আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজী শেখার সহজ উপায়! আমার জানা মতে...

। বাউন্ডুলে ব্লগার। নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা নয়! ছোটবেলা থেকেই মাতৃভাষার পাশা পাশি এই ভাষায়ে মোটামুটি চালিয়ে নেবার মতন ছিলাম। সেই তখনকার আমলে বাংলায় পেয়েছিলাম লেটার মার্কস আর ইংরেজীতে প্রথম পত্রে ৮৯ এবং দ্বতীয় পত্রে ৮০! ১ নম্বরের জন্য লেটার হয়নি। কোনোদিন ইংরেজী রচনা মুখস্ত করতে হয়নি আমাকে।

মুখস্ত বিদ্যাটা আমার একেবারেই ছিল না। ইংরেজী পড়বার সময় বাংলা ভেবেই পড়তাম। এটুকু বললাম শুধুমাত্র আপনাদের কিছুটা আস্থা অর্জনের আশায়। সেটা অর্জন করা খুব কঠিন! চাকুরী জীবনেও দেখেছি আমার বসরাও ইংরেজীতে একখানা চিঠি লিখতে পারতেন না; এমনকি বাংলাতেও না! বেতন পেতেন আমার চাইতে ৪ গুন! এমনকি আমার কলিগরা্ও নিজেদের ব্যক্তিগত কোন ইংরেজী চিঠি কিংবা মেইল লিখে দেবার জন্য কোকা-কোলার লোভ দেকিয়ে যেতেন প্রতিনিয়ত। বলে রাখা ভালো আমি কিন্তু ভাই ইংরেজীতে সম্মান কিংবা স্নাতোকোত্তর নই! লেখা পড়া করেছি সমাজবিজ্ঞানে এবং বাংলা মিডিয়ামেই।

কথা না বাড়িয়ে এখন মূল বিষয়ে আসি- ০১। অনেকে মনে করে থাকেন ইংরেজী খবরের কাগজ পড়লে ইংরেজী শেখা যায়। এটি ভুল ধারনা। কারণ খবরের কাগজের সাথে তিন-চার খানা ডিকশনারী নিয়ে বসতে হয়। যেকোনকিছুই শিখবার সহজ উপায় হলো বিনোদনের মাধ্যমে শেখা।

আমি বাংলা খবরের কাগজেই আগ্রহী বেশী। ০২। গ্রামার বই পড়ে আপনি ইংরেজী ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ শিখতে পারবেন। এটা জরুরী বিষয়। তবে আজ-কাল যেসব গ্রামার বই বাজারে পাওয়া যায়! সেগুলোতে সৃজনশীলতার মাখা মাখি।

ভয়েস, ন্যারেশন, সেন্টেনস স্ট্রাকচার এসবের বালাই নেই। শুধূ উপরের অংশটি পড়ে নীচের প্রম্নের উত্তর দাও। !!!! এজন্যই আজকালকার ইংরেজী শুনলে হাসি পায়। পুরোনো বই এর দোকানে গিয়ে খুঁজে দেখুন আশির দশকের কোনো গ্রামার বই পান কিনা। কাজে লাগবে।

০৩। ইংলিশ মুভি দেখা হলো সবচাইতে সহজ উপায় ভালো ইংরেজী বলবার জন্য। যারা একটু কাঁচা, তারা সাবটাইটেল সহ দেখবেন। এক্ষেত্রে মুভি সিলেকশানটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। আমি কয়েকটি মুবির নাম এখানে উল্লেখ করছি পারলে সংগ্রহ করে দেখা শুরু করে দিন।

মুভিগুলোও উপবোগ করতে পারবেন, আবার ইংরেজী শিখবার রাস্তায় অনেকদূর এগিয়ে যাবেন। ‘নটিং হিল’, ‘শার্লক হোমস টিভি সিরিয়াল কালেকশান’ এদুটির কথাই এখন বলছি, কারন দুটি মুভিতেই ব্রিটিশ ইংরেজী ভাষার ব্যাকারণিক ভিত্তিতে ডায়লগ রচিত। ০৪। অনেকে ভাবতে পারেন ব্রিটিশ ইংলিশ তো চলে না! ভাই রে, ভাষাটি আগে সহজ ভাবে শিখে নেন! তারপর ইউ এস চলতি ভাষার দিকে নজর দেন। না হলে, বলতে গিয়ে গুবলেট হয়ে যাবে।

ভালো ইংরেজী জানা মানুসের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মুচকি হাসির খোরাকে পরিনত হবেন না হলে! ‘দ্যা পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান’ মুভি সিকুয়্যাল গুলো দেখুন। বিশেষ করে ফলো করুন ক্যাপটেন জ্যাক স্প্যারো এর ডায়লগ। দেখবেন কিভাবে তিনি ছোট ছোট শব্দের মাধ্যমে অনেক বড় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন। মনে রাখবেন, কথা বলবার সময় আপনার অভিব্যক্তি আপনার শব্দ ভান্ডরের অভাবকে কিছুটা হলেও ঢেকে দেবে। ০৫।

ইংলিশ কোর্স!!!!!!!! ভাই আর হাসাইয়েন না!!!!!!! ০৬। ইউ এস ইংলিশ শিখবার জন্য ‘জেফ ডানাম’ লিখে ইউ টিউবে সার্চ দিন। দেখুন শুনুন!!! অনেক কাজে দেবে। জেফ হচ্ছেন পৃথিবীর কয়েক জনের মধ্যে প্রথম সারির একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান এবং পৃথিবীর সেরা ভেন্ট্রোকুইলষ্ট। উনার শো মানুষ হাজার ডলারে টিকেট কেটে দেখে থাকেন উচ্চমার্গীয় বিনোদনের জন্য।

আপনাওে ভালো লাগবে। তবে ইংরেজী ভাষাটা কিছুটা ব্রিটিশ ধাচে শিখে নিতে হবে আগে। তাহলেই আপনি ইউ এস ধাচের ইংরেজী এ্যাকসেন্ট এর সাথে তাল মিলিয়ে লিসনিং এবং লার্নিং টা খুব উপভোগ্য ভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। আরো আছে.... পরে লিখবো------ এখন আর ভালো লাগছে না। সবাই ভালো থাকবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬১ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।