আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লাড প্রেশার মাপা

i want to live simple and die simple

ব্লাড প্রেশার মাপা ১। নতুন নতুন ওয়ার্ড করি তখন । সকাল সন্ধ্যা ওয়ার্ডে যাই । স্টেথোস্কোপ , স্ফিগ্নম্যানোমিটার( সংক্ষেপে বি পি ) নিয়ে ঘুরি । ভাব লই ।

কিন্তু প্র্যাকটিকাল প্রসিডিউর তখনো ভালো রপ্ত হয় নাই । কি করতে কী কী লাগে তা তালগোল পাকাই প্রায়ই । এরকম একদিন , ওয়ার্ডের বড় ভাই ( ডাক্তার ) বলল – বারান্দার অমুক রোগীর প্রেশার মাইপা আইসা বল তো । আমি বারান্দায় গিয়া রোগীর পাশে বইসা কিছুক্ষণ এপ্রনের পকেট , প্যান্টের পকেট , ব্যাগের পকেট সব হাতড়াইলাম । মাগার সাধের ঘড়ি আর পাইনা ।

ভুলে হলে রাইখা আসছি । এখন ! ব্লাড প্রেশার কেমনে মাপি ? কিছুক্ষণ হতবুদ্ধি থাকার পর মনে পড়লো – আরে ! ব্লাড প্রেশার মাপার জন্য তো ঘড়ির দরকার ই নাই । ২। তখনো নবীশ । বেড়াতে গেসি এক অ্যান্টির বাসায় ।

উনি আবার পেশায় নার্স । কথায় কথায় বললেন – আমার প্রেশার টা দেখে দাও । আমি বললাম – আমার কাছে তো যন্ত্র নাই । উনি বললেন আমার কাছে আছে। এই বলে শুধু স্ফিগনোম্যানোমিটার এনে দিলেন ।

আমি তো তাজ্জব বনে গেলাম । স্টেথোস্কোপ ছাড়া শুধু স্ফিগণম্যানোমিটার দিয়ে ও যে ব্লাড প্রেশার ( শুধু উপরেরটা অর্থাৎ সিস্টোলিক চাপ ) মাপা যায় তা তখন জানতাম না । হার স্বীকার করলাম । পর উনি ই আমাকে দেখিয়ে দিলেন । ৩।

সার্জারি ওয়ার্ডে ডিউটি করছি । একা । ঠিক উলটা পাশের ওয়ার্ডে আরেক ইন্টার্ন ডাক্তার ডিউটি করছিলো । হঠাৎ সে দৌড়ে এলো । বলল- মোমিন! আমার এক রোগী খুব খারাপ ।

একটু আসবা ? আমি বললাম – কি হইসে ? বলল – ব্লাড প্রেশার পাইনা । নতুন ডাক্তারির রক্ত গরম হইয়া গেল । দ্রুত গেলাম । গিয়া যে পেশেন্ট কে ও দেখাইল – তা দেইখা টাশকি খাইলাম । রোগী দিব্যি খাটের কিনারে বইসা পা ঝুলাইতাসে ।

ব্লাড প্রেশার কমতির কোন লক্ষণ নাই ! কাহিনী কি ! আমিও এক দফা প্রেশার মাপলাম রোগীর । নাহ , সত্যই তো – প্রেশার নাই একদম ! অথচ রোগী আরামে বইসা আছে ! কি মনে কইরা ফাইলটা নিয়া দেখি – নিচের দিকে গুটি গুটি কইরা ডায়াগনোসিস লিখা - টাকায়াসু’স ডিজিজ ( TAKAYASU’S DISEASE )। ধড়ে প্রাণ ফিরে এলো । দ্রুত রোগীর অন্য হাতে পালস অনুভব করে দেখলাম – ঠিক আছে । বিজয়ীর হাসি হেসে ব্লাড প্রেশার মেশিন ঐ ইন্টার্ন ডাক্তার এর হাতে দিয়ে মাপতে বললাম ।

এইবার ঠিকমতো প্রেশার পেয়ে ওর ও ঘাম দিয়ে জ্বর নামলো । নন- ডাক্তার দের জন্য - Takayasu's arteritis can present as pulseless upper extremities (arms, hands, and wrists with weak or absent pulses on the physical examination) which may be why it is also commonly referred to as the "pulseless disease". SOURCE- Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।