আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলাম কোন নাম সর্বস্ব ধর্মের নাম নয়

"সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে"

ধর্ম বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি বা আমাদের সমাজে যে ধারণা প্রচলিত আছে তার সাথে ইসলামের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ক্যামব্রিজ আডভান্সড লার্নারস ডিকশনারী (থার্ড এডিশন) অনুযায়ী ‘ধর্ম হচ্ছে কোন দেবতা বা দেবতাদের উপর বিশ্বাস করা এবং তার বা তাদের উপাসনা করা অথবা এরকম কোন ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করা ও উপাসনা করা’। যেমন: খ্রিস্টান ধর্ম। একই ডিকশনারীতে এর আরো একটি অর্থ রয়েছে সেটি হচ্ছে ‘ধর্ম হচ্ছে এমন একটি কাজ যেটি কোন একজন বা একটি দল নিয়মিত করে থাকে’। যেমন: ‘ফুটবল বা ক্রিকেট হচ্ছে কিছু মানুষের কাছে ধর্মের মত’।

কনসাইস অক্সফোর্ড ডিকশনারী(১৯৯০) অনুযায়ী ধর্ম মানে হচ্ছে ‘কোন অতিমানবীয় ক্ষমতায় বিশ্বাস করা এবং বিশেষভাবে বললে বুঝায় ব্যক্তিগত কোন দেবতার উপর বিশ্বাস করা ও তাকে উপাসনা করা’। মেরিয়াম ওয়েবস্টার ডিকশনারী অনুযায়ী ‘মৌলিক কোন একটি কারণ বা উপায় যার উপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করার নাম হল ধর্ম’। ওয়েবস্টার নিউ ওয়ার্ল্ড ডিকশনারী (কলেজ এডিশন) অনুযায়ী ‘কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থায় বিশ্বাস করা হয় এবং উপাসনা করা এবং সাধারণত কিছু মূল্যবোধ বা জীবন যাপনের নিয়মের উপর বিশ্বাস করা’। খ্রিস্টান ধর্মে জেসাসের বা ঈসা(আ) এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করাই মূল কথা। হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন দেবতাদের উপর বিশ্বাস এবং উপাসনা করাই মুখ্য বিষয় আর বৌদ্ধ ধর্মে ‘লর্ড বুদ্ধা’র মূর্তিকে পুজো এবং তার জীবনের কতগুলো নিয়ম কানুন অনুসরন করাই মূল কথা।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন এবং কতগুলো নিয়ম তান্ত্রিক উপাসনাকেই ধর্ম হিসেবে ধরে নিয়েছে বা এইভাবে তাদের অনুসারীরা ধর্মকে পালন করছে। বিষয়টি আরো পরিস্কার করলে বলা যায়, খ্রিস্টানদের ধর্ম তাদের চার্চেই সীমাবদ্ধ এবং তাদের প্রাত্যহিক জীবন ব্যবস্থায় বর্তমানে এর কোন প্রভাব নেই বললেই চলে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মকে শুধু উপাসনাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে যার মানে হচেছ শুধু বিভিন্ন দেবতার পুজো করা। আর বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা বুদ্ধা’র মূর্তিকে সম্মান প্রদর্শনের মাঝেই তাদের ধর্মকে সীমাবদ্ধ রেখেছে। শিখ ধর্মের অনুসারীরা দাড়ি, পাগড়ি এবং এরকম আরো কতগুলো বাহ্যিক নিয়ম গুলোর মাঝেই তাদের ধর্মকে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

সুতরাং আমরা দেখতে পেলাম, এসকল ধর্মে একটা জায়গায় সবাই এক আর তাহলো জীবন ব্যবস্থার সাথে ধর্মের কোন যোগযোগ নেই আর যদিও থাকে তাও খুবই যৎসামান্য যা থাকা আর না থাকা একই কথা। অর্থাৎ এসকল ধর্ম জীবন থেকে দূরে অবস্থান করে এবং টিকে থাকে শুধুমাত্র নামসর্বস্ব বিশ্বাসের মাঝে। অধিকাংশ মুসলিম না জানার কারণে ইসলাম কেও নাম সর্বস্ব ধর্ম হিসেবে মনে করছে এবং পালন করছে এবং কতগুলো নিয়মতান্ত্রিক কাজ করাকেই সর্বেসর্বা মনে করছে। যুগ যুগ ধরে অধিকাংশ মুসলিম ইসলামকে অন্যান্য নাম সর্বস্ব ধর্মের মতই মনে করছে। কিন্তু সত্যিই কি ইসলাম অন্যান্য ধর্মের মত কতগুলো নাম সর্বস্ব নিয়মতান্ত্রিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ? আমি এখন এই প্রশ্নটিরই জবাব দিব এবং আমি আশাকরি ইনশাল্লাহ, এই লেখার শেষে মুসলিম ভাই ও বোনেরা এবং ইসলাম বিষয়ে জানতে আগ্রহীরা বুঝতে সক্ষম হবেন আসলেই ইসলাম কি দাবি করে বা ইসলামের অনুসারীদের সত্যিই কি করা উচিত এবং ইসলাম যদি নাম সর্বস্ব ধর্ম না হয় তাহলে ইসলাম কি? আমি আপনাদের অনুরোধ করব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে, শান্ত মনে এই লেখাটি পড়ার জন্য, ইনশাল্লাহ আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন। ‘ইসলাম’ শব্দটি এসেছে আরবী ‘আল-সিলম’ যার অর্থ হচ্ছে ‘আত্মসমর্পণ করা’। এর মানে হচ্ছে আল্লাহর ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণ করা আরো ভালোভাবে বললে বলা যায়, আমি আমার ইচ্ছাকে মহান আল্লাহ’র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং আমি এই আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ’র সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলতে বাধ্য হয়ে যাই। ইসলামের এই অর্থটাই হচেছ সার্বজনীন অর্থাৎ সকল কালের জন্য প্রযোজ্য।

কারণ ইসলাম কোন জাতির উপর ভিত্তি করে নামকরন করা হয়নি যা আমরা অন্যান্য ধর্মের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব। ইহুদী ধর্মের নামকরন করা হয়েছে বনী ইসরাইল বাসীদের নাম অনুযায়ী। খ্রিস্টান ধর্মের নাম করন করা হয়েছে খ্রিস্টের উপর ভিত্তি করে। বৌদ্ধ ধর্মের নামকরন করা হয়েছে গৌতম বুদ্ধের নাম অনুযায়ী। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম এসব ধর্মের নামকরন করেছে মানুষেরা অর্থাৎ এসব ধর্মের অনুসারীরা এই নামগুলো দিয়েছে।

কিন্তু ইসলামের নামকরন কোন মানুষের দ্বারা সম্পূর্ন হয়নি। ইসলাম হচেছ সার্বজনীন এবং ইসলাম কোন ভৌগলিক স্থান বা কোন জাতির উপর নির্ভরশীল নয়। ইসলাম নামটি দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা এবং ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে যেদিন মানুষ সর্বপ্রথম পৃথিবীতে পা রেখেছিল১(এই প্যারার শেষে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে)। সর্বপ্রথম নবী আদম (আ) থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (স) পর্যন্ত যত নবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছিলেন তাদের সকলেরই ধর্ম ছিল ইসলাম “The Way of Life” বা “The Complete Code of Life” যার মানে হল পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ ইসলামকে পবিত্র কুরআনে নিছক ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেননি।

বরং তিনি বলেছেন, ইসলাম(আত্মসমর্পণ করা) হচ্ছে একমাত্র দ্বীন(জীবন ধারনের ব্যবস্থা)। “অবশ্যই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন(জীবন ধারনের সঠিক ব্যবস্থা) হচ্ছে ইসলাম(আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ)” (কুরআন ৩:১৯)। “আজকে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে(জীবন ব্যবস্থার আইন কানুন) পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার সকল নেয়ামত(রহমত) সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে(আত্মসমর্পণ করাকে) তোমাদের দ্বীন(জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনীত করলাম” (কুরআন ৫ঃ৩)। ১. আমাদের অনেকের মাঝেই একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যেমন, আমাদের অনেকেই মনে করে ইসলাম একটি নতুন ধর্ম এবং যা ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে মুহাম্মদ(সা) এর উপর নাযিল হয়েছিল। আবার অনেকেই আরো একধাপ এগিয়ে ইসলামকে মোহাম্মদী ইসলাম বলে থাকেন যা মোটেই ঠিক নয় বরং বলা যায় মহা ভুল।

পৃথিবীতে যেদিন মানুষ প্রথম পা রেখেছিল সেদিনই ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন করা আল্লাহর নিকট, যদি আপনারা বিষয়টি এভাবে দেখেন তাহলে আপনাদের ভুল ধারনাটি ভেঙ্গে যাবে ইনশাল্লাহ কারণ সকল নবী-রাসূলদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই আর তাহলো একত্ববাদ এবং মানুষকে এক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করার আহবান জানানো। সকল নবী-রাসূলই মানুষকে আদেশ করতেন এক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন “ বল (হে মুসলমানগণ): আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি, আমাদের জন্য যে জীবন ব্যবস্থা নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা ইবরাহীম, ইসমাইল, ইয়াকুব ও ইয়াকুবের বংশধরদের প্রতি নাযিল হয়েছে আর যা মূসা, ঈসা ও অন্যান্য সকল নবীকে তাদের রবের তরফ হতে দেওয়া হয়েছিল, তার প্রতি। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা আল্লাহরই নিকটে আত্মসমর্পনকারী” (কুরআন ২:১৩৬)।

মুসলিম হওয়ার প্রথম শর্ত হল শাহাদাত মানে সত্যের সাক্ষ্য দেওয়া। আমরা সত্যেও সক্ষ্য দিই এভাবে - ‘কালেমা তাইয়্যেবা’ বলার মাধ্যমে আমি স্বীকার করে নিই যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ(স) আল্লাহর রাসূল’। ‘কালেমা শাহাদাত’ এর অর্থঃ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং তার সাথে কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল’। আমরা এই যে সাক্ষ্য দিলাম এখন আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে এই সাক্ষ্য দ্বারা প্রকৃতপক্ষে আসলে কি বুঝায়। এই সাক্ষ্যদ্বারা বুঝায়ঃ মহান আল্লাহই হচেছন একমাত্র ইলাহ, তিনি হচ্ছেন সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, সমন্বয়কারী, পরিকল্পনাকারী এবং এই মহাবিশ্বের একমাত্র অধিকর্তা।

আমরা আল্লাহর সাথে কোন অংশীদারিত্ব করব না এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস২(এই প্যারার শেষে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে) করব সকল কিছুর ইখতিয়ার একমাত্র মহান আল্লাহর এবং আমরা একমাত্র তারই ইবাদাত করব। মহান আল্লাহই একমাত্র রব্ব। আরবী শব্দ রব্ব এর তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয় - ক. মালিক, মনিব খ. মুরব্বী, প্রতিপালক, পর্যবেক্ষক ও সংরক্ষণকারী গ. শাসক, আইন-দাতা, পরিচালক ও ব্যবস্থাপক। “তোমাদের ইলাহ্ এক ও একক, সেই মেহেরবান ও দয়ালু ভিন্ন (বিশ্বভুবনে) আর কোন ইলাহ নেই” (কুরআন ২:১৬৩)। “আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য৩(এই প্যারার শেষে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে) নেই।

ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। ” (কুরআন ৩:১৮)। “আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি অবশ্যই তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন সমবেত করবেন, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

আল্লাহর কথা ব্যতীত আর কার কথা অধিক সত্য হতে পারে” (কুরআন ৪:৮৭)। আমরা আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর আদেশ মেনে চলব এবং সকল ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর আদেশ মেনে চলাটাই হচ্ছে ইবাদাত। যেমনঃ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, রাজনৈতিক ক্ষেত্র, জীবন ধারনের ক্ষেত্র। ২. এখানে বিশ্বাস করা শুধুমাত্র মৌখিক স্বীকৃতি নয় বরং এর মানে হচ্ছে মৌখিক স্বীকৃতি এবং আমি যা বিশ্বাস করলাম তা আমার কর্মজীবনে অনুশীলন করা ও বাস্তবায়ন করতে যথাসাধ্য চেষ্ট্রা করা। ৩. উপাস্য বলতে বুঝানো হচ্ছে, মহান আল্লাহকেই একমাত্র ইবাদাত করা বা মহান আল্লাহ একমাত্র ইবাদাত পাওয়ার অধিকরী আর কেউ নয়।

এরপর আমরা মুহাম্মদ (স) কে আল্লাহর রাসূল হিসেবে মেনে নিই। মুহাম্মদ (স) হচ্ছেন এই পৃথিবীতে আল্লাহর শেষ নবী এবং তাঁরপর আর কোন নবী-রাসূল পৃথিবীতে আসবে না। মহান আল্লাহ বলেন, “ মুহাম্মদ হচ্ছে আল্লাহর বার্তাবাহক এবং সর্বশেষ নবী”। (কুরআন ৩৩:৪০)। “মুহাম্মদ (স) তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেন তা থেকে বিরত থাক” (কুরআন ৫৯:১)।

“(হে নবী)বল! তুমি যদি আল্লাহকে ভালবাসতে চাও তাহলে আমাকে অনুসরন কর, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন” (কুরআন ৩:৩১)। “হে ঈমানদার লোকেরা! আল্লাহর আনুগত্য করা এবং রাসূলের আনুগত্য কর” (কুরআন ৪:৫৯)। “হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূল এর অনুসরণ কর আর নিজেদের আমল নষ্ট করোনা” (কুরআন ৪৭:৩৩)। সুতরাং বুঝা গেল, সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করি এবং তাকেই একমাত্র রব্ব হিসেবে দৃঢ়ভাবে মেনে নিই। জীবন ধারনের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর আদেশ এবং রাসূল (স) এর অনুসরন করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।

মহান আল্লাহর আদেশ এবং রাসূল (স) কে অনুসরণ করার মাধ্যমেই আমরা মুসলিম হিসেবে বিবেচিত হই। ইনশাল্লাহ, আশা করি আপনারা সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং ইসলাম যে অন্যান্য ধর্মের মত নাম সর্বস্ব নয় সে বিষয়টিও আপনাদের বোধগম্য হয়েছে কারণ ইসলাম শুধু নামধারী বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মহান আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করার পর তাঁর নির্দেশিত কাজগুলো তাঁরই দেখানো পন্থায় করাই হচ্ছে একজন মুসলমানের কর্তব্য। আমরা মহান আল্লাহর নির্দেশগুলো কিভাবে পালন করতে পারবো তারজন্য আমাদের রাসূল (স) কে অনুসরণ করতে হবে। কারণ, তিনি মহান আল্লাহর নির্দেশে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন কোন ইবাদত কিভাবে করতে হয়।

ইবাদত করার ক্ষেত্রে যদি আমরা নিজেরা উদ্ভাবন করে নতুন কোন কিছু করার চেষ্টা করি আর তা আমাদের নিকট যতই ভাল মনে হোক না কেন তা মহান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আমি আমার বক্তব্য এই বলে শেষ করছি যে, রাসূল (স) বলেছেন, “আল্লাহ তাঁর নির্দেশিত আদেশ বাস্তবায়িত হওয়াকে পছন্দ করেন তেমনি তিনি পছন্দ করেন তাঁর দেখানো পন্থায় আদেশ বাস্তবায়িত হওয়াকে” এবং একটি বর্ণনায় রয়েছে, “তিনি অপছন্দ করেন যেভাবে তাঁর নির্দেশিত কাজগুলো করা উচিত ছিল সেভাবে না করলে”।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.