আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিত্র কুরআন - কিছু সূরা (বাংলা অনুবাদ)

পরে....

একদম ছোটকাল থেকেই আমি পবিত্র কুরআনের সূরা ফিল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত মুখস্ত পারি। নামাজ পড়ার জন্যই সূরাগুলো মুখস্ত করা। কালক্রমে আরও কিছু সূরা পরে মুখস্ত করি। কিন্তু অনেক বয়স পর্যন্ত সূরাগুলোর অর্থ বুঝতাম না। কিন্তু আমার অনেক আগ্রহ ছিলো এই ব্যাপারে।

পরে ক্লাস নাইনের ইসলাম শিক্ষা বইয়ে অর্থগুলো জানতে পারি। এই রমজানে আমি এর কিছু কিছু সূরার অনুবাদ বাংলায় টাইপ করেছিলাম। এখন ভাবলাম সবগুলো সূরা একসাথে রাখা গেলে মন্দ হয় না। তাই এই পোষ্ট। সুরা আল ফাতিহা: সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি নিখল বিশ্ব –জাহানের রব, যিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়, প্রতিদান দিবসের মালিক।

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই, তুমি আমাদের সোজা পথ দেখাও, তাদের পথ যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ, যাদের ওপর গযব পড়েনি এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়নি। সূরা নাস: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহন করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা'বুদের। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রনা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। সূরা ফালাক্ব: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহন করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে, এবং হিংসুটের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। সূরা ইখলাস: বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি।

এবং তাঁর সমতূল্য কেউ নেই। সূরা কাফিরূন: বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও যার এবাদত আমি করি, এবং আমি এবাদতকারী নই যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও যার এবাদত আমি কর। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্য এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য।

সূরা আছর: কসম যুগের, নিশ্চই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্হাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। সূরা ত্বীন: শপথ আন্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, এবং সিনাই প্রান্তরস্হ তূর পর্বতের, এবং এই নিরাপদ নগরীর (মক্কা)। আমি সৃস্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম আবয়বে, অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্হাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে অশেষ পুরস্কার। অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক নন? সূরা আদিয়াত: শপথ উর্ধ্বশ্বাসে ধাবমান অশ্বরাজির, অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের, অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে, অতঃপর যারা শত্রুদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে- নিশ্চয়ই মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ, এবং সে অবশ্যই এ বিষয়ে অবহিত, এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত। সে কি জানেনা, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে? সেদিন তাদের কি হবে, সে বিষয়ে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।

সূরা কদর: নিশ্চয়ই আমি একে (কুরআন) নাযিল করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? কদরের রাত হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। শান্তিই শান্তি, যা বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.