আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাযার ও কবরের উদ্দেশ্যে মান্নত ও কুরবানী করার বিধান

সবাইকে সাথে নিয়ে এগুতে চাই।

আরবী নযর শব্দের অর্থ মান্নত করা। ইমাম রাগেব বলেন; মান্নত বা নযর এর অর্থ হল; মানুষের বিশেষ কোন সমস্যা দেখা দিলে তখন মানুষ এমন কোন বস্তু বা কাজকে নিজের উপর ওয়াজিব বা অনিবার্য করে নেয়, যা তার উপর আদৌ ওয়াজিব ছিল না। রাসূল (সাঃ) বলেন; নযর বা মান্নত তাক্বদীরকে পাল্টাতে পারে না। কাজেই মান্নত না করাই উত্তম।

তবে কেউ মান্নত করলে উহা পূরণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আবু হুরায়রা ও আব্দুল¬াহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন: রাসূল (সাঃ) বলেছেন; তোমরা মান্নত কর না! কেননা মান্নত তাক্বদীরকে কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারে না। অবশ্য এতে কৃপণ লোকের কিছু অর্থ ব্যয় হয় মাত্র। (বুখারী ও মুসলিম) এই হাদীস থেকে আমরা বুঝলাম যে, মান্নত দ্বারা তাক্বদীর পরিবর্তন হয়, এই বিশ্বাসে মান্নত করা নিষেধ। তা ছাড়া সাধারণত: মানুষের অভ্যাস হল ক্ষতি হতে আত্মরক্ষা ও লোভ লালসাকৃত বস্তু হাসিল করার উদ্দেশ্যে মান্নত করে থাকে।

যা কার্পণ্য স্বভাবের পরিচায়ক। তাই এধরণের উদ্দেশ্যে মান্নত করা হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং উক্ত আক্বীদা ও কার্পণ্য মনোভাব হতে মুক্ত হয়ে একমাত্র সদকার নিয়তে মান্নত করলে তবে উহা বৈধ হবে। যেমন “বাদায়ে” কিতাবে উলে¬খ আছে, যদি কেউ মান্নত করে আমি অমুক জায়গায় দু’রাকা’আত নামাজ পড়ব অথবা অমুক শহরের মিছকীনদেরকে দান করব। এই অবস্থায় ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আবু ইউসুফ এবং ইমাম মুহাম্মদের মতে যে কোন স্থানে নামাজ পড়লে কিংবা যে কোন শহরের মিছকীনদের দান করলে উহা আদায় হয়ে যাবে।

হযরত জাবের ইবনে আব্দুল¬াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত: এক ব্যক্তি মক্কা বিজয়ের দিন দাঁড়িয়ে বললো; হে আল¬াহর রাসূল! আমি এই মান্নত করেছি, যদি মহান আল¬াহ তা’আলা আপনাকে মক্কা বিজয় দান করেন তাহলে আমি বায়তুল মুকাদ্দাসে দু’রাকা’আত নামাজ পড়ব। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন; এখানেই নামাজ পড়ে নাও। লোকটি আবারও তার কথা পূনরাবৃত্তি করল, রাসূল (সাঃ) এবারও বললেন, এখানেই নামাজ পড়ে নাও। লোকটি তৃতীয় বার কথাটি পূনরাবৃত্তি করলে রাসূল (সাঃ) রাগের স্বরে বললেন, “তোমার মনে যা চায় তাই কর। ” (আবু দাউদ ও তিরমিযী) এতে প্রমাণিত হল যে, নির্দিষ্ট স্থানে নামাজের মান্নত করলেও যে কোন স্থানে নামাজ পড়ে নিলে মান্নত পুরণ হয়ে যাবে।

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন; যে ব্যক্তি আল¬াহর আনুগত্য করার মান্নত করে, সে যেন অবশ্যই উহা পূরণ করে। আর যে ব্যক্তি নাফরমানী করার মান্নত করে সে যেন অবশ্যই উহা পূরণ না করে। (বুখারী) এই হাদীস থেকে বুঝা যায়, মান্নত দুই প্রকার। ১. ভাল কাজের মান্নত করা। ২. মন্দ কাজের মান্নত করা।

কিন্তু মন্দ কাজের মান্নত করা জায়েয নাই। তবে গুনাহ হয় এমন কাজের মান্নত করে পুরা না করলে তাতে কাফ্ফারা দিতে হবে কি না এ সম্পর্কে উলামাদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। ইমাম শাফেয়ী বলেন, গুনাহের কাজের মান্নত পুরা করা যাবে না। এবং এজন্য কাফ্ফারাও দিতে হবে না। কিন্তু ইমাম আবু হানিফার মত হল গুনাহের কাজের মান্নত পুরা করা যাবে না, তবে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।

কেননা হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত: রাসূল (সাঃ) বলেছেন; গুনাহের কাজের মান্নত পুরা কর না তবে কসমের কাফ্ফারার ন্যায় উহার কাফ্ফারা দিতে হবে। (আবু দাউদ তিরমিযী ও নাসাঈ) এছাড়া মুসলিমের বর্ণনায় আছে মান্নতের কাফ্ফারা কসমের কাফ্ফারার ন্যায়। আর কসমের কাফ্ফারা হল : আল¬াহ তা’আলা বলেন; দশজন অভাবগ্রস্তকে মধ্যম ধরনের খাদ্য প্রদান করা। যা তোমরা নিজ পরিবারের লোকদেরকে খাওয়াইয়ে থাক, কিংবা তাদেরকে (মধ্যম ধরনের) পরিধেয় বস্ত্র দান করা, কিংবা একটি গোলাম বা বাঁদী মুক্ত করা। আর যে ব্যক্তি এগুলোর সমর্থ না রাখে, তবে সে একাধারে তিনটি রোযা পালন করবে।

এটা তোমরাদের কসমসমূহের কাফ্ফারা। (সূরা মায়েদা: ৮৯) এবার আসি সমাজে প্রচলিত মাযার কিংবা কবরের নামে মান্নত করা বা কবরকে সেজদা করা প্রসঙ্গে; নবী করীম (সাঃ) শিরকের দিকে নিয়ে যাওয়ার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এ সকল পথ হতে উম্মাতকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। এসবের মধ্যে প্রথম হল কবরের বিষয়টি। তাই তিনি কবর যিয়ারতের এমন নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, যাতে লোকজন কবরপূজা ও কবরবাসীদের ব্যাপারে যে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

তন্মধে কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করছি। ১. তিনি আওলীয়া ও পূন্যবান লোকদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা থেকে নিষেধ করেছেন। কেননা এ ধরনের বাড়াবাড়ি করতে করতে মানুষ তাঁদের ইবাদাতে ও উপাসনায় লিপ্ত হয়। তিনি বলেন: ‘বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাক। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার ফলে ধ্বংস ও বিনাশ হয়ে গিয়েছে’ আমার ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না, যে ভাবে নাসারাগণ মরিয়ম পুত্র ঈসার ব্যাপারে করেছিল।

কেননা আমি শুধু একজন বান্দা। অতএব, আমাকে আল−াহর বান্দা ও তাঁর রাসূল হিসাবে অভিহিত কর। ২. রাসূল (সাঃ) কবরের উপর সৌধ স্থাপন করা থেকে নিষেধ করেছেন। যেমন আবুল হাইয়াজ আল আসাদী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন: আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) আমাকে বলেন যে, আমি কি তোমাকে সেই দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে দায়িত্ব দিয়ে রাসূল (সাঃ) আমাকে প্রেরণ করেছিলেন? তা হল যেখানেই প্রতিমা ও ভাস্কার্য দেখবে ভেঙ্গে ফেলবে এবং যেখানেই সুউচ্চ কবর দেখবে সমান করে দেবে’ অনুরূপ ভাবে রাসূল (সাঃ) কবরে চুনকাম করা ও সৌধ তৈরী করা থেকে নিষেধ করেছেন। জাবের (রাঃ) বলেন: রাসূল (সাঃ) কবরের উপর বসা ও সৌধ তৈরী করা থেকে নিষেধ করেছেন।

জেনে রাখ, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির লোকেরা নিজেদের নবীদের কবরসমূহকে মাসজিদ বানিয়ে নিত। সাবধান, তোমরা কবরসমূহকে মাসজিদ তথা সিজদার স্থান বানাবে না। আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি। কবরকে মাসজিদ বানানোর অর্থ হলো কবরের পাশে নামায পড়া, যদিও কবরের উপর কোন মসজিদ তৈরী না করা হয়। সুতরাং যে কোন স্থানকেই নামাযের জন্য নির্দিষ্ট করা হবে তাই মাসজিদ বলে গণ্য হবে।

যেমন রাসূল (সাঃ) বলেছেন : সকল যমীনকে আমার জন্য সিজদার স্থান ও পবিত্র বানিয়ে দেয়া হয়েছে। (বুখারী) আল−ামা ইবনুল কাইয়েম (রহঃ) বলেন : যে ব্যক্তি কবরসমূহের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাত, তাঁর আদেশÑ নিষেধ ও তাঁর সাহাবাদের আদর্শ এবং আজকাল মানুষ যেসব কাজ করে থাকে এতদুভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে চায়, সে মূলত: এর একটিকে অন্যটির বিপরীত ও প্রতিকূল দেখতে পাবে এমনভাবে যে, এদু‘টি বিষয়ে কখনো সামঞ্জস্য বিধান করা যেতে পারেনা। রাসূল (সাঃ) কবরে নামায পড়া থেকে নিষেধ করেছেন। অথচ এরা কবরের পাশে নামায পড়ে। তিনি কবরকে মাসজিদ বানাতে নিষেধ করেছেন।

অথচ এরা কররের উপর মাসজিদ বানাচ্ছে এবং আল−াহর ঘরের অনুকরণে তার নাম দিচ্ছে দরগাহ। তিনি কবরে প্রদীপ জ্বালাতে নিষেধ করেছেন। অথচ এরা কবরে প্রদীপ জ্বালানোর উদ্দেশ্যে জায়গা পর্যন্ত ওয়াকফ করে থাকে। তিনি কবরকে ঈদ উৎসবের স্থান বানাতে নিষেধ করেছেন। অথচ এসব লোক কবরস্থানকে ঈদ উৎসব ও কুরবানীর স্থানে পরিণত করেছে এবং ঈদে যেমন তারা একত্রিত হয় তেমন, বরং তার চেয়েও বেশী তারা কবরের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।

তিনি কবরসমূহকে সমান করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে’ আবুল হাইয়াজ আল আসাদী থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) তাকে বলেনÑ আমি কি তোমাকে সেই দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে দায়িত্ব দিয়ে রাসূল (সাঃ) আমাকে প্রেরণ করেছিলেন ? তা হল, যেখানেই প্রতিমা ও ভাস্কর্য দেখবে ভেঙ্গে ফেলবে এবং যেখানেই সুউচ্চ কবর দেখবে সমান করে দেবে। সহীহ মুসলিমের আরেকটি বর্ণনায় সুমামাহ বিন শুফাই বলেন: আমরা রোম দেশের বুরুদেস নামক স্থানে ফাদালাহ বিন উবায়েদ এর সাথে ছিলাম। সেখানে আমাদের এক সাথী মারা গেলেন। তার দাফন কার্যের সময় ফাদালাহ তার কবর সমান করে দেবার হুকুম দিলেন।

অতঃপর বললেন: আমি রাসূল (সাঃ) থেকে শুনেছি যে, তিনি কবরকে সমান করে দেবার হুকুম দিয়েছেন। কবরের ভক্ত এসব লোকেরা প্রচন্ডভাবে এ দু‘টো হাদীসের বিরোধিতা করছে। এবং বসতগৃহের মতই কবরকে উঁচু করছে ও এর উপর গম্বুজ তৈরী করছে। ইবনুল কাইয়েম আরো বলেন: দেখুন, কবরের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) যা কিছু অনুমোদন করেছেন ও ইতিপূর্বে উলে−খিত যে সব কিছু থেকে নিষেধ করেছেন এবং এসব লোকেরা যা কিছু আইনসিদ্ধ করছেÑ এতদুভয়ের মধ্যে কী বিরাট পার্থক্য। নিঃসন্দেহে এতে অনেক বিপর্যয় রয়েছে যা গুণে শেষ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

এরপর তিনি এসব বিপর্যয়ের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে পরিশেষে বলেন: রাসূল (সাঃ) কবর যিয়ারতের অনুমতি দিয়ে এ ব্যাপারে যে নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেছেন, তা শুধু আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং কবরবাসীর জন্য দোয়া, রহমত কামনা, ইস্তেগফার ও তার মুক্তির জন্য প্রার্থনার মাধ্যমে তার উপকার করার উদ্দেশ্যেই করেছেন। এর ফলে যিয়ারতকারী নিজের ও মৃতের উভয়েরই কল্যাণ সাধন করছে। পক্ষান্তরে কবরপন্থী এই মুশরিকগণ পুরো ব্যাপারটাকেই পাল্টে দিয়েছে এবং দ্বীনকে বদলে দিয়েছে। মৃতের সাথে আল−াহর শরীক করা, মৃতের কাছে ও মৃতের অসীলায় দোয়া করা, তার কাছে স্বীয় হাজাত পূরণের প্রার্থনা করা, তার কাছে বরকত চাওয়া, ও শত্র“র বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্যের আবেদন ইত্যাদি বিষয়গুলোকে তারা যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বানিয়ে নিয়েছে। এসবের মধ্যে যদি কোন ক্ষতি নেই বলে ধরে নেয়াও হয়, তা সত্বেও শরীয়ত প্রণীত দোয়া রহমত কামনা, ও ইস্তেগফার ইত্যাদি কাজের বরকত থেকে তো তারা বঞ্চিত হয়।

এদ্বারা এটাই প্রতিভাত হয় যে, মাযারের উদ্দেশ্যে মান্নত ও কুরবানী করা বড় শিরক। কবরের উপর কোন ইমারত তৈরী না করা ও মাসজিদ না বানানোর যে আদর্শ নবী করীম (সাঃ)-এর ছিল তার পরিপন্থী আমল করাই হল এর মূল কারণ। কেননা যখনই কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করা হয় এবং পাশে মাসজিদ ও মাযার তৈরী করা হয় তখনই জাহেল ও অজ্ঞ লোকেরা ভাবতে শুরু করে যে, কবরবাসীগণ উপকার ও ক্ষতি দুইÑই করতে পারেন। আর যে তাদের কাছে সাহায্য চায় তারা তাকে সাহায্য করেত পারেন এবং তাদের কাছে গেলে তারা হাজাত ও প্রয়োজন পুরা করেন। এজন্যই তারা কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে মান্নত ও কুরবানী পেশ করে।

যার ফলশ্র“তিতে আল−াহর পরিবর্তে প্রতিমারূপে এই সব কবরের আজ উপাসনা করা হচ্ছে। অথচ নবী করীম (সাঃ) প্রার্থনা করেছিলেন: ‘হে আল−াহ! আমার কবরকে এমন প্রতিমায় পরিণত করো না যার উপাসনা করা হয়। (মুয়াত্তা মালেক ও মুসনাদে আহমদ) আর রাসূল (সাঃ) এজন্যেই এই দোয়া করেছিলেন যে তাঁর কবর ছাড়া অনেক কবরেই এ ধরনের অবস্থা দেখা দিতে পারে। প্রকৃত পক্ষে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশেই এ ব্যাপারটি ঘটেছে। আর রাসূল (সাঃ) যে দোয়া করেছিলেন সে দোয়ার বরকতেই আল−াহ তাঁর কবরকে শিরকের পংকিলতা থেকে রক্ষা করেছেন।

যদিও কিছু সংখ্যক জাহেল ও কুসংস্কারচ্ছন্ন লোক তাঁর মাসজিদে কখনো কখনো তার হেদায়াতের খেলাপ কাজ করে ফেলে। কিন্তু তারা তাঁর কবর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না কেননা তাঁর কবর তাঁর ঘরের অভ্যন্তরে, মাসজিদের অন্তর্গত নয় এবং সেটি চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। যেমন আল−ামাহ ইবনুল কাইয়্যেম তার ‘নুনিয়া’ কাব্যগ্রন্থে বলেন: ‘‘তাঁর দোয়া রাব্বুল আলামীন করেছেন কবুল তিনটি প্রাচীর দিয়ে ঘিরেছেন নির্ভুল’’ পরিশেষে বলতে চাই; আজ-কাল আমরা এমন মান্নত করি যা গুনাহের অর্ন্তভূক্ত, যেমন কবরে বা মাযারে মান্নত করা, টাকা পয়সা দেয়া। গরু-ছাগল পীর-ফকীরের নামে জবাই করা। এ সবই গুনাহের কাজ, এবং শিরকের অর্ন্তভূক্ত।

তাই আসুন আমরা এ সব পরিহার করে গরীব-মিসকীনদের দান করার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ অর্জন করি। আল¬াহ আমাদের সে তাওফীক ও শক্তি দান করুন। আমীন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।