আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং প্রজন্ম চত্বর তথা কোটি বাঙ্গালীর আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের অবদান নয়, অবদান সাধারণ জনতার

আমার ব্লগ আমি আমার ডায়েরীর মতো করে ব্যবহার করি। এখানে আমি একটা গল্প অথবা কবিতা লিখতে পারি, অথবা আজকে কিসের তরকারী দিয়ে ভাত খেলাম, সেইটাও লিখতে পারি। । একবার এক মুরগী গেল ডিমের দোকানে, ডিম কিনতে। দোকানদার মুরগীকে বললো, “আপনি তো নিজেই ডিম পেড়ে নিতে পারেন, অথচ আমার কাছে ডিম কিনতে এলেন যে?” মুরগী উত্তরে বললো, “ডিম আমি পাড়তে পারি তা ঠিক, তবে আমার এত সুন্দর ফিগারটা যে নষ্ট হয়ে যাবে?” দোকানদার বললো, “তো ডিম দিয়ে কী করবেন শুনি?” মুরগী বললো, “দু’একটা ডিম পাছার তলে ফেলে যদি তা দিতে না পারি, তখন সবাই আমাকে মুরগী নামের কলঙ্ক বলবে না?” দোকানদার বললো, “ও আচ্ছা! আপনি কষ্ট করে ডিম প্রসব করতে চান না, অথচ ডিম থেকে সুবিধা ভোগ করতে চান ঠিকই?” মুরগী বললো, “এতক্ষণে আসল কথাটা বুঝলেন মিয়া!” (গল্প পাঠে আমরা কী বুঝলাম? মুরগী ফিগার ঠিক রাখতে ডিম প্রসব করতে চায়না, অথচ ডিমের ফল ঠিকই ভোগ করতে চায়।

একই ভাবে, আজকের এই দিনে, বাংলাদেশের চিপা-চাপায় গজিয়ে ওঠা কিছু রাজনৈতিক দল, পক্ষান্তরে রাজনৈতিক পরগাছা অথবা উল্লেখযোগ্য কিছু রাজনৈতিক দল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে ‘ব্যাপক’ হাউকাউ শুরু করেছে। আচ্ছা! স্বাধীণতা পরবর্তী চল্লিশ বছর কোথায় ছিলেন আপনারা? ‘বিশেষ’ একটি দল বলছে, যাদের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তাদের মধ্যেও বহু যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। আচ্ছা মানলাম আপনাদের কথা। এখন আমার কথা হচ্ছে, আপনারা যদি সত্যিই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান, তাহলে কেন এতদিন, আপনারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও তাদের বিচার করলেন না? এতেই কী আমরা ধরে নিতে পারিনা, আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না? হুম! যাদের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তাদের মধ্যেও যদি কোনো যুদ্ধাপরাধী থেকে থাকে, আমরা আশা করছি, আপনারাও সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। যথাসময়ে।

আর যাদের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তারাও নিজেদেরকে পাক-পবিত্র মনে করবেন না। আপনারা যদি পাক-পবিত্রই হয়ে থাকতেন, তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেক আগেই হয়ে যেত। ‘বিশেষ সময়ে’ আপনারাও যে তাদের থেকে বিভিন্ন উপায়ে ফায়দা লুটেছেন, তা আমরা সবাইই জানি। অর্থাৎ, এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন তথা সারা বাঙলার প্রানের আন্দোলনকে আপনাদের নিজেদের অবদান মনে করার কোনো কারন নেই। এইটা জনগণের আন্দোলন, এর পেছনে একমাত্র অবদান বাঙলার সাধারণ জনতার।

জনগণ আপনাদের বিশ্বাস করেছিলো, কয়েক দশক ধরে আপনাদের নিকট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে আসছিলো, আপনারা বিচার তো করেননি, উল্টো রাজাকারদেরকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন, তাদেরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছেন। আজকে জাগ্রত জনতার চাপের মুখে পড়ে, ধীর গতিতে হলেও বিচার করছেন। আমরা চাই, যেভাবেই হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। আমাদেরকে “খানকীর পোলা” বলে যদি কেও গালি দেয়, তখন আমরা তাঁর চোখ উপরে ফেলতে চাই। আর যখন কেও আমাদের “মা”-কে ধর্ষণ করে, তখন আমরা তাকে খুন করতে চাইবোনা কেন? আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যথা সময়ে তাদেরকে খুন করতে পারিনি।

তাই আজ বিচারের নামে এত টালবাহানা হচ্ছে। শতাধিক মানুষকে হত্যা করেও শাস্তি হিসেবে জীবন-যাপন করার সুযোগ পাচ্ছে। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.