আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামার গল্প



গল্পটা আমি আমার এক মামার কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের পাশের গ্রামে বিড়াট এক জঙ্গল ছিল। গ্রামটিতে তখন বেশি বাড়ি ঘর ছিলনা। জঙগলের পাশে একটা ছোট ঘর ছিল,ঐ ঘরে এক বৃদ্ধ থাকত। এক দিন তাঁর ভাগ্নে আসলো।

মামার সাথে কথা বলে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ফেরার পথে ঐ জঙ্গলের বাঁশঝারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল । কে যেন একজন বাঁশঝারের একটি বাঁশ টেনে নামিয়ে পথ আটকে ওপারে দাড়িয়ে ছিল। বাঁশ ডিঙানোর সময় যদি বাঁশের মাথা ছেড়ে দেয় তাহলে বাঁশটি তাকে ছিটকে ফেলে দিবে । ভাগ্নে যতই বলছিল পথ ছাড়তে কিন্তু ভয়ংকর মূর্তিটি নড়ছিল না,এরকমভাবে দু্জনের মাঝে বাদানুবাদ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছিল।

এদিকে মামা কোন এক প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরহলে জঙ্গল থেকেঅস্পষ্ট কথার আওয়াজ শুনতে পেল তখন সে আওয়াজের দিকে গেল ,দেখল তার ভাগ্নে কার সাথে যেন তর্ক করছে। সামনে গিয়ে দেখল এক মূর্তি ভাগ্নের পথ আটকে আছে। তখন মামা বুঝতে পারল এটি আর কিছুই না , বাঁশঝাড়ের ভুত । ভাগ্নে বাঁশটি ডিঙ্গানোর সময় তাকে মেরে ফেলবে। তখন মামা ভুতটিকে মন্ত্র পড়ে লতা দিয়ে গাছের সাথে বেধে ফেল্ল।

তখন বাঁশটি সজোরে শব্দ করে রাতের আধার ভেদ করে আকাশের ছিটকে গেল। পরে গ্রামে লোকবসতি বাড়ার কারনে জঙ্গলটি কেটে ফেলা হয়,গাছ কাটার সময় ভূত বাধা গাছটিও কেটে ফেলা হয়। তখন ভূতটি মুক্তি পায়। কিন্তু তার শরিরে লতাগুলো রয়ে যায়। আজো যখন ভূতটি মধ্যরাতে আকাশে উরতে থাকে তখন টিনের চলের উপর সেই লতা বারি খায় আর সে আওয়াজে গ্রাম বাসিদের ঘূম ভেঙে যায়।

লিখালিখিতে একেবারে নতুন হওয়ায় কি লিখব বুঝতে পারছিলাম না । তাই মামার বলা গল্পটাই লিখে দিলাম।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।