আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারাগারে যেতে হচ্ছে ঐশীকে

খুলনায় জন্ম নেয়া ঐশীর জন্মসনদ দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু আল খায়ের ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান বৃহস্পতিবার ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান।
খুলনার একটি ক্লিনিকের জন্মসনদ সম্বলিত ওই আবেদন যাচাই করে ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত গাজীপুরের কিশোরী ‍উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জন্মসনদ অনুযায়ী, ঐশীর বয়স ১৮ বছরের বেশি; যদিও স্কুলের নথি অনুযায়ী তার বয়স এর চেয়ে কম।
ঐশীর চাচা মসিউর রহমান রুবেল ইতোপূর্বে বলেছিলেন, “ঐশীর জন্ম খুলনায়। আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৯৫ সালে তার জন্ম হয়েছিল।


ঐশীর বিদ্যালয় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ভর্তি ফর্মে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১৭ অগাস্ট, ১৯৯৬।
গত ১৭ অগাস্ট ঐশী আদালতে আত্মসমর্পণের পরদিন তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে হাকিম আনোয়ার ছাদাতই সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঐশীকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী উকিল নোটিস পাঠানোর দুদিন বাদে বিচারিক আদালতের এই আদেশ হল।
ঐশীর বিদ্যালয়ের সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেয়া নিয়ে সমালোচনা ওঠে।


এই বয়সের কাউকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শিশু অধিকারের লঙ্ঘন বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঐশীর বয়স প্রমাণের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করেছে পুলিশ।
ফাইল ছবি তবে ওই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে ওই আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা গাফফারুল আলম জানিয়েছেন।
ফাইল ছবি
তিনি আরো জানান, এই হত্যামামলায় সাক্ষী হিসেবে বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরে আদালতে জবানবন্দি দেন অটোরিকশা চালক ইমান আলী ও কুলসুম বেগম।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, বাবা-মা হত্যাকাণ্ডের পর গত ১৫ অগাস্ট ঐশী ইমান আলীর গাড়িতেই বেরিয়েছিলেন এবং থেকেছিলেন কুলসুমের বাড়িতে।


এর পরদিন শুক্রবার বিকালে এসবি পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ তাদের চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.