আমি এখন আছি তবে থাকবো কিনা জানি না। "কবি'র কবিতা সে তো পাঠকেরই ঋণ। "
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান বুঝি না
আমরা হাজার বছরের বাঙালী
ধর্মটা যার যার ইচ্ছা মাফিক দিয়েছে চাপিয়ে
রাজপুরোহিত বেনিয়ার দল !!
বাংলা দখল করেও বাঙালী হতে পারলো না !
৩৬ জাত-পাত ,উচু-নীচু, বিভিন্ন গোত্রে একাকার
তবুও আমরা দীপ্ত মুষ্টিবদ্ধ বাঙালী
মানবতায় অবিচল অবিকার........।
আমাদের নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে ওড়ে
বঙ্গোপসাগরের নোনা জল
আমরা হিমালয় চরনামৃতে
পরিপুষ্ট সদা-সবল।
নদীর জেগে থাকা শান্ত চরে
অগোচরে ম্যাগমা লেপা
দক্ষিণের দিগন্ত জুড়ে
বুক চিতিয়ে দাড়িয়ে থাকা
রথচক্র হাতে অভিমণ্যু.....।
দু:খ-সুখের বিভিন্ন আংগিকের কথামালা
উত্তর দক্ষিনের বিশ-বাইশ অক্ষে ত্রিতালে
ছড়িয়ে দিয়ে............।
ছিয়াশি-চুরানব্বই পূর্ব-পশ্চিমে মনণে,স্মরণে,কৃতজ্ঞতাই,
ভালোবাসার সুরে বেঁধে দিই
বিশ্বের নাভীমূল হতে উথ্থিত
আমরা বাঙালী.........।
সূর্যের অকৃপণ কর-পল্লবে
শোভিত বাসন্তিকা
কর্কটের অশ্বখুরের ধুলায় ,ঝড়-ঝঞ্জায়
খোলা বক্ষ-পাঁজরে
চিম্ময় নিশান ওড়ে.।
অজর দেহে ফুঁড়ে ফুঁড়ে ওঠে কষ্টের নোঙ্গর
ফুলে ফেঁপে ওঠে ফেনায় ফেনায়
বাঙালী'র সপ্তরথ...।
বঙ্গ হরিকেল ঢ়াড়ে......... পূজিত
নিখাদ খাঁটি
এ বাংলার মাটি
শায়িত মহামানবের কফিনে
নক্ষত্র ফোটা এই গগন অন্ধকারে
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখ-দু:খে ওড়ে রঙিন ফড়িং
শয়ানে পলল ধীবর বক্ষে
কালান্দর মেঘে
জটায়ু নাচে চন্দ্রধরের পেটে
সত্যসাদ্বি পূজা পাই মন্ডপে মন্ডপে.।
রক্তাক্ত একাত্তুর,পঁচাত্তুর
পাষন্ড শবর কাপুরুষের হোলি খেলায়
বাঙালী বন্য রক্তের সহস্র ধারা
পালতু কেউটের হিস-হিসানিতে নির্ভীক নির্ভীক
কামানের গলা চেপে ধরা
থ্রি নট থ্রি এর বজ্র-হুংকার
রক্তাভ মেঘবর্ণা পোড়া মাটি
ছেড়া লুংগির গোছায় একমুটো চিড়া-মুড়ি
ছিদ্র করা গেন্জির ভিতর
এক টুকরো স্বপ্ন.......।
আগল যোনীমুখ নির্গত
ক্লান্ত ক্লীষ্ট ক্ষুধা-কাতর সন্ন্যাসী
পৃথিবীকে শেখায় ধারাপাত
আশায় বিমর্ষ চারণে
রোপণ করে নূতন ধান
বারুদের কলপে আগামী ভবিষ্যৎ
লিখে যায় নিরন্তর
লিখে যায় বাঙালী তার
হাজার বছরের ইতিহাস ..............।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।