আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারাবির নামাজ

অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।

প্রশ্ন : তারাবির নামাজের হুকুম কি? জওয়াব : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের জন্য তারাবীহকে সুন্নত করেছেন। তিনি তার সাহাবীদের নিয়ে তিন রাত্রি তারাবীহ আদায় করেছেন। উম্মতের উপর ফরজ হয়ে যেতে পারে এ আশঙ্কায় পরেরদিন তিনি আর জামাতের সাথে তারাবীহ আদায় করেননি। মুসলমানগন আবু বকর (রাঃ) এর খেলাফত কাল ও উমর (রাঃ) এর খেলাফতের প্রথম দিকে এ অবস্থায়ই ছিল।

এরপর আমীরুল মুমিনীন উমর (রাঃ) প্রখ্যাত সাহাবী তামীম আদদারী (রাঃ) ও উবাই ইবনে কাআব (রাঃ) এর ইমামতিতে তারাবীর জামাতের ব্যবস্থা করেন। যা আজ পর্যন্ত কায়েম আছে। আলহামদুলিল্লাহ! এ তারাবীর জামাত শুধু রমজান মাসেই সুন্নাত। সালাতে তারাবীহতে অন্যান্য সালাতের মত বিনয়-নম্রতা, একাগ্রতা ও ধীর-স্থিরভাবে রুকু সিজদা, কওমা, জলছা আদায় করতে হবে। অনেক লোককে দেখা যায় সালাতে তারাবীহ আদায়ে এত তাড়াতাড়ি ও তাড়া হুড়া করে যার কারণে সালাতের অনেক সুন্নত ছুটে যায় বরং অনেক ওয়াজিব তরক হয়ে যায়।

তাদের এ তাড়া হুড়া দেখলে মনে হয় কে আগে মসজিদ থেকে বের হবে এর যেন একটা প্রতিযোগিতা চলছে। অনেকে আবার তাড়াতাড়ি আদায় করেন এ জন্য যে মসজিদে লোক সংখ্যা বেশি হবে। যে উদ্দেশ্যেই তাড়া হুড়া করা হোক না কেন তা শরীয়ত পরিপন্থী কাজ। তবে ইমাম সাহেবের পিছনে যারা সালাত আদায় করেন তাদের ব্যাপারে তাকে ভয় করতে হবে আল্লাহকে। ল্য রাখতে হবে সালাত অত্যধিক দীর্ঘ না হয় যাতে মুক্তাদীরা কান্ত বা বিরক্ত হয়ে যায়।

আলেমগন বলেছেন : ইমাম সাহেব যদি এত তাড়াতাড়ি করেন যাতে মুক্তাদীগণ সালাতের সুন্নত গুলো আদায় করতে পারে না তাহলে মাকরূহ হবে। চিন্তা করে দেখুন, আর যদি তিনি এত তাড়াহুড়ো করেন যাতে মুক্তাদীগণ সালাতের ওয়াজিব আদায় করতে পারেন না তা হলে এর হুকুম কি হতে পারে! নিঃসন্দেহে এ ধরনের তাড়া হুড়া করা হারাম। (আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান এর সংকলন থেকে নেওয়া। )

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।