আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাগো, আজ ৪২ বছরের দায় ও কলঙ্কমুক্তির সময় এসেছে।

ছোটকালে বাচ্চাদের এক ধরনের নেশা থাকে, যেমন কার্টুন দেখা। একটু বড় হলে তার রুচির পরিবর্তন হয়, সে কিশোর উপন্যাস পড়ে। পরবর্তীতে সে দেশি বিদেশি সিনেমা দেখে বা বই পড়ে। অর্থাৎ বয়সের সাথে সাথে আমাদের রুচির পরিবর্তন হয়। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে ১৯৭১ এর রাজাকারদের, তবে তাদের ক্ষেত্রে এই নেশাটা হয়েছে নেতিবাচক।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পাকিস্তানী মদদপুষ্ট নরপিষাচেরা তাদের ভাল মানুষের পর্দা পাল্টিয়ে যে যেখানে পেরেছে খুন, গণহত্যা ও মা বোনদের ধর্ষন করেছে। নিজের বিবেকের দংশন বলে তাদের কিছুই ছিল না। আমার মা বলেন, সে সময় পাকি সেনাদের মৃত্যুর ভয়ে গ্রামে কোন যুবক ছিল না। রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসরা নিরাপরাধ ছেলেদের ধরে নিয়ে গিয়ে খাল বিলের পাশে হাত পা বেধে হত্যা করত। তাদের মধ্যে বাঁচার যে আকুতি ছিল তারা তা শোনেনি।

মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে আজ ৪২ বছর হল, আজও এই স্বাধীন বাংলায় রাজাকাররা বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায়। তাদের নেশার আজ পরিবর্তনএসেছে, তারা এখন নিজের হাত নোংরা করে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুবিধা নিয়ে তারা কিছু সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলেছে। আর ৭১ এর সেই বড় বড় রাজাকার গো আজম, নিজামী, কাদের, সাঈদী কামরুজ্জামানরা হয়েছে জামাত শিবিরের নেতা। একজন ধর্ষক, খুনী কিভাবে ধর্মীয় দলের নেতা হতে পারে তা বুঝে আসেনা।

এদের থেকে মানুষ কি শিখবে? খুন, ধর্ষন না শান্তির বানী??? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলে মুখ থেকে থুতু বের হয়ে আসে। আজ সেই রাজাকাররা মাথা চাড়া দিয়ে ঊঠেছে। তাদের সন্ত্রাসীরা আজ পাগলা কুকুরের মত এই বাংলায় হত্যা শুরু করেছে। অফিস, যানবাহন, রাস্তা কোথাও মানুষ আজ নিরাপদ নয়। তারা কি এই ধর্মীয় শিক্ষা দেয় যে, মানুষ হত্যা কর, মানুষের জান মালের ক্ষতি কর? ইসলামে হত্যা, সহিংসতার কোন স্থান নেই।

আজ এই রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুবক-তরুণ-বৃদ্ধ আবার জেগে উঠেছে। তাদের একটাই দাবি, রাজাকারের ফাঁসি। জাহানারা ইমামের সেই জনতার আদালত আবার জেগে ঊঠেছে। এবার ফাঁসি না দেখে কেউ বাড়ি ফিরবে না। এজন্য যদি আরেকবার রক্ত দিতে হয় তাও দিতে প্রস্তুত আমরা।

যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই আমাদের প্রতিরোধ গড়তে হবে। বাংলা আজ জামাত শিবির রাজাকার থেকে কলঙ্কমুক্ত হতে চাই। আবার বলতে চাই, মাগো রাজাকারদের ফাঁসি না দিয়ে বাড়ি ফিরবো না। ৪২ বছরের দায় ও কলঙ্কমুক্তির আজ সময় এসেছে। আসুন সবাই ঝাপিয়ে পড়ি।

জয় শাহবাগ, জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।