আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমানের ৫ প্রকৌশলীর 'প্রমোদভ্রমণ'!

andharrat@জিমেইলডটকম

আমার কথা-কোন কারনে এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় পেপারে ছাপা হয়েছে, এমন অনেক ঘটনা ঘটছে যা চাপা পড়ে যাচ্ছে এবং দেশের প্রচুর টাকা পিঁপড়ে খেয়ে ফেলছে! আমি জানতে চাচ্ছি এমন ধরনের অপচয় দেখার, রোধ করার এবং শাস্তির ব্যবস্হা করার কোন সরকারী সংস্হা আছে কিনা এবং তারা কি ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে, নাকি তারাও..... সূত্র : ইশতিয়াক হুসাইন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোম গিয়ে সরকারি খরচে টানা সাত দিন কাটিয়ে এসেছেন বিমানের পাঁচ প্রকৌশলী। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর জন্য তাদের ওই ফ্লাইটে রোম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরও তারা তিনদিন রোমে অবস্থান করেন। অভিযোগ উঠেছে, বিনা প্রয়োজনে ওই পাঁচ প্রকৌশলী রোমে অবস্থান করায় সরকারি কোষাগার থেকে ৬ লাখ টাকার বেশি গচ্চা গেছে। ঘটনাটি বিমানের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তাদের গোচরেই ঘটেছে।

নিয়ম অমান্য করে পাঁচ প্রকৌশলীর বিদেশে অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। কেউ কেউ বলছেন, 'বিমানের ত্রুটি সারানো নয়; এটি ছিল সরকারি অর্থে পাঁচ প্রকৌশলীর প্রমোদভ্রমণ। ' জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের ডিসি-১০ ৩০ (ফ্লাইট নম্বর বিজি-০৫৫) উড়োজাহাজে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ফ্লাইটের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখার জন্য মুখ্য প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে প্রকৌশলী সুজাউর রহমান, প্রকোশলী হানিফ চৌধুরী, প্রকৌশলী আবদুল মান্নান ও প্রকৌশলী নুরুদ্দীন সেলিম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রোম যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন শেষে ১৯ নভেম্বর সকালে ঢাকার উদ্দেশে রোম ত্যাগ করেন।

কিন্তু ওই পাঁচ প্রকৌশলী রোমে অবস্থান করেন এবং ২২ নভেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফেরেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) ফ্লাইটে বিমানের পাঁচ প্রকৌশলী যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সে নিয়ম অনুযায়ী প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ প্রকৌশলীকে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে যুক্ত করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কিছু অনিয়ম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে রোম পেঁৗছান।

বিমানের নিয়মানুযায়ী এ ধরনের সফরের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে বিমানের প্রকৌশলীদের একটি অগ্রবর্তী দল দুবাই থাকার কথা। গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে পাঁচ প্রকৌশলী রওনা হন, দুবাই পেঁৗছে পরদিন তাদের ফিরে আসার কথা। আর অগ্রবর্তী দলটি দুবাই থেকে রোমে পেঁৗছে বিকেলে ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া পাঁচ প্রকৌশলী দুবাই হয়ে সরাসরি রোম চলে যান এবং পরের পুরো সপ্তাহ সরকারি খরচে রোমে অবস্থান করেন।

রোমে থাকার জন্য প্রত্যেক প্রকৌশলীকে হোটেল ভাড়াবাবদ প্রতিদিন ৮ হাজার ৬২৫ টাকা (১২৫ ডলার) ও ভাতা বাবদ একই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ হিসাবে প্রতিদিন ৫ প্রকৌশলীর পেছনে খরচ হয় ৮৬ হাজার ২৫০ টাকা (১২৫০ ডলার)। সাত দিনে ৫ জনের পেছনে খরচ হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। বিমানের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিয়মানুযায়ী কোনো প্রকৌশলী ফ্লাইটের কারিগরি ক্রটি দেখার জন্য দেশের বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া ও ভাতা পান। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কেউ বিদেশে অবস্থান করলে সে খরচ নিজে বহন করতে হয়।

রোমে এক সপ্তাহ অবস্থানকারী পাঁচ প্রকৌশলী বিনা প্রয়োজনে সেখানে অন্তত ৬ দিন অবস্থান করেন। আর পুরো সময়ের জন্যই তারা হোটেল ভাড়া ও ভাতা নেন; যা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। পাঁচ প্রকৌশলীকে এমন 'প্রমোদভ্রমণের' ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বিমান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন অনেকে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) উইং কমান্ডার (অব.) আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। মুখ্য প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, 'এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

কিছু জানতে হলে বিমানের জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করুন। ' প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.