বরিশাল নিয়ে খুব ছোট বেলা থেকেই আমার অন্য রকম আগ্রহ। আমার জন্ম বরিশাল না। আমার কোনো আত্মীয় বাড়িও বরিশাল না। এমনকি গত কালের আগ পর্যন্ত আমি কখনো বরিশালে যাইনি। বরিশাল নিয়ে আমার প্রথম আগ্রহ এবং দুর্বলতা ক্লাস থ্রি বা ফোরে হবে।
আমি তখন লুকিয়ে লুকিয়ে উপন্যাস পড়ি। হাতের কাছে যা পাই সেটাই গোগ্রাসে গিলি। আমার প্রথম দিককার পড়া একটা প্রেমের উপন্যাস (নামটা ঠিক মনে পড়ছে না) এর কাহিনী পুরোটাই বরিশালকে ঘিরে। বরিশাল পার্ক। বরিশাল নদী বন্দর।
ঘাট। হাসপাতাল রোড। সদর রোড। বিএম কলেজ এবং আরো অনেক জায়গা। অনেকবার ভেবেছি বরিশালে বেড়াতে যাবো।
কিন্ত কেউ নেই বলে যাওয়া হয়নি। এবং বরিশাল এমন কোনো পর্যটন স্পট ও নয় যে সেখানে ঘটা করে বেড়াতে যাওয়া যায়।
ঘটনাক্রমে গত শুক্রবার বরিশাল যেতে হল। আমি লঞ্চের কেবিন বুক করলাম। ডাবল কেবিন।
আরেকজন আত্মীয়কে সঙ্গী করে ছুটলাম বরিশাল মানে কীত্তনখোলার উদ্দেশে। বরিশাল শহরে নেমেই খুজলাম জীবনানন্দ দাসকে। খুজলাম শেরে বাংলা, আরজ আলী মাতবর, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, ব্রজমোহন দে সবাইকে। তবে মনে মনে। স্মরণ করলাম সবার।
ব্যক্তিগত কাজ সেরে হাতে খানিক সময় পেলাম। ঘুরলাম শহরে কয়েক জায়গা। পুকুর পাড়, প পারারা রোড, মিশন স্কুল বিএম কলেজের সামনে খানিকক্ষণ ঘুরলাম। ছিমছাম শহরটা ভালোই লাগল। আসার সময় রসগোল্লা নিয়ে এলাম।
আমড়া খুজলাম। পাইনি। ভাবছি সময় পেলে আবারও বরিশাল বেড়াতে যাব। বোজজেন!!!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।