আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারনেটে তরুণী সেজে স্বামীকে পাকড়াও!

একজন অলস মানুষ আমি

স্বামী ডেভিড রবার্টস (৬৮) যে বিপথে হাঁটা শুরম্ন করেছেন তা আগেই টের পেয়েছিলেন তার স্ত্রী চার্লি রবার্টস (৬১)। ইন্টারনেটে জরম্নরি কাজ সারার নাম করে ডেভিড মেয়েদের সাথে প্রেম করে এবং পর্নোগ্রাফিতেও আসক্ত হয়ে পড়েছে এমনটাই সন্দেহ হতে থাকে চার্লির। বিষয়টা দেখার জন্য চার্লি নিজেই ১৪ বছরের এক তরম্নণীর পরিচয় দিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন ডেভিডের সাথে। এরই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে ডেভিডের বিকৃত রম্নচি ও কামনা-বাসনার পরিচয়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কার্ডিফের একটি আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালতে চার্লি ডেভিডের বিরম্নদ্ধে বিবাহের শর্ত ভঙ্গ, কমবয়সী মেয়েদের সাথে যৌনাচারের ইচ্ছার অভিযোগ আনেন। ইতোমধ্যে আদালত চার্লির আবেদন গ্রহণ করেছে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর করেছে। পাশাপাশি ৩ বছর বিশেষ সামাজিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে তার উপর। এগুলো হল, এই ৩ বছর ডেভিড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না এবং এ সময় সে আঠারো বছরের কম বয়সী কোনো ছেলে-মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে না। তবে স্ত্রী চার্লির মতে এই শাসিত্ম ডেভিডের অপরাধের তুলনায় অনেক লঘু।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২ সনত্মানের মা মিসেস রবার্ট ডেভিডকে বেশ কিছু দিন ধরেই সন্দেহ করে আসছিলেন। চার্লি লড়্গ্য করেন, ডেভিড তার পড়ার ঘরে অনেক সময় ব্যয় করেন। এত সময় ধরে স্বামী পড়াশোনা করে এটা ছিল তার কাছে অবিশ্বাস্য। তাছাড়া ডেভিড যখন বাসায় থাকত না তার কম্পিউটারের ম্যাসেঞ্জারে বিরাহহীনভাবে ম্যাসেজ আসত। এসব ম্যাসেজ কারা পাঠায় তা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি।

রবার্ট যখন তার স্টাডি রম্নমে পড়াশোনায় ভীষণ ব্যসত্ম তখন চার্লি নিজের শোবার ঘর থেকে ম্যাসেজ পাঠাতে শুরম্ন করেন তার স্বামীকে। রবার্ট যে আসলে নেটে বসে চ্যাট করে মুহূর্তেই তা বুঝতে পারলেন তিনি। এক পর্যায়ে স্কুলের মেয়ে সেজে বানানো ছবি পাঠিয়ে তিনি প্রলুব্ধ করেন তার স্বামীকে। অনলাইনে নিজেকে ‘ক্রকি’ হিসেবে পরিচয় দানকারী সাবেক পাব মালিকা ডেভিড তার স্ত্রীকে কম বয়সী তরম্নণী ভেবে নানা অশিস্নল ছবি পাঠিয়েছেন। চার্লির আইনজীবী মার্টিন ক্যালি বলেন, ডেভিড ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে নিজের নগ্ন ছবি পাঠাতেন তার ছদ্ম বান্ধবীর কাছে।

মাত্র ১৪ বছরের একটা শিশুর সাথে এ ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা ডেভিডের বড় ধরনের অপরাধ বলে মনত্মব্য করেন চার্লির আইনজীবী। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে কখনো মিসেস রবার্ট ভাবতে পারেননি তার স্বামী ততটা নিচ হতে পারে। নিজের স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে একটা মহৎ কাজ করেছেন বলে তিনি মনে করেন। পুলিশ রবার্টের কম্পিউটার ঘেঁটে শিশুদের পর্নোছবি পেয়েছে। তবে রবার্ট তার গ্রেফতারের প্রথম এক সপ্তাহ জানত না যে তার স্ত্রীই তাকে ধরিয়ে দিয়েছে।

সে ভেবেছে পর্নোছবি ডাউনলোড করার সময় আইপি এড্রেস ধরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি জানার পর কিছুটা মুষড়ে পড়ে সে। তবে কোনো কম বয়সী তরম্নণীর সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা সে অস্বীকার করে। পুলিশকে সে জানায়, ‘আমি এটা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু করিনি’। ডেভিডের কৌঁসুলী বায়রন ব্রডস্টক বলেন, ‘সে তার পরিবার এবং নিজের জন্য লজ্জাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

’ মনোবিদদের ধারণা ডেভিড এক্সিভিশনিজম নামের এক ধরনের যৌন বিকৃতির শিকার। আইনজীবী বায়রন বলেন, ‘ডেভিড নিজের এই ব্যবহারের কারণ খুঁজে বের করতে চায় এবং সে এখন চিকিৎসা নিতেও প্রস্তুত। ’ বিবিসি অবলম্বনে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।