আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনকুইজেশনঃ আহত সভ্যতার চরম পর্যায় ( ৫ )

একজন বইপোকা।

( আমি খ্রিষ্টান পাদ্রিদের চরম সভ্যতা লংঘনের কিছু ইতিহাস এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনাদের সুবিধার্তে পর্ব করে প্রকাশের চিন্তা করলাম। জানিনা, কতটুকু সফলতা পাবো । বিচারের দায় আপনাদের।

) পাদ্রী "ইনগাম গোবল" নামক একজন পাদ্রী "ফ্যাকসির" লিখা একটা বইয়ের ( যার বাংলা তরজমাঃ শহীদের বই ) বিশতম সংস্করণে কিছুটা সংযোজন করে লিখেছেনঃ " নেপোলিয়নের যুগে ফ্রান্স বাহিনী যখন স্পেন দখল করে তখন ইনকুইজেশনের গোপন কক্ষে তালাশ করা হয় । বিভিন্ন জায়গায় শাস্তির জন্য রাখা অনেক অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। একটা অস্ত্র এমন ছিল যে, কয়েদিকে তার সাথে বেধে সুইচ দিলে কয়েদির হাতের আংগুল থেকে নিয়ে হাড়ের সবগুলো জোড়া খুলে যেত। একস্থানে পাওয়া যায় পানির মাধ্যমে শাস্তির জন্য একটা কূয়া। যেখানে বিশাক্ত সাপ রাখা হয়েছিল।

আরো পাওয়া যায় এমন একটা মেশিন যার ছিল ৪০টি ধারালো ফলা কয়েদিকে যখন ঐ যন্ত্রের সাথে বেধে দিয়ে সুইচ দেয়া হতো তখন কয়েদিকে ফলার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলত। কিছুক্ষণ পর বুঝাই যেতনা এখানে একটা মানুষের অস্তিত্বই ছিলো না। সবচেয়ে ভয়ন্কর ছিলো একটা পুতুল আকৃতির মেশিন পুতুলটা সাজানো থাকতো বিভিন্ন রং বেরঙের দামী পোষাকে । পুতুলের দুই হাত ছিলো প্রসারিত। মনে হতো আলিঙ্গনের আহবান করছে।

তার সামনে ছিল একটা মখমলের বিছানা পাতা। বিছানায় আঁকা ছিল একটা চিহ্ন। যখন কয়েদীকে ঠেলে দেয়া হতো বিছানার দিকে । চালু হতো পুতুল সাথে সাথে ঝাপটে ধরতো পুতুল কয়েদীকে। মুহুর্তে ছিন্ন ভিন্ন করে দিত কয়েদীর দেহ।

গীর্জার ভয়ে ১৬৬২ সালে সম্রাট দ্বিতীয় ফেডারিক ঘোষণা করলেন যে," পবিত্র ইনকুইজেশনের কর্মচারিরা যেখানে যাবে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের । তারা যাকে সন্দেহ করবেন তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে হবে। ইনকুইজেশন কাউকে অপরাধী বললে তাকে আট দিনের ভেতরে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ডেমেস্কি সম্প্রদায়ের এক পাদ্রী "তুর্কমেন্ডো" ৫৮ বছর বয়সে ১৪৪৮ সালে তিনি টলেডো এবং আগানোর ইনকুইজেশন প্রধান হিসাবে নিয়োগ পান। আর তার মাধ্যমেই এসব নির্যাতনের সূত্রপাত হয়।

সারা বিশ্বের মানবতাবাধ আজ তাকে মন থেকে ধীক্কার জানাচ্ছে। (চলবে )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।