আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢামেক হাসপাতাল পরিচালকের সীমাহীন ঔদ্ধত্য : সাংবাদিক লাঞ্চিত

zahidmedia@gmail.com

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পরিচালকের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন এক ফটো সাংবাদিক ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কয়েকজন আত্মীয় স্বজন। বুধবার দুপুরে কয়েকজন লোক পাস ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করলে পরিচালক প্তি হয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তিনি বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করেন। এ সময় ছবি তোলার সময় এক ফটো সাংবাদিককেও তিনি লাঠিপেটা করেন এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে যায়।

রোগীদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা পাস ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করলে ঢামেক পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদের বেপরোয় লাঠিপেটা করেন। এ লাঠিচার্জের চিত্র ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে পরিচালকের হাতে আহত হয়েছেন ফোকাস বাংলা নিউজের ফটো সাংবাদিক মো: আনিছুর রহমান মঈন। লাঠিপেটার ছবি তোলার কারণে তার ক্যামেরার মেমরি কার্ড ছিনিয়ে নেয় পরিচালক বজলে কাদের। ফটো সাংবাদিককে মঈনকে প্রায় এক ঘন্টা তার রুমে আটকে রাখেন। বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও অভিবাকদের প্রচন্ড ভিড়।

করিডোরে এলোমেল অবস্থায় রোগীরা পড়ে আছে। এ অবস্থায় দুপুর একটায় ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদের হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি পাস ছাড়া অনেকেই হাসপাতালে প্রবেশ করায় লাঠিপেটা শুরু করেন। এ সময় লাঠির আঘাতে অনেকেই আহত হয়। পরিচালকের লাঠিপেটার ঘটনায় পুরো হাসপতালে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

পরিচালকের হাত থেকে রা পাওয়ার জন্য রোগী ও অভিভাকরা দৌঁড়াতে থাকে। লাঠিপেটার কারণে দুপুর ২টার দিকে পুরো হাসপাতাল ফাঁকা হয়ে যায়। এদিকে লাঠিপেটার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করায় ফোকাস বাংলা নিউজের ফটো সাংবাদিক মো: আনিছুর রহমান মঈনকে পরিচালন তার রুমে ধরে নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। এ সময় তার ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়। প্রায় ১ ঘন্টা একটি কে তাকে আটক রেখে পরে ক্যামেরার মেমরি কার্ড রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ সাংবাদিককে পরিচালক হুমকি দিয়ে বলেছেন, আর যদি তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দেখে তাহলে পিটিয়ে উলঙ্গ করে তাড়িয়ে দেবে। পরে বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি পুলিশ দিয়ে আটকের হুমকি দেন। এর আগেও পরিচালক বেশ কিছুদিন আগে এক রোগীর ছেলেকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। এ ঘটনা শেষে থানাসহ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।