। সভায় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মিজানুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় র্যাব মহাপরিচালক আরও জানান, গত এক বছরে র্যাবের ৫৭টি ক্রসফায়ারের ঘটনায় ৬০ জন নিহত হয়েছে। ২০০৮ সালে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ৮৩ জন। র্যাবের অভিযানে গত এক বছরে সারাদেশে ১৬ হাজার ৪৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, অপহরণকারী, জঙ্গি ও অন্যান্য অপরাধী। গত এক বছরে র্যাবের অভিযানে ৩০৪টি বোমা, ২৭টি গ্রেনেড, ১ হাজার ৩০৬টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ৮ হাজার ১৬৩ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি, ৩২৩টি ককটেল ও প্রায় ২০ কেজি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।

ওই সময় র্যাব জঙ্গি সংগঠনের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাব ৫ হাজার ৫৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪২ হাজার ২৮৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ হাজার ২২৬টি ভায়াগ্রা ট্যাবলেট, ৩৪ দশমিক ১৭৪ কেজি হেরোইন, ২ হাজার ৮৪২ কেজি গাঁজা, ৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৪ বোতল ফেন্সিডিল, ২০ হাজার ৬৪৫ বোতল দেশি মদ, ১৪ হাজার ২৫ বোতল বিদেশি মদ, ৩৫ হাজার ৭০৮ ক্যান বিয়ার, ২ কেজি কোকেন এবং ৫৭ হাজার ৬০৮টি বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ইনজেকশন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।