আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসফরাস ও রহস্যের চারাগাছ



ঘন মেঘ। খানিকটা বৃষ্টিও ছিল। ছলাৎ শব্দে ঢেউ এসে ভেঙ্গে পড়ছিল পাটাতনে। সামনে বসফরাসের দৃশ্য। বরফ।

সূর্য কিরণ। আননে আগুন যেন। স্বেদ বিন্দুর ওপর জ্বলজ্বলে আলো-বিদ্যুৎ। সী-গালগুলো উড়ে এসে বসেছে মাস্তুলে। ডেক চেয়ারে।

পানির ছিটে এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে জামা ও ট্রাউজার। নোনা হাওয়া আর শুকিয়ে যাওয়া পানি আর গুঁড়ো গুঁড়ো লবণ উড়ে এসে লাগছে চুলে ও কপোলে। যে প্রং আমরা খুঁজছিলাম তা আরেকটু বাঁয়ে। এখনই আমরা দু'একটি নীল তিমি দেখছি। বিডিং দেখার এতো লোভ আমরা কোথায় লুকিয়ে রাখি বলো?বাচ্চা তিমি আর ডলফিনের এমন স্বচ্ছন্দ জলকেলি দেখার আগে মৃত্যু কীভাবে কাম্য হতে পারে।

আনন্দের আবহের ভেতরে এমন সন্তরণ কই এর আগে হয়নি তো কখনো। শাদা বরফ আর বসফরাস। বাচ্চা তিমি আর ডলফিন। সূর্যোদয় ও কিরণ। আনন্দ আর আমি ক্রমশ এক অসম্ভব ঘোরের ভেতরে বিলোড়িত হচ্ছি যেন।

এই সুনসান নীরবতা। জলতরঙ্গ। নোনা সংস্রব আর পোড়া তেলের ঈষৎ গন্ধ ব্যতীত কোনো শব্দ ও গন্ধ নেই। ঢেউ ব্যতীত কোনো বিলোড়ন নেই। হাজার বছর ধরে বিবর্তনহীন আমরা মহাজাগতিক আবহের ভেতরে খাবি খেতে খেতে দেখি স্রষ্টার অদৃশ্য হাত কী অসম্ভব কৌশলে বুনে চলেছে রহস্যের চারাগাছ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।