আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের পিঠা



শীত এলে প্রতি বছরই দাদার বাড়ীতে পিঠা খাওয়ার আয়োজন করা হত। সব আত্মীয় স্বজন দূর দূরান্ত থেকে চলে আসতো। দাদার বাড়ীটা সবার মিলন মেলায় পরিণত হত। পিঠা বানানোর জন্য কেনা গুড়ের পাটা আর দুধ এনে বারান্দায় রাখা হত। মহিলারা ঢেকি দিয়ে চাল গুড়ো করত।

বড় বড় পাতিলে দুধ জাল দিয়ে তার মধ্যে গুড় মিশানো হত। তারপর চিতই পিঠা বানিয়ে বানিয়ে দুধের মধ্যে ছেড়ে দিত। দুধ-চিতই আমার সবচেয়ে প্রিয় পিঠা। গরম গরম চিতই পিঠাও অনেক মজা। আরও একটা পিঠা বানাতো।

এইটা হল ছিটরুটি। নানাবাড়ীতে এই পিঠা বেশী বানাতো। ঝাল মুরগীর মাংস দিয়ে ছিটরুটি অসাধারণ। ভাপা পিঠার জন্য আমি আবার স্পেশাল অর্ডার দিতাম। নারিকেল ছাড়া কিন্তু গুড় অনেক বেশী (মিষ্টি বেশী খাই কিনা)।

দাদাবাড়ীর আরেকটা মজার পিঠা ছিল সংসার পিঠা। মুরগী বা গরুর মাংস শুকনা করে ভাজি করে কুলি পিঠার মত করে বানানো হত। আর আম্মুর বানানো পাটিসাপটা সব সময়ই সুপার হিট। এইগুলা আমার প্রিয় পিঠা। আরও অনেক পিঠা আছে, যেমন: তেলে পিঠা, কুলি পিঠা, মুইটা পিঠা.... (আরও মনে আসলে পরে অ্যাড করব) অনেক বছর ধরেই শীতের পিঠা খেতে গ্রামে যাওয়া হয়না।

দেশে থাকতে গ্রামে না গেলে চাচী আমার জন্য দুধ চিতই বানিয়ে পাতিল ভরে ঢাকায় পাঠাতেন। আর ব্যাগ ভর্তি ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা , চিতই পিঠা থাকতই। এবার তো এখন পর্যন্ত শীতকালের শীতও অনুভব করতে পারলামনা। কারণ যেখানে থাকি , সারা বছরই নাতিশীতোষ্ণ ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।