আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগরের মানুষজন অলস হয়ে যাবে না তো?

আল বিদা

আগে যেসব স্কুলে ১টি সেশন ছিল তারাও ক্লাস শুরু করত বেলা ১১টার দিকে। আমাদের গ্রামাঞ্চলে হয়ত এর একটা প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু শহরে এর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। দেখা যেত ক্লাস শেষ হত ৫টায়। এতে শিশুদের খেলাধূলা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে না।

আমার স্কুলে এমন সময় থাকলেও পরবর্তীতে স্কুল সময় সকাল ৮টা হতে দুপুর ১টা করা হয় যা আমার ভালই লাগত। সরকার রাস্তার জ্যাম কমাতে অফিস ও স্কুলের নতুন সময়সূচি চালু করেছে। এটা ভাবতে ভাল লাগছে যে সরকারও ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে ভাবছে। কিন্তু যেভাবে ভাবছে তা সঠিক কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। নতুন ব্যবস্থায় মাত্র ২দিন গেল।

তাই এর ভাল খারাপ নিয়ে বা এতে ট্রাফিক ব্যবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে কিনা তা এখনই বলা ঠিক হবে না। তবে সরকারের প্রচেষ্টা দেখে ভাল লাগছে। ঢাকায় স্কুল, সরকারী ও বেসরকালী অফিসের তো অভাব নেই। তাই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অফিস চালু করলে তা হয়ত রাস্তায় প্রভাব ফেলবে। সমাধানের চেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে না যে ট্রাফিক জ্যাম কমানোর কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে।

ঢাকায় যেহেতু বেসরকারী অফিসের সংখ্যা বেশী তাই ঢাকার বেশীরভাগ মানুষের অফিস সময় বেলা ১০টায় তা তো বলাই যায়। বেলা ১০টা পর্যন্ত অকর্মন্য হয়ে বসে থাকা তো কোন ভাল কথা নয়। একজন যদি তার দৈনন্দিন কাজ শুরু করতেই বেলা ১০টা বাজিয়ে দেয় তবে তা খুবই দু:খজনক। আমি জানি না বিশ্বের আর কোন শহরে এমন আরাম আয়েসের ব্যবস্থা আছে কিনা। আবার ১টা হতে ২টা পর্যন্ত লাঞ্চ বিরতি।

পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করা আরও যন্ত্রনা দায়ক। আবার দেখা যাচ্ছে সময় এগিয়ে নেয়ার কারনে স্টক মার্কেটও ১ঘন্টা পরে শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টায় যাদের অফিস শেষ হবে তারা তো বাসায় যেতে যেতে আরও অনেক সময় লাগিয়ে দিবে যা রাস্তায় সান্ধ্যকালীন জ্যাম তৈরী করবে আবার এতে হয়ত পরিবারকে সময় দেয়ার সুযোগ হতে তাদের বঞ্চিত করবে। সবারই তো অফিসের পর ব্যাক্তিগত কিছু সময় দরকার। আরও একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে চাকরীজীবি অনেকেই অফিসের পর কিছু না কিছু পড়াশোনা করে।

সন্ধ্যা ৬টায় অফিস শেষ করে তাদের পক্ষে ক্লাস ধরা কঠিন হয়ে যাবে। এতে সন্ধ্যার ক্লাস সময় পরিবর্তন করে ১ঘন্টা আগালে তা শেষ হতেও ১ঘন্টা দেরী হয়ে যাবে। এতে নগরে রাত ১০টার পর চলাফেরার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে যা হয়ত আশা করাও কঠিন। শেষ কথা হচ্ছে একটি নগরের মানুষকে অলস বানিয়ে দেয়া হচ্ছে না তো?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.