আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাখালের অলস সময়ে টুইটুম্বুর বোতলজাত ভালবাসার ভাবনা

shamseerbd@yahoo.com
(দুলা) ভাইয়া এমন কোন খ্যাতরে তুমি চিন যে গ্লাসে করে পানি খাইনা, এতে নাকি তার তৃষ্ঞা মেটেনা। তাকে খাইতে হবে মিনারেল ওয়াটারের বোতলে করে , তাও আবার বোতলে মুখ দিয়া। কারও এমন করে ভাল লাগলে সে খাবে , তাতে সমস্যা কি ? সমস্যা কি মানে, পুরাটাই সমস্যা। পানি খাবে সে আর আরেকজন বোতলে পানি ভরে রাখবে , কেন বাবা গ্লাসে খেলে সমস্যা কি !!! আরে পুরা ঘরটাই মনে হয় ম্যারাথনের ট্রাক, খাট থেকে নামলে একটা, পিসি টেবিলের পাশে একটা, ড্রইং রুমে একটা, ব্যালকনিতে একটা , চারিদিকে তাকালে দেখবা পানির বোতল আছেই, আর সে বোতলে পানি ভরে রাখতে হয় আমাকে। পানি না থাকলে কি আব্দার , এই এক বোতল পানি দাওনা।

সে পানি আমি খেতে পারলেও একটা কথা। কেন তুমি খাইলে সমস্যা কি ? আরে বোতলে মুখ দিয়া পানি খাই বললামনা। ও বোতলে মুখ দিয়া পানি খাই , সেটা তুমি খাইলে সমস্যা তো কিছু দেখিনা। বলে কি ? হ্যাঁ , আমি কোন সমস্যাতো দেখিনা, ঐ ঠোঁটে যখন চুমু দাও তখন মনে থাকেনা ভাইয়া তুমি থাম, তোমারে আর কিছু বলতে হবেনা। আচ্ছা তুমি কি সবসময় এভাবেই পানি খেয়ে আসছ !! আম্মা তোমারে কিছু বলে নাই।

হুমম এভাবেই খেয়ে আসছি। এখনতো অনেক ভাল বোতলে মুখ দিয়ে খাই। একদিন জগেও মুখ দিয়া খেতে গিয়া আম্মুর ঝারি খাইছি, তার পর থেকে আর জগে মুখ দিয়া খাইনা । কি ?? হ্যাঁ । আটানব্বই বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখার সময় ডাইনিং এ যাইয়া জগ দিয়ে পানি খাইতে যাইয়া আম্মুর চোখে পড়লে , তনি বলেন জগ থেকে সবাই পানি খাই, এভাবে আর খাবিনা।

সে থেকে জগে আর পানি খাইনা। খাইতে গেলে আম্মু কথা মনে পড়ে। তাই ওটা বাদ। ভার্সিটি লাইফে কি করছ। তোমার কি কোন মগ টগ ছিলনা, এমন বদ অভ্যাস হল কেমনে।

মগ একটা আম্মু দিয়ে দিছিল। একদিন কে জানি সেটা ভেঙ্গে ফেলল, তখন থেকেই !! মগ ভাঙ্গছে মগ কিনতা আরেকটা । খাইয়া দাইয়া আমার আর কাজ নাই। আর আমারতো কোন গার্ল ফ্রেন্ড ও ছিলনা যে আমারে একটা লাভ ইউ লেখা মগ গিফট করব। পোলাপানরে ওগো প্রেমিকারা কত সুন্দর সুন্দর মগ গিফট করত কোনটার কোমড় ভাঙ্গা, কোনটা ইয়া বড়, কত কিছু লেখা, আমারে কেউ কিছু দেইনাই, তাই আমি কোকের বোতলে পানি খাইতাম।

তোমারে কেউ দেয় নাই ভাল হইছে। আর দিলেইবা কি হইত। তুমিত একটা রাখাল। রাখাল যেমন রাস্তা ঘাটে কল থেকে পানি খাই তুমি ওত তেমন, আস্তে যাইতেভাত বাড়াইয়া বোতল একটা নাও, আর ঐটা থেকে পানি খাও। ইস একটা গার্ল ফ্রেন্ড থাকলে আমারে আজকে এই কথা শুনতে হইতনা।

কেউ আমারে রাখাল কইতনা। কেন ?? গার্ল ফ্রেন্ড থাকলে সে আমারে একটা মগ গিফট করত, ামি সারাদিন সে মগে পানি খাইতাম , তাহলে আজকে তুমি আর আমারে রাখাল কইতে পারতানা । চুপ থাক। আমার মত বউ পাইছ বলে তোমার ভাগ্য। কত সুন্দর করে পরিস্কার বোতলে পানি ভরে রাখি ।

আর আমি যে সেই ব্যাচেলর জীবনে শেখা জ্ঞান দিয়া তোমারে গরুর মাংস রান্না কইরা খাওয়াই। আহা কি সে গরুর মাংস। রান্না শেষে কিচেনে আর হলুদ খুজে পাওয়া যায়না। সে রান্না খাইয়াত ঠিকই বল দারুন হইছে । যাও আর খামু ওনা কমু ওনা।

এখন থেকে আমিই রান্না করুম। তোমার বোতলে তুমি পানি ভরে খাবা। এই তোমরা কি শুরু করলা। চল খেতে চল। ভাইয়া আপনিই বলেন কতক্ষন আর এসব সহ্য করা যায়।

আমি নাকি রাখাল। আমি কি সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরি নাকি !!! তো, তুমি কি । যারে ইচ্ছা জিজ্ঞাসা কর, সেই বলবে তুমি রাখাল, রাখালের মত ঘোরা ছাড়া তুমি আর পার কি। ও এখন এই কথা !!! ভ্যানিটি ব্যাগের মত সাথে নিয়া ঘুর, আর আমি এখন হইলাম রাখাল আপা তোর ঘরে মিনারেল ওয়াটারের বোতল আছে। কোকের খালি বোতল হলে ও হবে।

কেন !! বোতল দিয়া কি করবি। আরে সবাই কি গ্লাসে পানি খাইতে পারে নাকি। এই পানির বোতল টা দাও। এই বোতলে আমি মুখ লাগাইয়া পানি খাইছি। তো কি হইছে।

তুমি কিভাবে খাবা এখন কেন তুমি মুখ লাগাইয়া খাইলে আমি খাইতে পারবনা নাকি পারবানা কেন । বোতলটা দাও । এই নাও । যাক দুলাভাই এর কথা তাহলে মাথায় ঢুকছে। এইইই একদম চুপ।

কোন কথা বলবানা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।