আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দগ্ধ আত্মা, দূষিত শরীর................................

পরাঞ্জয়ী...

শেষের পথে সব আজ। নাহ, শেষই বলা যায়। পুরাতন স্মৃতিগুলো আজ প্রশ্নের রূপ ধরে সামনে এসে দাঁড়ালো। গলার টুটি চেপে বললো "উত্তর দে"। উত্তর "জানি না,তোমরাই তোমাদের উত্তর"! সেদিন সেই ক্ষনে দুটি স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মন কাছে এসেছিল নীরবে।

কেউ জানতেও পারেনি। সেই রোমাঞ্চিত মুহুর্ত গুলো কি একেবারেই গেছে? একেবারেই? তা কি করে হয়?! দুইটি ঠোঁটের মাঝখানে যখন আরেকটি উষ্ম ঠোঁট নিষ্পেষিত হচ্ছিল তখন কোন কাঁটা তো ফোটেনি। তবে কিসের বিষ এ? তবে কি সমস্ত মুখের উপর ঘন ঘন আছড়ে পড়া সেই অগ্নিসম নিশ্বাসেই বিষ ছিল? তবে কি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা শরীর দুটো তাদের অজান্তেই নিঃশেষ করে দিয়েছিল সব আস্থা? কত যত্নে সেদিন শার্টের বোতাম গুলো খোলা হয়েছিল, যাতে ছিঁড়ে না যায়, তখন তো একবারও মনে হয়নি একদিন সকল সুখের স্মৃতি গুলো ছিড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে! শরীর থেকে একটি একটি করে আলাদা হয়ে যাওয়া বসন গুলো সে যেভাবে মেঝেতে, দরজায় কিংবা কোনটা বিছানাতে ছুঁড়ে ফেলেছিল সেভাবে একদিন শরীরটাকেও ছুঁড়ে ফেললো! ঝড় ওঠা সেই নিমগ্ন সময়, কত প্রশ্নের মুখোমুখি যে করে................. দুটি শরীর যখন যুদ্ধ জয়ের নেশায় মগ্ন ঠিক তখনই বোধ হয় আসল পরাজয় টি হয়েছিল। ঘুনাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি। আজ যখন সে বললো "চলে যাও, তোমাতে আমার প্রয়োজন শেষ" তখন একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাসও কি পড়েনি? হায়রে পাষন্ড,এই ছিল তোর মনে?!! দুটি দেহের মিলিত সৌরভ আজ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত করছে বাতাস।

যে গন্ধ একদিন শরীরে উন্মত্ত ঝড় তুলতো, সেই গন্ধে আজ গা গুলিয়ে বমি আসে। নিজের দিকেই আঙ্গুল তুলে বলে ওঠে "অশ্পৃশ্য"!!! একটি শরীরের ঘামে বুঁদ হয়ে ভিজে থাকা আরেকটি শরীর কখনও কি ভেবেছিল, একদিন চোখের জলে ভিজতে হবে? ঝড়ের তান্ডবে এলোমেলো ঘর-দোর আর বিছানা দেখে বড্ড হেসেছিল সেদিন। আজ কেন এলোমেলো জীবন দেখে কান্না পায় তবে? সেদিন ইচ্ছে করেই ঘরের জানলা দরজা, এমন কি জানলার পর্দা গুলো কষে আটকে দেয়া হয়েছিল, যেন বাতাসেরও অধিকার নেই অভিসারের এই গোপন লীলাখেলা দেখবার। আজ এত করে জানলা দরজা খুলেও একটু দম নেবার মত বাতাসও পাওয়া জায়না কোনখানে! এ কোন অভিশপ্ত জীবন ঈশ্বর!!! ঝর্ণার জলে স্নান করে ধূয়ে ফেলা সেই শ্বেতকনাগুলো কি কোথাও একটু খানি অবশিষ্ট ছিল? নইলে এই শরীরে এত বিষের বংশবৃদ্ধি কিভাবে হয়?! এ বিষের জ্বালায় সব পুড়ে ছাই হতে চায়। ঈশ্বর মুক্তি দাও, মুক্তি দাও ঈশ্বর!! এই আত্মা এ নষ্ট শরীরে আর টিকতে পারেনা।

আত্মার প্রশান্তি দাও, নয়ত শরীরটা আত্মাটা কেও পঁচিয়ে তবেই ছাড়বে। মুক্ত করো শরীরের বাঁধন থেকে পরিশুদ্ধ আত্মাকে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।