আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পশু-পাখির রাজ্যেঃ

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

পশু-পাখির রাজ্যেঃ মানুষের জীবনে শখের অন্ত নেই। কারো শখ থাকে বাগান করার কারো বা স্ট্যাম্প জমানোর। অনেকের আবার শখ থাকে পশুপাখি পালনের। যদিও স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করা পশুপাখিকে বদ্ধ খাঁচায় আবদ্ধ করে পালন করার ব্যাপারটাতে ঘোর আপত্তি রয়েছে অনেকের। তবুও খাঁচায় পশুপাখি পালনের শখ থাকে অনেকের।

কেননা বর্তমান সময় খাঁচায় যেসব পশুপাখি পালন করা হয় সেগুলো এদেশের আবহাওয়ায় খাঁচাতেই মানানসই। কেননা এ সকল পাখি বাইরে ছেড়ে দিলেও বৈরি আবহাওয়া অথবা অন্যান্য কারণে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাছাড়া পশুপাখি পালনের জন্য সৌখিন যারা তারা একটু বেশি পরিমাণেই যত্ন-আত্তি করে থাকে। ফলে নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি ঘরের শোভা বাড়াতেও বর্তমানে অনেকেই পশুপাখি কিনছেন। পশু-পাখির বেচাকেনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা ঢাকার কাটাবন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

কাটাবন থেকেই পেতে পারেন দেশ-বিদেশের হরেক রকমের পশুপাখি। সমগ্র পৃথিবীতে মাদাগাসকার, রেড ফেইস, এ্যবসিনা, সুইনডারন্স, পিচ ফেইস, হায়াসা, ব্লাক চেক্টড, ফিসারস, মাসক্ড- এই নয় ধরনের লাভবার্ড থাকলেও আমাদের দেশে ৩/৪ ধরনের লাভবার্ডই বেশি পাওয়া যায়। লাভবার্ড হচ্ছে টিয়া পাখির ছোট্ট রূপমাত্র। এরা টিয়া পাখির মত সবুজ শরীরের অধিকারী হলেও মাথার কাছে থাকে হরেক রকমের রঙ। এই পাখিগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে এরা যাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় সব-সময় তার আশেপাশেই থাকে।

আর এ কারণেই একে ভালবাসার প্রতীক বা লাভবার্ড বলা হয়। লাভবার্ড পাখির ছেলে ও মেয়ে চেনার সহজ উপায় হলো পুরুষ পাখির ঠোঁটের উপরে নাকের দিকে নীল রঙ থাকে এবং মহিলার থাকবে বাদামি রঙ। লাভবার্ডের এক একটি জোড়া বিক্রি করা হয় ৪০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। সিলেটের শ্রীমঙ্গলে শাপলা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী রনি আহমেদ কাটাবনে এসেছেন লাভবার্ড কেনার জন্য। তার শখ পাখি পালন করা।

তিনি জানালেন, ঢাকার কাটাবনে অনেক জাতের পাখি পাওয়া যায় আর সে কারণেই তার এখানে আসা। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি পাখি পোষার জন্য এখান থেকেই কিনছেন। লাভবার্ড ছাড়াও এখানে রয়েছে বার্জারিকা পাখি, জোড়া ৩০০ টাকা। কাকাতুয়া ৮০০-১৬০০, প্রিন্স বার্ড ২০০-৪০০, তোতা ৩০০-১০০০, টিয়া ২০০-৩০০ টাকা, ময়না ১৫০০-৫০০০ টাকা, হিরামনি ৪০০-৬০০ টাকায়। বিভিন্ন জাতের কবুতরের মধ্যে রয়েছে লক্ষা কবুতর ২ হাজার টাকা, সিরাজী ২৫০০ টাকা, ম্যাগফাই ২৫০০ টাকা এবং কিং নামের কবুতরের দাম পড়বে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও খরগোশ জোড়া ৪০০ টাকা। কুকুরের মধ্যে রয়েছে অ্যালসেসিয়ান ১৫-১৬ হাজার টাকা, স্পিস- ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা, ডোবারম্যান ২০-২৫ হাজার টাকা, বক্সার ২০-২৫ হাজার, লেবার ডগ ১০ এবং লাসা কুকুর পাবেন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। দামী কুকুরদের দাম যথাক্রমে-ফয়েইন্টার-৮০ হাজার থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার, গ্রে গাউন্ড-৮০ হাজার থেকে ৭০ হাজার, রেড রোলার-৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার, ব্লাক হাউন্ড-৪০ হাজার থেক ৭০ হাজার টাকার মধ্য। তবে দামী কুকুর সব সময় প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়না। ক্রেতাদের চাহিদা মত ৭-১৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এখানে পশুপাখির খাঁচা আপনি পেতে পারেন; তবে পাখি পালনের জন্য খাঁচার সঠিক মাপ হলো দৈর্ঘ্য ৩৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ও উচ্চতা ২০ ইঞ্চি। বিভিন্ন মাপের পাখির খাঁচা পাবেন সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এখানে পাখির খাবার পেতে পারেন। পাখির খাবারগুলো হলো সরিষা, সূর্যমুখী ফুল, গম, ভুট্টা, চাল, বালি, তিল, তিসি জই পেপে, আনারস, কর্নেল বীজ। এছাড়াও গাজর, শশা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেটুস পাতা, মূলা, পেঁয়াজ, বীট, সবুজ মটর, বেগুন গাছ প্রভৃতি পাখির পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

শুধু শখ পূরণই নয় ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে আপনার শখের জিনিসটি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।