আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েকে দাঁড়িয়ে স্যালুট করলাম।

চিন্তা-চেতনা শাহাবাগের গণ জাগরণ মেঞ্চর দশম দিনে অভিবাদন সবাইকে..... রাজাকারের ফাঁসি চাই, খুনীদের ধর্ষকদের ফাঁসি চাওয়া নিয়ে বাংলাদেশর তরুণ প্রজন্ম যখন জাতির শ্রদ্ধার জায়গাটি আদায় কের নিয়েছে, তন অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কার ঘুম হারাম হলো তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই কারণ শাহাবাগ ঘুমায় না যখন-তখন আর কারো ঘুমানোর দরকার কী? কিন্তু এই নির্ঘুম রাত জেগে যখন ইনিয়ে বিনিয়ে প্রজন্ম চত্বরের দশদিন নিয়ে নানা কাহিনী ফাঁদে- তখন তাদের ষড়যন্তকারী ধূর্ত শেয়াল বলা ছাড়া ভদ্রভাষায় আর কিছু বলার থাকেনা। টক শোতে, পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে এরা ইনিয়ে বিনিয়ে জাতির সব অনাচারের দায় মোচনের ভার হঠাৎ তরুণ প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে চাইছেন, কিন্তু কেন? কিছু দায় আপনারা নেন না কেন? ... ফাজিল বাচাল ও নানা গোষ্ঠীর তাঁবেদাররা............নতুন প্রজন্ম তো কোন বিপ্লবের ডাকও দেয়নি। ক্ষমতা দখলের জন্য বা সরকার পতনের জন্য বিদ্রোহ করছে না। শাহবাগের বিদ্রোহ তো আপসের রাজনীতির বিরুদ্ধে।

আমার কাছে তো তাই মনে হয়েছে। এছাড়া শাহাবাগের গণজাগরণ মঞ্চ হলো কাদের মোল্লার রায়ের আগে শাপলা চত্বর থেকে দেয়া গৃহযুদ্ধের হুংকারের প্রতিবাদ। কারণ এই হুংকারের আগে বাচ্চু রাজাকারের ফঁাসি রায় হেয়েছিল। হুংকারের পরে রায় হল জাবজ্জীবন। জনগণ রায়ের মধে আতাতের গন্ধ পায়।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ত নিজেদের অসহায় ভাবতে শুরু করে। আর ঠিক তখন তরুণ প্রজন্ম আঁতাতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল ফাঁসির দাবিতে......ফঁাসি চাই ফাঁিস চাই রাজাকারের ফাঁসি চাই....হাজার....হাজার কন্ঠে এক আওয়াজ....ইথাবে ভাসছে ১৫ কোট লোকের প্রাণের দাবি... ক-তে কাদের মোল্লা -তুই রজাকার...তখন অনেকর মতো টিিভতে চোখ রেখে আমিও চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারিনি.....রাত হয়েছে মেয়ে বাসায় ফিরেছে কীনা খেয়াল নেই। এক সময় মেয়ের প্রশ্নে সিম্বত ফিরলো। সে জিজ্ঞেস করছে , বাবা তুমি কাঁদছো কেন? কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু কাঁদছি ... একসময় স্থির হয়ে বললাম,...মারে এযে কী শান্তি বুঝবি না।

স্বাধীন দেশ পরাধীন হয়ে আছি। একাত্তরে যে রাজাকারের হাতে মার খেয়েছি, সেই রাজাকারেরা এদেশের এমপি হয় মন্ত্রী হয়.. আমরা কিছু করতে পারিনা। এমনকি জাতির কছে মাফ চাওয়ার জন্যও তারা রাজী না। শুধু ধর্মের লেবাস গায়ে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লজিং থেকে ভালো মানুষ সেজে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের মেয়ে বিয়ে করে ধীরে ধীরে তারা গিলতে শুরু করল আমাদের ব্যক্তি জীবন..সমাজ জীবন...নামাজী মানুষ মিশে গেল এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের স্রোতে। তারপর শুরু করল গরীর মানুষের চিকিৎসা দেওয়া, করল হাসপাতাল... ভালো কাজ..তারপর শুরু করল ধর্মের নামে সুদের ব্যবসা ইসলামী ব্যাংক কাগেজ পত্রে ঘোষণা দিল ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত...মিথ্যা কথা ইসলামী শরীয়তে কখনো ব্যাংকিং ছিল না।

ইসলাম আগমনের সাড়ে ১৪শ বছর পর এরা ১৯৮১ সালে ইসলামী শরীয়ত পাইল কৈ? জানা গেল শরিয়ত না শরিয়াহ মোতাবেক মানে আরবী ভাষায় শরীয়াহ মান প্রচলিত রীতিনীতি...আমরা সব ওদের রাজাকারীর কাছে ভেদা মাছ হইয়া গেলাম... হেরা আমােগা তেল রসুন দিয়া ভাইজা খাইতে শুরু করল.... মেয়েটা এবার ব্যাগ থেকে একটা সাদা রীবন বের করল, তারপর মাথায় দিল..রীবেনর গায়ে লেখা রাজাকারেরর ফাঁিস চাই। মনটা আনন্দে নেচে উঠল। মেয়েকে দাঁড়িয়ে স্যালুট করলাম। বললাম, মনটা বড় হাল্কা হয়ে গেল রে...আজ আমার খুব গর্ব লাগছে । এতোক্ষণ গর্ব লাগছিল লাকির বাবার জন্য.....কিন্তু আমার মেয়েও আজ এই মিছিলের স্রোতে মিশে গেছে....ছেলে নাই বলে আর আমার কোন কষ্ট নাই.... মেয়েটা বলল, আমি জানতাম তুমি খুশি হবা, ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে দেখলাম শাহবাগ জাগছে ভাবলাম তাহলে আমি আর ঘুমাই কেন? কিন্তু মিছিল করে রাত হয়ে গেল রাতকরে ঘরে ফিরেছি বলে যদি রাগ করো এজন্য ঘরে েঢাকার আগে ব্যান্ডটা খুলে ফেলেছিলাম।

না না এটা তুই মাথায় পড়ে থাক আর টিভির সাথে তাল মিলিয়ে শ্লাগান ধর... আজ যখন দেখি নানাভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কথার ছল...তখন শুধু বলতে ইচ্ছা করে তুই রাজাকার তুই রাজাকার... রাজনীিত, সমাজ অর্থনীিতর সব ব্যর্থতার দায় শাহবাগ নিতে যাবে কেন? আর ফাঁসির দাবি কি ইসলাম বিরোধী নাকি? ইসলাম পছন্দের লোকেরা জানে, ইসলামের নামে একাত্তর সালে রাজাকার আলবদররা যা করেছে, তার শাস্তি মৃত্যু দন্ড। যুদ্ধের সময় নারী, শিশু ও ফসলি জমি রক্ষা করা ইসলামের হুকুম। প্রতিহিংসাবশত কাউকে হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ। এসবের দলিল কোরআন হাদিসে রয়েছে। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক এসবের শাস্তি শিরো”েছদ বা ছাঙ্গেছার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.