আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেট্রোরেলের মোট খরচের উচ্ছিষ্ট টাকায় মতিঝিল-মিরপুর-১৪ রাস্তাটি এক বৎসর সময়ের মধ্যে যানজটমুক্ত করা সম্ভব

রিপোষ্ট রাস্তাটিতে যা যা বাস্তবায়ন করতে হবে: মতিঝিল থেকে গুলিস্তান,হাইকোর্ট,শাহবাগ,ফার্মগেইট,খামারবাড়ি,আগারগাঁও,রোকেয়া স্মরনী,মিরপুর-১০ হয়ে মিরপুর-১৪নম্বর পর্যন্ত রাস্তাটিকে সম্পূর্নরুপে যানজটমুক্ত করতে সর্বোচ্চ ১০টি ওভার পাস নির্মান করতে হবে এবং উক্ত রাস্তাটির কিছু অংশকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রুপান্তর করতে হবে । ওভারপাসগুলির দৈর্ঘ্য হবে গড়ে প্রায় ৩৫০মিটার এবং দুই লেইন বিশিষ্ট । ওভারপাসগুলির ৮টি হবে ইংরেজী ‘ইউ’টাইপাকৃতির এবং ২টি হবে সোজাকৃতির । উপরোক্ত প্রতিটি ওভার পাসের সর্বোচ্চ নির্মান ব্যয় হবে গড়ে প্রায় ২৫কোটি টাকার মতো । এই ওভার পাসগুলির নির্মান স্থল হবে যথাক্রমে-বাংলামোটর ও রুপসিবাংলা হোটেল পর্যন্ত রাস্তায় একটি,হোটেল সোনার গাঁ হতে প্রথমআলো পত্রিকা অফিস পর্যন্ত রাস্তায় একটি,আগারগাঁও হতে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় দুইটি, কাজীপাড়া হতে মিরপুর-১০ গোলচক্কর পর্যন্ত রাস্তায় দুইটি, মিরপুর-১০ গোলচক্করে দুইটি ,মিরপুর গোলচক্কর হতে পল্লবী পর্যন্ত রাস্তায় দুইটি ।

আর প্রথম ওয়ানওয়ে রাস্তাটি হবে মতিঝিল বিআরটিসি বাস কাউন্টার সংলগ্ন পেট্রোল পাম্প হতে শুরু হয়ে দক্ষিন দিক দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি হোটেল পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝখান দিয়ে শিল্পভবন এর সামনে গিয়ে বামদিকে টার্ন নিয়ে রাজউক ভবনের পশ্চিম দিক দিয়ে গিয়ে যথাক্রমে গুলিস্তান,জিরোপয়েন্ট,গুলিস্তানমাজার,ঢাকা দক্ষিন সিটিকর্পোরেশন ,বংগবাজার ,রেলওয়ে হাসপাতাল,হাইকোর্ট মাজারগেইট,প্রেসক্লাব সংলগ্ন কদমফোয়ারা,মৎসভবন মোড়,শাহবাগ মোড়,রুপসিবাংলা হোটেল মোড়,মিন্টুরোড মোড়,রমনা পার্কের পূর্বপার্শ্বের রাস্তা হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে দিয়ে আবার মৎস ভবন হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে গিয়ে পল্টন মোড়,দৈনিকবাংলা মোড় হয়ে আবার মতিঝিলের বিআরটিসি বাসকাউন্টার সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পের উত্তরপ্রান্ত পর্যন্ত । উক্তরাস্তাটির মধ্যে আবার কিছু অংশ হবে টুওয়ে পদ্ধতির,যথা:জনতাব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিমান অফিস পর্যন্ত,দৈনিকবাংলা মোড় থেকে শিল্পব্যাংক পর্যন্ত,জিরোপয়েন্ট থেকে শিক্ষাভবন পর্যন্ত,কদমফোয়ারা থেকে মৎসভবন পর্যন্ত রাস্তাগুলি হবে টুওয়ে পদ্ধতির । দ্বিতীয় ওয়ানওয়ে রাস্তাটি ফার্মগেইট পুলিশবক্স হতে শুরু হয়ে খামারবাড়ি হয়ে সংসদভবন ও মনিপুরীপাড়ার মাঝখান দিয়ে বিজয়স্মরনীর বিমানচত্বর হয়ে,চীন মৈত্রীসম্মেলন কেন্দ্র হয়ে সোজা আগারগাও আইডিবি ভবনের দক্ষিনদিক দিয়ে পংগুহাসপাতালের দিকের রাস্তা দিয়ে কিছদূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে ডানদিকে টার্ন নিয়ে এলজিইডি ভবনের সামনের রাস্তাদিয়ে গিয়ে কম্পিউটার সিটির উত্তরদিক দিয়ে গিয়ে আবার কম্পিউটার সিটি ও আইডিবি ভবনের পূর্বদিক দিয়া গিয়ে পুরাতন বিমান বন্দরের ভিতর দিয়া নির্মিত রাস্তা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়া আবার ডানদিকে টার্ন দিয়া সোজা ফার্ম গেইটের পুলিশবক্সের সামনে গিয়া শেষ হবে । বিজয় স্মরনীর বিমানচত্বর হতে রেংগসভবন সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত রাস্তাটি হবে টুওয়ে পদ্ধতির । রাস্তাটি কিভাবে যানজট মুক্ত হবে:উপরে বর্নিত রাস্তাটিতে উপরোল্লিখিত ওভারপাস গুলি নির্মান এবং ওয়ানওয়ে পদ্ধতি বাস্তবায়ন করলে মতিঝিল থেকে মিরপুর-১৪ পর্যন্ত রাস্তাটির কোথাও আর ট্রাফিক সিগনালের কারনে গাড়ি থামাতে হবে না ।

ফলে গাড়ি নিয়ে উক্ত রাস্তায় বাধাহীনভাবে সমগতিতে মতিঝিল থেকে মিরপুর-১৪ পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে । ওভারপাস গুলির উপর দিয়ে রাস্তার বামলেনে চলাচলকারী গাড়িগুলি ডানলেনে যাবে এবং ডানলেনে চলাচলকারী গাড়িগুলি বামলেনে যাবে এবং চৌরাস্তাগুলির প্রধান সড়কের উপর ডিভাইডার স্থাপন করে আড়াআড়ি রাস্তা ক্রস করা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে সিগনাল দিয়ে একদিকের গাড়ি থামিয়ে রেখে আরেক দিকের গাড়ি চলাচল করতে দেওয়ার আর প্রয়োজন হবে না । ফলে রাস্তায় গাড়ি জমে যানজট সৃষ্টির আর কোন সুযোগ থাকবে না । আর যে সমস্ত রাস্তাগুলিকে ওয়ানওয়ে রাস্তায় রুপান্তর করা হবে, সেই রাস্তাগুলির কোথাও আর কোন ক্রসিং পয়েন্ট থাকবে না ।

ফলে ঐ সকল রাস্তাগুলিতে আর ট্রাফিক সিগনাল পদ্ধতিতে গাড়ি নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন হবে না এবং ঐ রাস্তাগুলি দিয়া গাড়িগুলি সম্পূর্ন বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারবে । ফলে ওয়ানওয়ে রাস্তায় গাড়িগুলির যানজটে পড়ার আর কোন সুযোগই থাকবে না । যেহেতু এই পথে মেট্রোরেল হবে, তখন এর কি দরকার ? কারন: মেট্রোরেলের কাজ শুরু হবে ২০১৯ সালে, আর শেষ হবে ২০২৪ সালে অর্থ্যাৎ এই মেট্রোরেল থেকে সুবিধা পেতে হলে আপনাকে কমপক্ষে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ১১ বৎসর । এই দীর্ঘকালে কি এই রাস্তায় চলাচলকারীদের আরো বেশী যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না? যদি কোন সহজ উপায়ে এই যানজট দূর করা যায়,তবে কেন আমরা এতো দীর্ঘকাল যানজটের কারনে কষ্ট ভোগ করব ? আমার দেওয়া ফর্মূলা অনুযায়ী উক্ত রাস্তার যানজট দূর করতে মাত্র প্রয়োজন হবে সর্বসাকুল্যে ২৫০কোটি থেকে ৩০০কোটি টাকা, যা মেট্রোরেলের প্রাক্কলিত নির্মান খরচের (প্রায় ২১হাজার কোটি টাকার) উচ্ছিটের চেয়েও কম । আর সময় লাগবে মাত্র এক বছর ।

এতো অল্প টাকায় যেহেতু উক্ত রাস্তাটিকে সম্পূ্র্ন যানজটমুক্ত করা সম্ভব, তখন কেন আমরা এই সুযোগটা গ্রহন করব না ? মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হবে কি ? উত্তর:না, কোন সমস্যা হবে না । কারন, মেট্টোরেলের জন্য যে পথটি নির্মান করা হবে, তা রাস্তা থেকে প্রায় ৬০ফুট উপরে হবে, আর ওভারপাসগুলির জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩০ফুট উচ্চতা । আর মেট্রোরেলের জন্য যে পিলারগুলি নির্মান করা হবে, সেই পিলারগুলির ফাকে ফাকেই ওভারপাসগুলি নির্মান করা সম্ভব । বি:দ্র:যানজট নিরসনের আমার এই প্রস্তাবটির প্রয়োজনীয় নির্দেশনামূলক নকশাটি আমার ফেইসবুক পেইজে দেওয়া আছে, যা থেকে কিছুটা বাস্তব ধারনা আপনারা পেতে পারেন । নকশাটিতে ঢাকামহানগরীর প্রায় আশিভাগ এলাকার যানজট নিরসনের ধারনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

নকশাটিতে তীর চিহ্নের সাহায্যে গাড়ির গতিপথ বুঝানো হইয়াছে । নীচে আমার ফেইসবুক আইডিটা দেওয়া হলো:http://www.facebook.com/asad.rahman.7906 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।