কি লেখি না লেখি... ভেবে পাই না কূল।
একটি ছেলে। ইন্টারমিডিয়েটের পর মফস্বল থেকে ঢাকায় আসলো ভার্সিটিতে পড়বে বলে। ভর্তি হলো ঢাকার একটি নামকরা প্রাইভেট ভার্সিটিতে। চোখে অনেক স্বপ্ন ছেলেটির।
কয়েকটি সেমিস্টার গেলো।
ধীরে ধীরে বন্ধু বাড়লো, বান্ধবীও হলো। একটা সময় সে ভিন্ন একটা গ্রুপে ঢুকে গেলো।
দেখে এখানের সবাই এক ভিন্ন জগতের বাসিন্দা। "এই জগত তো আমি চিনি না, এটাতো আমার জায়গা নয়।
", ছেলেটি ভাবে। কিন্তু সে বন্ধুদের ছাড়তে পারে না।
বন্ধুরা বলে, "নে, নিয়ে দেখ। ভালো লাগবে। "
"না।
তোরা নে। আমি আগে কখনো নেই নি", ছেলেটি বলে।
"আরে, না নিলে বুঝবি কিভাবে? নিয়ে দেখ, ভালো না লাগলে আর বলবো না। "
ছেলেটি নেয়। আর কোন উপায় ছিলো না তার।
ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে, ছেলেটি ভাবে। কিন্তু এই শেষ। আর নিবে না সে, প্রতিগ্গা করে ছেলেটি।
পরেরদিন আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা হয়।
আবারও নিতে বলে বন্ধুরা। ছেলেটি না করে। কিন্তু হার মানতে হয় বন্ধুদের কাছে।
সে আবারও নেয়। আবারও।
আবারও। তারপর আবার।
"আচ্ছা আমি কি এডিক্টেড হয়ে গেলাম? এখন যে আমি না নিয়ে থাকতে পারি না। " ছেলেটি ভাবে। ভয় হয়, খুব ভয় হয়।
ফেরার রাস্তা খুজে ছেলেটি। কিন্তু একি? পথ যে হারিয়ে ফেলেছে সে। এটাই কি ডেড এন্ড? এটাই কি তার অসীম পতন? নিয়তি কি এটাই? ছেলেটি ভাবে। এমনতো হওয়ার কথা ছিলোনা। সহজ-সরল বাবার মুখ, মমতাময়ী মায়ের ছলছল ছোখ ভেসে উঠে হৃদয়ে।
নিজের উপর ঘৃনায়, লজ্জায়, ক্ষোভে মরে যেতে ইচ্ছা করে তার। কি লাভ বেঁচে থেকে?
অতঃপর সে সিদ্ধান্ত নেয়।
চলে যাবে সে। ওপারে। যেখানে এই মুখ সে লুকাতে পারবে, মায়ের কাছ থেকে, বাবার কাছ থেকে, নিজের কাছ থেকে।
শীতের এক শেষ বিকেলে সূর্য ডুবে। একটি নয়, দুটি।
তাজা একটি সূ্র্যও যে ডুবেছে... নিরবে। কিন্তু কার সময় আছে তা দেখার?
এভাবেই কি একের পর এক সূ্র্য ডুবতে থাকবে? আমরা কি কিছুই করব না? কিছুই না?
ধিক্ নিজেকে। ধিক্।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।