www.choturmatrik.com/blogs/আকাশ-অম্বর
চামড়ার তলায় কুটকুটে অনুভূতি। আজিকের এই দিনেই এক প্রেরিত পুরুষকে পাঠাইবে বিধাতারা। মর্ত্যে। মর্ত্যের বুকে ছড়াইয়া ছিটাইয়া থাকা সূক্ষ্ম অনুভূতি আর উন্নত বোধশক্তি সম্পন্ন মানবকীটদের নিকটই প্রেরিত হইবে এক ‘মহান পুরুষ’। চামড়ার তলায় তার কুটকুটে অনুভূতি।
কালচে চক্ষুতে রক্তিম আভা। লোলুপ দৃষ্টি। তাহার মুখনিঃসৃত লালায় লালাময় পৃথিবী। পূতির মতন চোখে সম্মোহিত দৃষ্টি। বিকৃত সত্তা।
জাগ্রত নারী-লোভ। হ্যাঁ, তাহাকেই প্রেরণ করিবে এই বিধাতারা। মর্ত্যের মানবদের নিয়া খেলিতে বড়ই পারদর্শী তাহারা। তাহাদের কুটিল সত্তার শীতল ছায়ায় অকালে বিসর্জন দিয়াছে কত প্রাণ! কত সুচিন্তার অধিকারি! কত নিষ্পেষিত অন্তর্নিহিত-শক্তির অধিকারি সত্তা! কি অবহেলা! কি হেলা-ফেলা! কি ভীষণ দুরাত্মা এই ‘ঐশ্বরিক’ ক্ষমতাসম্পন্ন মৃত ঈশ্বরেরা! কি হাস্যকর তাহাদের ‘প্রজ্ঞা’!
হঠাৎ বজ্রপাত। গুর-গুর! গুর! মেঘের গাম্ভীর্য।
আর এক বিষণ্ণ অম্বর।
মর্ত্যের মানুষদের নিকট মেঘের ঐ উলুধ্বনির মতই এক অশনি মুহূর্তে আবির্ভাব ঘটিলো এক মহানায়কের! এক মহাপুরুষ! স্বমেহনে লিপ্ত ঈশ্বরদের নিকট হতে প্রেরিত এই পুরুষের সেই বিকট-প্রকাণ্ড ওহী ঝুলিয়া রইলো গগনে! অম্বরে! মর্ত্যের ঐ সাধারণ প্রাণোচ্ছল মানুষদের লজ্জিত চক্ষুর উপরে! কি লজ্জা! কি লজ্জা! শিশু চোখ লুকাইলো মায়ের বুকে। পিতা চাপিয়া ধরিলো কন্যার চক্ষু। পর্দা করিলো। কিন্তু হা ঈশ্বর! দুইটি সৌরদিন অতিক্রান্ত হইলেও তোমাদের মতি হইলো না! তোমরা উহার কোন গতি করিলে না! ধিক্ তোমাদের! লজ্জিত এই আকাশ।
লজ্জিত এই অম্বর।
এই তোমাদের কূটকচালে পড়িয়াই বোধকরি হারাইয়া গিয়াছে এক কবির মায়াবী পংক্তিমালা। তোমরা বোঝ না কবির মর্ম! তোমরা বোঝ না কবির চেতনাবোধ! তোমরা কি ভীষণ পক্ষপাতদুষ্ট! এ কি নিদারুণ ছেলেখেলা খেলিতেছ! তোমাদের তোপে পড়িয়াই হারাইয়া গিয়াছে ড্রাফট-শিটের কোনায়-কোনায় লেখা পংক্তিসমূহ! এ কি অবিচার! তোমাদের কুটিলতায় আজ ভারাক্রান্ত এক কবি! সে গাইছে......
আজ আমার স্বপ্ন শিহরে
অশ্রু ঝরা আর্তনাদ,
বৈরী সম্ভাবনা ঝিম ধরা
ঘুম হয়ে
চোখের পার্শ্বে বিষাদ।
আনমনা বাতাসে
ফোঁটা ফোঁটা চোখের পানি
গড়িয়ে পড়ে।
সীমন্ত ভিজে গেছে
আঁধার কান্নায়,
আলোর হাতছানিতে
অনন্ত শোকাহত কবিতায়।
স্বপ্ন জাগা কল্পনাতে ক্লান্তি জাগলো কে?
আর যখনই অরণ্যে অরণ্যে শূন্যতায় বিরাজমান এক সন্ন্যাসীর দিকেই তোমরা সরীসৃপের মতন শিরশিরে ভঙ্গিমায় আগাইয়া গেলে, আগাইয়া গেলে অন্যায়ভাবে, আগাইয়া গেলে গোঁজ ঢোকানো হাঁ করা মুখবিবরখানি নিয়ে, তোমরা কি আদৌ ভাবিয়াছিলে কিছু? তোমাদের চেতন মন কি দ্বিধা-বিভক্ত হইয়াছিলো? তোমাদের অবচেতন মন কি স্বপ্নদোষে ভুগিতেছিলো? তোমরা কি শুনিতেছিলে? তোমরা কি শুনিতেছিলে নির্বিকার-নির্লিপ্ত সেই সন্ন্যাসী তোমাদের দিকেই চাহিয়া চাহিয়া এইটাই বলিতেছিলো......
পুতির মতো চোখের কি সম্মোহন
চেরা জিবটা লক লক করে
আমার দিকে চেয়ে আছো
আমিও চেয়ে আছি
আসো সরীসৃপ গিলে খাও আমাকে
আস্তে আস্তে রসিয়ে রসিয়ে
না হয় আমি তোমাকে খাই
রক্তাক্ত তোমার অর্ধেক লেজটা
একে বেকে যায়
কষাটে মাংসের স্বাদ পাই
টুপ টুপ করে রক্ত ঝরে মুখ থেকে
পুতির মতো চোখের সম্মোহন
কোন ভালোবাসা নাই , ঘৃনা নাই
শুধু ক্ষুধার প্রতিবিম্ব
সরীসৃপের ফনা
ক্রুদ্ধ হিস হিস
হিলহিলে শরীর
পেচিয়ে ধরো আমায়; গুড়িয়ে দাও
ভাঙচুর
শেষে বিষটুকু ঢেলে দিয়ে
নতমুখে চলে যাওয়া
শরীরের কোষে কোষে তোমার আমার
অনুতাপের ক্লান্তি
মধ্যমাখানি বড়ই নিশপিশ করে। শিরশির করে। সোজা ও শক্ত হইতে চায়। দাঁড়াইতে চায়। আর বলিতে চায়......
হে ঈশ্বরগণ
একবার আসুন না!
একবার আসুন না আমাদের এই সুবর্ণ পৃথিবীতে!
এই ব্রথেলে!
(হে রুদ্র! ক্ষমার্হ!)
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
অম্বরে বাজে মৃদঙ্গ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।