আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়-দিবস উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাগফিরাত কামনায় দু’আ মাহফিল


টিপাইমুখ আমাদের টিপে মারবেÑএ বাঁধ প্রতিহত করা সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়-দিবস উপলক্ষে শহীদ ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সাবির্ক কল্যাণ কামনায় চট্টগ্রাম দেওয়ান হাট চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিলে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আজ মহান বিজয়-দিবস, দীর্ঘ নয় মাস অবিরাম সংগ্রাম, ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ, ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের এ দিনে আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিজয় এসেছিল। আশা করেছিলাম, ইনসাফপূর্ণ সমাজ, বৈষম্যহীন অর্থব্যবস্থা, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র, নৈতিকমূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি জাতি। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের প্রায় ৪০টি বছরের ব্যবধানে সমপর্যায়ের রাষ্ট্র মালেশিয়া, সিঙ্গপুর, থাইল্যান্ড ইত্যাদি সুখি-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারলেও আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। এখনও আমারা ক্ষুধা-দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত, দেশের আশি ভাগ সম্পদ ভোগ করছে মাত্র বিশ ভাগ মানুষ আর বিশ ভাগ সম্পদ কোনো ভোগ করতে পারছে গোটা আশি ভাগের কম মানুষ। বিদেশি বস্তাপছা সংস্কৃতি দিয়ে আমরা আমাদের ড্রয়িং রুম সাজিয়ে রেখেছি; আমরা কথা-কাজে চাচ্ছি কে কতোটা বিদেশি! এ দেশে জন্মকেও অনেকে আজ অভিশাপ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের থেকে মুক্তির সংগ্রামে আমরা ভারত থেকে সহায়তা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনার পর থেকে ভারত আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেনি। ভেরুবাড়ি গেল কিন্তু করিডোর পাইনি, তালপট্টি গেল, ফারাক্কার দরুণ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হল, এখন টিপাইমুখ আমাদের টিপে মারবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা মাওলানা জসিম উদ্দীন ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয়-দিবসের আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি আবুল কাশেম মাতব্বর, জয়েন্ট সেক্রেটারি জান্নাতুল ইসলাম ও মাওলানা ইসমাইল হোসাইন জিহাদী, মাওলানা আবদুল্লাহ, ডা. মোহাম্মদ ফরিদ খান, মোহাম্মদ আল-ইকবাল, মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, মুজাহিদ সগির আহমদ চৌধুরী, আবদুল করীম, মাওলানা জয়নুল আবেদীন ফয়েজী, ছাত্রনেতা জসিম উদ্দীন, সুলতানুল ইসলাম প্রমুখ। ভারতের অন্যায়ভাবে আন্তজার্তিক নদী আইন লঙ্ঘন করে বারাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রতিহত করতে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত টিপাইমুখ অভিমুখে ২৪, ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বরের লংমার্চ সফল করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা এক সময় জাতিতে পাকিস্তানি ছিলাম, শোষণ-বঞ্চণার প্রতিবাদে সে জাতীয়তা আমরা ধ্বংস করেছি, ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করে বন্ধুর কাজ করেছিল।

কিন্তু আজকে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে আমাদের টিপে মারার ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে আমাদেরকে তাদের সাথে বন্ধুত্ব ধ্বংস করতে হবে। আরেকটি যুদ্ধে আমাদের অংশ নিতে হবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছিল ১৬ ডিসেম্বর আর বর্তমান যুদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে ২৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিজয়ের মাসেই আমাদেরকে ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

স্বাধীনতা আল্লাহর নিয়ামত। এ নিয়ামতকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত রাখা প্রত্যেক মুমিন-মুসলিম দেশপ্রেকিরে ওপর ফরয। ফারাক্কা-টিপাইমুখের মাধ্যমে ভারত আমাদের স্বাধীনতার সহযোগী-বেশে পরোক্ষভাবে পরাধীন করে রাখতে অপপ্রয়াস চলাচ্ছে। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশবিরোধী সকল অপচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।